বাংলা প্রবাদ বাক্য অনুসারে আমরা অনেকেই মেনে থাকি “ভরা পেটে ফল খালি পেটে জল।” তাই হয়তো আমরা অনেকেই খাওয়ার পরে ফল খেতে চাই অথবা খাওয়ার পরে ফল খেতে তৃপ্তি বোধ করি। তাই আজকে আপনাদের এই তথ্যের ওপর ভিত্তি করে খাওয়ার পর ফল খেলে কি হয় তার সম্পর্কে আলোচনা করব এবং এ সম্পর্কিত তথ্য সম্পর্কে জানার প্রতি যদি আপনার আগ্রহ থেকে থাকে তাহলে জেনে নিন খাওয়ার পর ফল খেলে কি হয়। আপনারা যখন আমাদের ওয়েবসাইট থেকে এই পোস্ট করবেন এবং জেনে নিবেন খাওয়ার পরে ফল খেলে কি হয় তখন সেই অনুযায়ী আপনারা খাবার পরে ফল খেতে পারবেন এবং ফল খাওয়ার প্রতিক্রিয়াও উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারবেন।
বিভিন্ন ফলের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি গুণ রয়েছে এবং কিছু কিছু ফল রয়েছে যেগুলো আমরা মুখের স্বাদে খেয়ে থাকি। আবার অনেকেই আছে যারা খাওয়ার পরে ঝাল খাবার খাওয়ার কারনে মিষ্টি জাতীয় ফল খেতে পছন্দ করে থাকেন। বিশেষ করে যেগুলো মৌসুমী ফল সেই ফলগুলোর চাহিদা থাকে এবং তৃপ্তি মেটানোর জন্য এই ধরনের ফল আমরা খেয়ে থাকি। ফলে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি গুণ থাকার পাশাপাশি রয়েছে বিভিন্ন ধরনের কার্বোহাইড্রেট এর উপাদান এবং শর্করা ও গ্লুকোজ।
তাই আপনারা যারা খাওয়ার পর ফল খেলে কি হয় তা জানতে চান তাদের উদ্দেশ্যে বলবো যে আপনি যদি শারীরিকভাবে সুস্থ থাকেন অথবা আপনার যদি ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে তাহলে খাবার পরে ফল খেলে অবশ্যই সেটা পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে। বিশেষ করে মৌসুমী ফলের ক্ষেত্রে আপনারা খাওয়ার পরে যে প্লেট ভর্তি করে নিয়ে ফল খেতে বসবেন তাহলে নিজের ক্ষতি করবেন এবং এটা শারীরিকভাবে অনেক ক্ষতি হবে। খাওয়ার পরে ফল খেতে চাইলে অবশ্যই মূল খাবার আপনাকে পরিমাণে কম খেতে হবে এবং আপনার পাকস্থলীর জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ফল খাওয়ার জন্য জায়গা রাখতে হবে।
আপনি যদি ভরপেট খাওয়ার পর আবার পেট ভর্তি করে অতিরিক্ত পরিমাণে ফল খেয়ে থাকেন তাহলে সেটা আপনার মূল খাবার খেয়ে হজম করতে যেমন সমস্যা সৃষ্টি করবে তেমনি ভাবে এই ফলের ভেতরে যে গ্লুকোজ ও শর্করা রয়েছে সেটি আপনার রক্তের ভিতরে চর্বি এর পরিমাণ বৃদ্ধি করে দিবে। তাই আপনি যদি খাবার পরে ফল খেতে চান তাহলে অন্তত খাওয়ার 30 মিনিট পরে যেকোনো ধরনের ফল খেতে পারবেন এবং যদি সেটা মিষ্টি ধরনের ফল হয়ে থাকে তাহলে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করার জন্য অথবা শরীরের ভালোর জন্য পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে।
তবে দৈনন্দিন জীবনে আপনারা যদি ফল খেতে চান তাহলে ফল খাওয়ার ক্ষেত্রে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল খাবেন এবং যে সকল ফলে ফাইবার রয়েছে এবং যে সকল ফলের পুষ্টিগুণ রয়েছে সেগুলো বেশি পরিমাণে খাবেন। বিশেষ করে গরমকালে যে সকল ফল হয় অর্থাৎ আম এবং কাঁঠাল লিচু সহ অন্যান্য ফল খাওয়ার ব্যাপারে আপনাদের কে একটু সচেতনতা অবলম্বন করে খেতে হবে যাতে এই ফল খাওয়ার পরে আপনাদের কোন ধরনের সমস্যা না হয় অথবা শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণ চিনি জমা না হয়। তাই ফল খাওয়ার ব্যাপারে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করে ফল খাবেন যেন এটা আপনার এসিডিটির সমস্যা না করে অথবা শরীরে রক্তের ভেতরে চর্বির পরিমাণ বৃদ্ধি করে পরবর্তীতে সমস্যার সৃষ্টি না করে।
Leave a Reply