জিলহজ্জ মাসের আমল ও ফজিলত

জিলহজ্জ মাসের আমল ও ফজিলত

আমরা অনেকেই মুসলিম হয়ে থাকলেও জিলহজ মাস সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো জানিনা। তাই আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা যারা জিলহজ মাসের আমল এবং ফজিলত সম্পর্কে জানার জন্য এসেছেন তারা অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটের এই পোস্ট পড়বেন। কারণ এই পোস্ট পড়তে পারলে আপনারা খুব সহজেই জিলহজ মাসের আমলগুলো সম্পর্কে যেমন জানতে পারবেন তেমনি ভাবে বিভিন্ন ধরনের ইবাদত করার মাধ্যমে ফজিলত পাবেন।

যেহেতু আপনারা বর্তমান সময়ে অনেক তথ্য অনলাইনের মাধ্যমে জানতে পারেন যেহেতু আপনাদেরকে এই তথ্যগুলো জানানোর জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে সকল তথ্য আলোচনা করা হবে। বিভিন্ন কিছুর আমল অথবা দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় এমন সকল ইবাদত এর নিয়ম কানুন আমাদের ওয়েবসাইটে আলোচনা করা হবে বলে আপনারা আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো সংগ্রহ করে নিতে পারেন। তাই সকলের জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে জিলহজ মাসের আমল এবং ফজিলত নিয়ে আলোচনা করা হলো এবং আপনারা এই পোস্ট করলেই তা বুঝতে পারবেন।

আমরা মুসলমান হলেও সত্য যে জিলহজ মাস আরবি মাসের কত নম্বর মাস তা অনেকেই জানিনা। আরবি বছরের সর্বশেষ মাসের নাম হল জিলহজ মাস এবং আমরা যে পবিত্র ঈদুল আযহা পালন করে থাকি সেটি পালন করা হয়ে থাকে জিলহজ মাসে। অর্থাৎ জিলহজ মাসের ১০ তারিখে আমরা কোরবানি করে থাকি এবং অন্যান্য যে সকল আমল ও ইবাদত রয়েছে সেগুলো পালন করে থাকে। মহান আল্লাহ পাক বছরের যে চারটি মাসকে সবচাইতে সম্মানিত করেছেন তার ভেতরে একটি মাস হল জিলহজ মাস। এই জিলহজ মাসেই আল্লাহপাকের প্রিয় বান্দা হযরত ইব্রাহিম আলাইহি সালাম এবং হযরত ইসমাইল আলাইহি সালাম যে ত্যাগের মহিমা আমাদেরকে দেখিয়েছেন তাতে করে আমরা বুঝতে পারি মহান আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য আমাদের কত পরিমাণ ত্যাগ স্বীকার করতে হবে।

সাধারণত আমরা কোরবানি দেওয়ার ঘটনা বা এটা দেওয়ার ইতিহাস সম্পর্কে অনেকেই জেনে থাকি। মহান আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে প্রিয় বান্দাকে কোরবানি দেওয়ার মধ্য দিয়ে আল্লাহ পাক যেমন সওয়াব প্রদান করে থাকেন তেমনি ভাবে আমরা ত্যাগের এক অপূর্ব মহিমায় নিজেদের ভালবাসাকে উৎসর্গ করতে পারি। তাই আমাদের দেশে প্রত্যেক বছর জিলহজ মাসের ১০ তারিখে পবিত্র ঈদুল আযহা অথবা কোরবানির ঈদ পালন করা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ বলেছেন,”কোন ব্যক্তি যদি কোরবানি করতে চাই তাহলে অবশ্যই জিলহজ মাসের চাঁদ ওঠার আগে এবং কোরবানির শেষ নেওয়া পর্যন্ত চুল এবং নখ যেন না কাটে।

তাই আপনারা যারা কোরবানি দেওয়ার জন্য মনস্থির করেছেন তারা অবশ্যই এই কাজগুলো করবেন। এক্ষেত্রে আপনারা যারা আমল সম্পর্কে জানার জন্য আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করেছেন তাদেরকে বলব যে ইসলামের দুইটি গুরুত্বপূর্ণ খুঁটি অথবা রোকন এই মাসে পালন করা সম্ভব। যেহেতু ইসলামের দুইটি গুরুত্বপূর্ণ খুঁটি হিসেবে যাকাত দেওয়া এবং হজ পালন করা উল্লেখ করা হয়েছে সেহেতু আপনারা জিলহজ মাসের শুরু থেকে ঈদের আগ পর্যন্ত মানুষের মাঝে নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী যাকাত প্রদান করতে পারেন। তাছাড়া জিলহজ মাসের মহিমায় অনেকেই সৌদি আরবের পবিত্র হজ পালন করতে যায় বলে সেখানে গিয়ে আপনারা সামর্থ্য অনুযায়ী হত পালন করে আরেকটি খুঁটি বা রোকন সম্পন্ন করতে পারবেন।

তাই জিলহজ মাসে আপনি যাকাত দেওয়া এবং হজ পালন করার পাশাপাশি যদি নিয়মিত ইবাদতগুলো করতে পারেন এবং রোজা রাখতে পারেন তাহলে সেটা হবে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। একটি হাদিসে বর্ণিত আছে যে, কোন ব্যক্তি যদি আরাফার দিন রোজা রাখতে পারে তাহলে অবশ্যই আল্লাহ পাক এক বছর আগের এবং এক বছর পরের যাবতীয় গুনাহ মাফ করে দিবেন।

তাছাড়া জিলহজ মাসের প্রথম দশকের যে দিনগুলো রয়েছে এগুলো মহান আল্লাহ পাকের কাছে অধিক প্রিয় দিন এবং এক্ষেত্রে আপনারা যদি প্রত্যেকদিন রোজা পালন করতে পারেন তাহলে তা হবে এক বছরের রোজার সমতুল্য। তাই উপরের উল্লেখিত আলোচনা থেকে আপনারা রোজা পালন করার পাশাপাশি প্রত্যেক রাতে যদি রাত জেগে ইবাদত করেন তা হলে তা হবে লাইলাতুল কদরের ইবাদতের সমতুল্য। সকলকে ধন্যবাদ এবং শুভকামনা জানাচ্ছি।

About শাহরিয়ার হোসেন 4780 Articles
Shahriar1.com ওয়েবসাইটে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই পাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*