
মূলভাব: মানুষের অর্জিত সবকিছুই গুরুত্ব বহন করে। কিন্তু সব অর্জন মানুষ ধরে রাখতে পারে না। অর্জিত সেই বিজয় গুলোই তার করায়ত্ত হয় যেগুলো তার যত্নের ছোঁয়া পায়। কারণ সবকিছুর একটা শেষ রয়েছে। পরিচর্চা মানুষের অমূল্য একটি বিষয়। যত্ন বা পরিচর্চা ছাড়া এ পৃথিবীর কোন কিছুই স্থায়িত্ব লাভ করে না; তা সে বস্তু বা প্রাণী যা-ই হোক না কেন।
সম্প্রসারিত ভাব: ‘যেখানে দেখিবে ছাই, উড়াইয়া দেখ তাই /পাইলেও পাইতে পারো অমূল্য রতন’–কবির এ রচনায় ক্ষুদ্রতার মধ্যেও বৃহত্তের একটি মহিমা তুলে ধরা হয়েছে। তবে বৃহত্ত তো এমনি এমনি আসে নি। তার জন্য প্রয়োজন হয় বিশেষ দৃষ্টি ভঙ্গির বা যত্নের; কারণ যত্ন ছাড়া এ পৃথিবীতে কোন কিছুই উৎকর্ষ লাভ করে না। ছোট্ট একটি উদাহরণ দিয়েই বলা যাক, ছোট্ট গাছের চারা যদি মানুষের যথার্থ যত্ন না পায় তবে শিশুকালেই গুটিয়ে যায় বা নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু নিয়মিত পানি সারসহ অন্যান্য যত্ন পেলে সময়কালে গাছটি মহীরুহ আকার ধারণ করে।
বাড়ির ছোট্ট পোষা প্রাণীটির ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। বাড়ির সদস্যদের কাছ থেকে যত্ন-আত্তি পেয়ে ঐ পরিবারের সদস্যে পরিণত হয় সে। মানুষের প্রাত্যহিক জীবনে যত্নবান হওয়ার এই বিষয়টি আরও তাৎপর্যপূর্ণ। আরো সহজে বলা যায় কোন কিছুর যদি যত্ন না নেয়া হয় তাহলে সেটি অকালে ঝরে যায়। যেকোনো কিছুতেই যত্ন থাকলে তার যে ফল হয় যত্ন না থাকলে ঠিক তার উল্টো ফল হয়।
পড়াশোনা, গবেষণা, সঙ্গীতচর্চা, ছবি আঁকা বা অন্য যেকোন শিল্পকলার চর্চায় যত্ন ছাড়া বিশেষ কোন ফল লাভ হয় না। মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্কও নির্ভর করে যত্নের ওপর। যত্ন না থাকলে কোনো সম্পর্কই স্থায়িত্ব লাভ করে না। এমনকি মায়ের সঙ্গে সন্তানের সম্পর্কেও একসময় যত্নের প্রয়োজন হয়ে পড়ে। একটি শিশু জন্মগ্রহণ করে সবার যত্ন পায়।
কারণ জন্মের পর পরই এই পৃথিবীর রুক্ষতা তাকে ঘিরে ধরে। সে মুহূর্তে বিশেষ যত্ন না পেলে তার প্রাণ রক্ষা হয় না। সে কারণে সে সুন্দর রূপে নিজেকে বড় করে তুলতে পারে। মানুষের মনেও অনন্য সব চিন্তার উদয় হয় কিন্তু খুব কমই তার পরিণতি পায়। যে চিন্তাকে মানুষ আত্মজ্ঞানে যত্নে প্রকাশ করে সেটি তার মহত্বকে তথা সৃষ্টিশীলতার প্রতিনিধিত্ব করে।
মন্তব্য: মানুষের চিন্তা কর্ম সবকিছুই পরিপূর্ণতা পায় তার যত্নের ছোঁয়ায়। যত্নে মানুষ যেমন অসাধারণ কিছু জন্ম দিতে পারে, তেমনি যত্ন না থাকলে সেই অর্জনও মুহূর্তে হারিয়ে যেতে পারে। তাই যত্নবান মানুষই রত্নলাখে সমর্থ হয়।
উপরের আজকে যে ভাব সম্প্রসারণ কি নিয়ে আলোচনা করা হলো সেটা আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন। বর্তমান বিশ্বে সবকিছুই এখন অনলাইন ভিত্তিক হয়ে পড়েছে। শিক্ষাব্যবস্থা এখন পিছিয়ে নেই। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দিকে তাকিয়ে দেখলে আমরা সহজেই দেখতে পাই যে উন্নতশীল দেশগুলো তাদের শিক্ষাব্যবস্থা অনলাইন ভিত্তিক করে ফেলেছে এবং অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পাঠদান দিয়ে থাকছে। তাই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে তাল মিলিয়ে বর্তমানে আমাদের দেশেও অনলাইন ভিত্তিক শিক্ষাক্রম চালু হয়েছে।
আমাদের এই শিক্ষা বিষয়ক ওয়েবসাইট সেই সকল বিষয় নিয়েই বিস্তারিতভাবে এখানে উপস্থাপন করা হয়। শিক্ষার সকল বিষয়গুলো এখানে দ্রুততার সহিত তুলে ধরা হয় যাতে শিক্ষার্থীরা খুব সহজেই তাদের কাঙ্ক্ষিত বিষয়বস্তু পেয়ে যেতে পারে হাতের নাগালেই। আমরা চেষ্টা করেছি প্রত্যেকটা শিক্ষার্থীদের অ্যাক্যাডেমিক বিষয়গুলো অর্থাৎ তাদের সিলেবাস ভিত্তিক যে বিষয় গুলো রয়েছে সেগুলো এখানে আলোচনা করার। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা ভাব-সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা করে চলেছি।
আপনাদের উপকারই আমাদের সার্থকতা। তাই আপনারা বেশি বেশি করে আমাদের এই ওয়েবসাইট ভিজিট করুন এবং অন্যকে ভিজিট করতে সহযোগিতা করুন আপনারা উপকৃত হলে আমরা আমাদের কাজ করার সার্থকতা লাভ করব। আমরা সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমাদের দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনা করব অবশ্যই আজ এই পর্যন্তই সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
Leave a Reply