কোর্টে বিয়ে করার নিয়ম

কোর্টে বিয়ে করার নিয়ম

আপনারা যারা কোর্টে গিয়ে উকিল এর মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন করতে চান তাদের জন্য আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে কোটে বিয়ে করার নিয়ম কি। কোর্টে বিয়ে করার নিয়ম অনুসরণ করতে চাইলে আজকের এই পোস্ট আপনার ভালোমতো পড়বেন এবং এই নিয়ম অনুসরণ করে আপনারা প্রত্যেকটি কাজ সম্পন্ন করলে দুইজন মানুষ স্বামী এবং স্ত্রী হিসেবে নতুনভাবে জীবন শুরু করার ঘোষণা দিতে পারবেন। আমরা অনেকেই বলে থাকে যে কোর্ট ম্যারেজ করা হয়েছে এবং এর মাধ্যমে আপনারা দুজন স্বামী স্ত্রী।

কিন্তু প্রচলিত এই ধরনের কোনো ভিত্তি নেই এবং এক্ষেত্রে আপনারা কোর্ট ম্যারেজ এর পরিবর্তে একজন কাজের উপস্থিতিতে আপনার বিবাহের যাবতীয় তথ্য প্রদান করার মাধ্যমে যে সরকারই নিবন্ধন করলেন তার মাধ্যমে আপনারা যে বিয়ে করছেন তার জন্য পারিবারিকভাবে ঘোষণা দিতে পারবেন এবং অপরকে জানাতে পারবেন যে আপনাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে। তাই একজন কাজের কাছে উপস্থিত থেকে আপনারা যখন বিবাহের যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করবেন তখন আপনাদেরকে যে সকল নিয়মগুলো অনুসরণ করতে হবে তা আজকে আমাদের ওয়েবসাইটের আলোচ্য বিষয়বস্তু।

আবার অনেকেই ভেবে থাকেন যে সরকারই উকিলের কাছে গিয়ে আপনাদের বিবাহের অনুষ্ঠান সম্পন্ন করবেন এবং এক্ষেত্রে আপনাদেরকে বলবো যে তাদের কাছে যদি বিবাহের অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে চান তাহলে 200 টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে আপনাদের বিবাহের তথ্য লিপিবদ্ধ করতে পারেন এবং এই তথ্য নিয়ে কাজ এর কাছে গিয়ে আপনাদের বিবাহের তথ্য নিবন্ধন করার মাধ্যমে কাবিননামা অর্থাৎ বিভাগ যাবতীয় শর্ত পূরণ করতে পারেন। আপনি যখন কোর্ট ম্যারেজ করতে যাবেন তখন আপনাকে অবশ্যই প্রাপ্তবয়স্ক হতে হবে এবং এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের নিয়ম অনুসরণ করে ছেলেদের 21 বছর এবং মেয়েদের 18 বছর হতে হবে।

ছেলের এবং মেয়ের জাতীয় পরিচয় পত্র থাকতে হবে এবং জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার প্রদান করার পাশাপাশি মাধ্যমিক পরীক্ষার সার্টিফিকেট এবং অন্যান্য প্রাতিষ্ঠানিক তথ্য প্রদান করা লাগবে। তাছাড়া আপনাদের সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি করে ছবি দিতে হবে। বিবাহের এই নিবন্ধনে আপনাদেরকে দুইজন সাক্ষী উপস্থিত থাকতে হবে এবং সাক্ষীর তথ্য এবং সাক্ষীর জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার সহ ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান করতে হবে। এসব প্রশ্ন আপনারা যখন প্রদান করলেন তখন পাত্রের এবং পাত্রের অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান করবেন।

যেমন তিনি কোথায় থাকেন এবং কার পুত্র বা কার কন্যা এসকল তথ্য প্রদান করার পাশাপাশি কত তারিখে বিয়ে করছেন এবং কোথায় বিয়ে করছেন এ সকল তথ্য প্রদান করার মাধ্যমে সাক্ষীর এবং কাজের নাম সেখানে স্বাক্ষর করতে হবে এবং পাত্র-পাত্রীর স্বাক্ষর প্রদান করতে হবে। এগুলো সম্পন্ন করার পর আপনাদেরকে বিবাহের জন্য কাবিননামা নির্ধারণ করতে হবে এবং দেনমোহর নির্ধারণ করে যদি পারেন তাহলে সেটা শোধ করে দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।

তারপরে আপনাদের সেখানে কাজেই ফি প্রদান করতে হবে এবং সরকারি রেজিস্ট্রেশন ফি অনুসরণ করে সেই ফি প্রদান করবেন এবং আপনাদের এভাবে বিবাহ সম্পন্ন হওয়ার পর কাবিননামার ডকুমেন্টস সেখান থেকে সংগ্রহ করবেন। তাহলে কাবিননামার এই তথ্য সংগ্রহ করার মাধ্যমে পরবর্তীতে সংসারে কোনো অশান্তি হলে আপনাদের তালাক প্রদান করতে সুবিধা হবে তেমনি ভাবে সন্তানের ওয়ারিশ অথবা সন্তানের বৈধতা যাচাই এর জন্য এ সকল তথ্য খুবই কাজে লাগবে।

About শাহরিয়ার হোসেন 4780 Articles
Shahriar1.com ওয়েবসাইটে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই পাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*