আপনার নামে যদি যৌতুকের মিথ্যা মামলা করে তাহলে এ থেকে আপনি কিভাবে বাঁচবেন তা আজকের এই পোস্ট থেকে জেনে নিতে পারেন। বিবিসির একটা নিউজ থেকে জানলাম যে নারীরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে যৌতুকের মিথ্যা মামলা দিয়ে পুরুষদের নামে থানায় কেস করে থাকেন। পরে যখন এই কেসের তদন্ত করা হয় তখন দেখা যায় যে নারীদের দোষ বেশি থাকে এবং এক্ষেত্রে পুরুষরা যৌতুক সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে জড়িত নয় বলে তাদের এই কেস অনেক সময় খারিজ হয়ে যায় অথবা অন্য কোন অপরাধ ঢাকার জন্য এক্ষেত্রে যৌতুকের মিথ্যা মামলা দিয়ে দেয়।
সকল ক্ষেত্রে নারীদের অধিকার বেশি প্রদান করা হয়েছে বলে খুব সহজেই সে সকল মামলা গ্রহণ করা হয় এবং আপনি যদি এ ধরনের মিথ্যা মামলায় ফেঁসে যান তাহলে কিভাবে মুক্তি পাবেন তা আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে জেনে নিন। যৌতুকের মিথ্যা মামলায় যদি জড়িয়ে পড়েন তাহলে দেখা যাবে যে আপনাদেরকে কঠোর শাস্তির ভেতর দিয়ে যেতে হবে এবং এই ক্ষেত্রে আপনি যদি কোনোভাবেই এই ধরনের কাজ করে না থাকেন এবং কোন ভাবে যদি মামলা মোকদ্দমায় নিজেকে না জড়াতে চান তাহলে আগে থেকে আপনাকে বিশেষ কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে অথবা সঠিক কিছু পদ্ধতি মেনে চলার মাধ্যমে এ ধরনের ঝামেলা থেকে নিজেকে এড়িয়ে চলতে হবে।
বর্তমান সময়ে নারীরা নিজেদের অপরাধ থাকতে অথবা নিজেদেরকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আড়াল করতে যৌতুকের মত মিথ্যা মামলা দেয় যাতে পুরুষেরা খুব সহজে শাস্তি পায় এবং এক্ষেত্রে তারা শায়েস্তা হয়ে যায়। কিন্তু একজন সম্ভ্রান্ত পরিবারের পুরুষ যদি কোনভাবেই এই ধরনের মামলা-মোকদ্দমায় না জড়িয়ে অথবা নিজের মান সম্মান না নষ্ট করে এ ধরনের ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে খুব সহজেই আপনারা আপনাদের পরিচিত একজন উকিলের নিকটস্থ হন এবং তাদেরকে এই সমস্যা খুলে বলুন।
যদি এই মামলা করতে করে থাকে তাহলে আপনাদের কাছে আগে থেকেই আত্মসমর্পণের জন্য একটি নোটিশ দিতে হবে এবং এক্ষেত্রে আপনি যখন যাবেন পেয়ে যাবেন তখন এই মকদ্দমা খারিজ করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রমাণ এবং সাক্ষী উপস্থিত করতে হবে। তাছাড়া এই মামলা যদি থানাই করা হয় তাহলে থানায় থেকে যখন আপনাদের বিরুদ্ধে এই মামলা চলে যাবে এবং এই বিষয়ে যথাযথ প্রমাণ সাপেক্ষে আপনাদের এ বিষয়টি যাচাই করে দেখবে তখন আপনাকে যদি প্রয়োজনীয় প্রমাণ সাপেক্ষে অথবা সাক্ষী নিয়ে উপস্থিত হয়ে এই মামলা খারিজ করার জন্য মীমাংসা করতে পারেন তাহলে সবচাইতে ভালো হবে।
তবে যেকোনো ধরনের মামলা পরিচালনার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পরিমাণ খরচ হয়ে থাকে এবং এই ধরনের খরচ অথবা মান সম্মানের জন্য আপনারা যদি এই ধরনের মিথ্যা মামলায় ভেসে যান তাহলে যতটা সম্ভব নিজেদের ভেতরে মীমাংসা করে সমস্যার সমাধান করে নেবেন। তার স্ত্রীর পক্ষ যদি এভাবে আপনাদের পেছনে হেনস্ত করতে থাকে তাহলে আপনারা তার জন্য প্রয়োজনীয় সাক্ষী প্রদান করার মাধ্যমে এবং আগাম আত্মসমর্পণের মাধ্যমে জামিন গ্রহণ করার মাধ্যমে এই মামলা পরিচালনা করার উদ্দেশ্যে যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করবেন এবং এক্ষেত্রে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ উকিলের পরামর্শ গ্রহণ করে কাজগুলো সম্পন্ন করবেন।
যৌতুক সংক্রান্ত এ ধরনের মামলা বেশ কয়েক বছর চলতে থাকে এবং কমপক্ষে এক থেকে দুই বছর যখন চলমান থাকবে তখন আপনাদের এক্ষেত্রে টাকা যেমন খরচ হবে তেমনি ভাবে এই মামলে আপনাদের অনেক সময় মান সম্মানের ক্ষেত্রে অনেক ক্ষতি হয়ে যায়। তাই সকলের পরামর্শ থাকবে আপনারা যৌতুকের মিথ্যা মামলা থেকে সর্ব প্রথমে জামিন গ্রহণ করবেন এবং এই মামলা মীমা সরকারের জন্য যে ধরনের পদক্ষেপ রয়েছে তা আপনার অভিজ্ঞ উকিলের থেকে পরামর্শ গ্রহণ করে কাজ সম্পন্ন করুন।
Leave a Reply