সাধারণত আমরা যারা বাঙালি বাদাম হিসেবে যে জিনিসটাকে চিনি, তাকেই মূলত চীনা বাদাম বলা হয়ে থাকে। চিনা বাদাম অন্য কিছুই নয় আমরা প্রতিদিন চলতে ফিরতে যে বাদাম বাদামওয়ালার থেকে কিনে খায় সেটাই হচ্ছে চীনা বাদাম। তবে বাদামের সঠিক উপকারিতা পেতে হলে আপনাকে কোন ধরনের ভাজাপোড়া ছাড়া সরাসরি কাঁচা বাদাম খেতে হবে। কাচা বাদামের সবথেকে বেশি পুষ্টিগুণ বজায় থাকে তাই এটা খাওয়ার অভ্যাস আপনাকে গড়ে তুলতেই হবে।
আজকের এই ছোট্ট আর্টিকেল থেকে আমরা চিদা বাদাম খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলার চেষ্টা করবে এবং এর পাশাপাশি জানবো খালি পেটে বাদাম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। বাদামের প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ হয়েছে এবং সেটা যদি আমরা খালি পেটে খাওয়ার চেষ্টা করি তাহলে অবশ্যই আমাদের জন্য সেটা অনেক ভালো এবং অনেক উপকারী জিনিস হবে। তাহলে চলুন আমরা জানার চেষ্টা করি খালি পেটে বাদাম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।
খালি পেটে বাদাম খাওয়ার উপকারিতা
মূলত শরীরের ফোলা ভাব কমাতে খালি পেটে বাদাম খাওয়া অত্যন্ত উপকারী একটি জিনিস। এখানে যেকোনো ধরনের বাদাম হতে পারে হতে পারে সেটা কাঠবাদাম অথবা কাজুবাদাম। এছাড়াও পেস্তা বাদাম থেকে শুরু করে চিনা বাদাম এই ধরনের বাদাম আমরা যারা খালি পেটে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলেছি তাদের ক্ষেত্রে শরীরের ফোলাভাব এবং শরীর কমাতে এটা অনেক বেশি সাহায্য করবে।
ভিটামিন ও খনিজ পদার্থের ভরপুর বাদাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে চিনা বাদাম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস তাই আমরা যারা শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে চাচ্ছি তারা নিয়মিত খালি পেটে চীনা বাদাম খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলবো।। শরীর সুস্থ রাখতে হলে অবশ্যই কিছু ভালো অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে যেটা ভবিষ্যতে আমাদের কাজে দেবে।
এছাড়াও চিনা বাদামের প্রচুর পরিমাণে উপকারী ফ্যাট রয়েছে যেটা আমাদের শরীরে থাকা খারাপ চর্বিগুলোকে গলাতে সাহায্য করে। আমরা সকলে অবগত আছি যে দৌড়ঝাপ করার মাধ্যমে আমরা যতটুকু চর্বি কমাতে পারি তার থেকে যদি ভালো চর্বির মাধ্যমে খারাপ চর্বিগুলোকে গলাতে পারি তাহলে সেটা সব থেকে সহজপন্থা। এবং এই পদ্ধতি একে আমরা শুধুমাত্র বসে থেকে ভালো চর্বি খেয়েই খারাপ ছবিগুলো কমাতে পারি। এজন্য চিনা বাদাম খালি পেটে খাওয়া অন্যতম একটি প্রক্রিয়া।
আমরা যদি আমিষ এর উৎস খুঁজতে চাই তাহলে আমাদের হাতের কাছে থাকা চীনা বাদাম কি সবার প্রথমে খুঁজে পাবো। তার কারণ হলো উচ্চ মাথায় আমিষের উৎস রয়েছে এ চিনা বাদামে তাই আমরা অতিরিক্ত খরচ করা থেকে দূরে থাকবো আমিষের উৎস সন্ধানের ক্ষেত্রে।পাকস্থলীতে ক্যান্সার অনেক সাংঘাতিক একটি রোগ এবং এই ক্যান্সারের নিরাময় এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে করা যায় না। এই পাকস্থলীতে ক্যান্সার হলে অনেক রোগী মারা যায় তাই পাকস্থলী ক্যান্সার দুর করতে আপনি নিয়মিত চীনা বাদাম খেতে পারেন খালি পেটে। এছাড়াও চীনা বাদাম শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে আপনাকে অনেক বেশি সাহায্য করে।
আরো ছোটবেলা থেকে যেটা জানি সেটা হচ্ছে বাদাম খেলে ত্বক উজ্জ্বল হয় এটা একেবারেই খাঁটি কথা। ত্বকের উপকারে চীনা বাদাম কাজে আসে এমন নয় এছাড়াও চুলের পুষ্টি জোগাতে ও চিনা বাদাম অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও চীনা বাদাম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় চিনা বাদাম, এছাড়াও হাড়ের ক্ষয় রোধ করতে বা হাড়ের ক্ষয় বন্ধ করতে চীনা বাদাম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমরা যারা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না তারা নিয়মিত খালি পেটে চিনা বাদাম খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলবো যার মাধ্যমে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
চীনা বাদামের পুষ্টিগুন এবং চিনা বাদামের উপকারিতা বলে এই ছোট আর্টিকেলে শেষ করা যাবে না। তাই পরবর্তীতে চিনা বাদাম সম্পর্কিত অন্য কোন আর্টিকেল নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হওয়ার প্রত্যাশায় আজকের মত শেষ করছি।
Leave a Reply