সৃষ্টিকর্তা আমাদের যেভাবে সৃষ্টি করেছেন মানুষ যতই চেষ্টা করুক সেই সৃষ্টিকে পরিবর্তন করতে সেটা সম্ভব নয়। জীবনে চলার পথে মাঝেমধ্যে অনিচ্ছাকৃতভাবে অনেকেই অনেক ধরনের এক্সিডেন্ট এর শিকার হয়। এই এক্সিডেন্ট এর ফলে অনেকের অনেক বড় ধরনের ক্ষতি হয় কিন্তু যারা এই এক্সিডেন্টে নিজের যে কোন অঙ্গ ভেঙে ফেলেন তাদের জন্য প্রধান চিকিৎসা হচ্ছে সেই অঙ্গগুলো সারিয়ে তোলা।
এই ধরনের চিকিৎসার বহু উপায়ে রয়েছে আপনি চাইলে সরাসরি ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে পারে। এছাড়াও অনেকেই চেষ্টা করে গ্রাম্য চিকিৎসা গ্রহণ করতে তার মধ্যে কবিরাজি চিকিৎসা হচ্ছে অন্যতম। বিভিন্ন গাছ গাছালের মাধ্যমে হাড় কে সারিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়।
তবে আপনি যদি যেকোনো হারজোড় বিশেষজ্ঞ দেখান তাহলে সে ক্ষেত্রে হাড় জোড়া লাগার সম্ভাবনা বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে আপনার শরীরের ওই অংশটুকু ভাঙ্গার উপর নির্ভর করে সেখানে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। তবে যে চিকিৎসায় হোক না কেন পরবর্তীতে অনেকের একটি প্রশ্ন থেকে যায় তার হাড় জোড়া লেগেছে কিনা বা তার কি অবস্থা।
আপনারা যদি এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে চান তাহলে সবার প্রথমে আপনাদের বলছি আপনারা যদি হাড় জোর সম্পর্কে জানতে চান তাহলে সবার প্রথমে নিকটস্থ যেকোনো চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে আপনার ওই অংশের একটি ডিজিটাল এক্সরে করান। এরপরে সেই এক্সরে দেখলেই আপনি বুঝতে পারবেন আপনার হাড় জোড় লেগেছে কিনা।
হাড়জোড় কি একা একাই সম্ভব
অনেকেই প্রশ্ন করে বা অনেকে ধারণা আছে হাড় নাকি একা একাই জোড়া লেগে যায়। মূলত এখানে একটি হাড়ের সঙ্গে আরেকটি হাড় যদি বিচ্ছিন্ন হয় সে ক্ষেত্রে মাঝখান থেকে কিছুটা হলেও হাড় নষ্ট হয়ে যায় এবং সেই গ্যাপ পূরণ করে হাড়ের ভেতরে থাকা ক্যালসিয়াম।
সে ক্যালসিয়াম যদি আপনার শরীরে উৎপন্ন হয় এবং আপনার হাড়ের সঙ্গে অন্য হারের সংযোগ যদি সঠিক পরিমাণে থাকে তাহলে অবশ্যই ক্যালসিয়ামের দ্বারা আপনার হাড় এমনিতেই জোড়া লেগে যাবে তবে এটা অনেক দীর্ঘ একটি প্রক্রিয়া।
কিন্তু আপনি যদি ডাক্তারের শরণাপন্ন হন তাহলে ডাক্তার প্রথমে টেস্ট করবে আপনার হারের পজিশন কি অবস্থা। তারপর তারা আপনার হারের পজিশন ঠিক করে দিবে সেটা হতে পারে হাতের মাধ্যমে হতে পারে অপারেশনের মাধ্যমে। এরপরে আপনার শরীরে অধিক মাত্র উৎপাদনের জন্য তারা আপনাকে ওষুধ প্রদান করবে এবং ব্যথা নিবারণের জন্য ব্যথার ওষুধ প্রদান করবে এবং সর্বশেষে নড়াচড়া বন্ধ করতে ব্যান্ডেজ দিয়ে দিবে।
এর ফলে আপনি তাড়াতাড়ি সুস্থ হতে পারেন এবং এই সুস্থ হওয়ার পরিমাপ এমনি সুস্থ হওয়ার থেকে অনেক তাড়াতাড়ি হয় যাতে আপনার পক্ষে সহ্য করা যায়।
কিভাবে বুঝবেন জন্ডিস হয়েছে
জন্ডিস মূলত এমন একটি রোগ যে রোগ মনে হলে খুব ছোট একটি রোগ কিন্তু আস্তে আস্তে এই রোগটি আপনার শরীরে অনেক বেশি ক্ষতি করতে পারে। হঠাৎ করেই আপনার শরীর অনেক দুর্বল হয়ে গেছে এবং চোখগুলো কেমনজানি হলুদ হয়ে গেছে।
অনেকের ক্ষেত্রে গোটা শরীর হলুদ হয়ে যায় এবং খাবারের প্রতি একেবারে কোন আগ্রহ থাকে না। এক্ষেত্রে আপনার মাঝেমধ্যে শরীরে অত্যাধিক জ্বর আসতে পারে এবং সেই জ্বরটি এমনি এমনি ঠিক হয়ে যেতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে বমি বমি ভাব আসতে পারে এবং অনেকে পেটের ব্যথা অনুভব করতে পারে।
এই ধরনের লক্ষণ যদি আপনার হয়ে থাকে এবং আপনার প্রস্তাবের কালার যদি হলুদ হয়ে থাকে তাহলে আপনি নিকটস্থ চিকিৎসা কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে রক্তের একটি টেস্ট করাতে পারেন যার মাধ্যমে আপনি কনফার্ম হতে পারেন আপনার জন্ডিস হয়েছে।
কিভাবে বুঝবেন জ্বর হয়েছে
জ্বর হওয়া একটি স্বাভাবিক ব্যাপার কিন্তু ঘনঘন যাওয়ার হওয়া বা অত্যাধিক জ্বর হওয়া মোটেই স্বাভাবিক নয়। কিন্তু আমরা অনেকেই ভাবি শরীর একটু গরম হলেই অর্থাৎ তাপমাত্রা একটু বৃদ্ধি পেলেই তার নাম।
কিন্তু আপনাদের সুবিধার্থে জানিয়ে রাখি আপনারা যদি শরীরে তাপমাত্রা সঠিকভাবে মানতে পারেন তাহলে সে তাপমাত্রা যদি ৯৯ ডিগ্রি এর বেশি হয় তাহলে সেটা জোর বলে গণ্য হবে।
Leave a Reply