আপনারা যারা ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত বাংলা দ্বিতীয় পত্রের ব্যাকরণ অংশের ভাব-সম্প্রসারণ বিষয়ে তথ্য পেতে চান তাদেরকে আমাদের এই ওয়েবসাইটে ভিজিট করার জন্য অনুরোধ করছি। কারণ আমাদের এইখানে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর সকল শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার সিলেবাস এর অন্তর্ভুক্ত ভাব সম্প্রসারণ গুলো নিয়ে পর্যায়ক্রমে আলোচনা করা হয়েছে।
এই ওয়েব সাইটের বিভিন্ন সালের এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষায় যে সমস্ত ভাব সম্প্রসারণ গুলো এসেছে সেগুলো নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। যেহেতু আমাদের এই ওয়েবসাইটটি একটি শিক্ষামূলক ওয়েবসাইট তাই আমরা চেষ্টা করেছি শিক্ষার ওপর সমসাময়িক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করার। বর্তমান যুগে বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে করোনার প্রাদুর্ভাব এর কারণে সশরীরে ক্লাস এর পরিবর্তে অনলাইন ক্লাস চালু রেখেছে। দিনদিন অনলাইনের গুরুত্ব বেড়ে চলেছে। তাই শিক্ষার্থীরা যাতে করে তাদের প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো অনলাইনে পেতে পারে সেই বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের এই ওয়েবসাইট কাজ করে যাচ্ছে।
আমরা আজকে যে ভাব সম্প্রসারণ কে নিয়ে আলোচনা করব সেটি হল যুদ্ধ মানে শত্রু শত্রু খেলা। আজকের ভাব-সম্প্রসারণ মূলত একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় উপযোগী একটি ভাব সম্প্রসারণ। আজকের ভাব সম্প্রসারণ নিয়ে নিম্নে আলোচনা করা যাক:
ভাব সম্প্রসারণ: যুদ্ধ মানে শত্রু শত্রু খেলা।
মূলভাব: পৃথিবীর ইতিহাস প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যুগে যুগে কালে কালে মানুষের মধ্যে নানাবিধ যুদ্ধ-বিগ্রহ ও সংগ্রামের কারণে। কখনো অধিকার কখনো ধর্ম আবার কখনো উচ্চাভিলাষ নানা যুদ্ধের জন্ম দিয়েছে। যুদ্ধ যেমন একদিকে সভ্যতা কে ধ্বংস করেছে তেমনি অন্যদিকে নতুন মতবাদের জন্ম দিয়ে নতুন পথও মানুষকে দেখিয়েছে।
সম্প্রসারিত ভাব: মানুষের মধ্যে যখনই ক্ষমতা ও আধিপত্য বিস্তারের প্রচেষ্টা তৈরি হয়েছে তখন থেকেই সংঘর্ষের সূত্রপাত। সংঘর্ষ হয়েছে বেশি শক্তি থেকে আধিপত্য বিস্তার থেকে বা ব্যক্তিগত লোভ লালসা থেকে। প্রাচীন পৃথিবীতে মানুষ একক বা গোষ্ঠীগত যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে এতে কখনো সীমানার আয়তন বেড়েছে আবার কখনো ব্যক্তি ক্ষমতা অর্জিত হয়েছে। কিন্তু পৃথিবীর ক্রমোন্নতির সঙ্গে সঙ্গে যুদ্ধের ভয়াবহতা ও বৃদ্ধি পেয়েছে।
আমরা মহাভারতের যুদ্ধের কথা জানি; গ্রিক ও ট্রয় যুদ্ধের কথা জানি। ট্রয়ের সমৃদ্ধ নগরী ধুলোয় পরিণত হয়েছিল এ যুদ্ধে। আমরা বদরের যুদ্ধের কথা জানি; ক্রুসেডের কথা জানি। ধর্ম রক্ষায় সেখানে প্রাণ দিয়েছিল হাজার হাজার মানুষ। পলাশীর যুদ্ধে বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়েছিল। বন্দুক আবিষ্কারের পর যুদ্ধ আরো ভয়াবহ রূপ পায়।
বিশেষত প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ মানুষ তথা মানবতা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পৃথিবীর মানুষের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি হয় এবং তারা একে অপরের আত্মার শত্রুতে পরিণত হয়। বাঙালির জন্মাবধি তার অধিকার অর্জনের যুদ্ধে লিপ্ত হতে হয়েছে বারবার। সর্বশেষ 971 সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির স্বাধীনতা লাভ করেছে।
পৃথিবীর বুকে নিজের আত্মপরিচয় কে সমুন্নত করেছে। যদিও প্রতিটি যুদ্ধেই পৃথিবীর কিছু নতুন অবস্থায় পরিবর্তিত হয়েছে তবুও যুদ্ধ মানবতার জন্য সুখকর কিছু নয়। তা মানুষের সঙ্গে মানুষের বিভাজন সৃষ্টি করেছে এবং মানুষকেই মানবতার সবচেয়ে বড় শত্রু তে পরিণত করেছে। মানুষের সুকুমার বৃত্তি কে ধ্বংস করেছে যুদ্ধ। বহু প্রাণ অকালে অপ্রয়োজনে যুদ্ধের কারণে ধ্বংস হয়ে গেছে; মানবতা ভূলুণ্ঠিত হয়েছে।
মন্তব্য: যুদ্ধ শুধু ব্যক্তি ব্যক্তি বা দেশে দেশে হয় না তা প্রাণে প্রাণে ও হয় আর এই প্রাণের যুদ্ধ যখন প্রাণান্তকর হয় তখন আর তার কোন বন্ধন ইয়ার কার্যকর হয় না পরিচিত পৃথিবীর পরিস্থিতি তখন শত্রুতে পরিণত হয় সবচেয়ে বড় শত্রু হয় মানুষ নিজেই তার সৃষ্টি মানবতার।
Leave a Reply