কোরবানির দিনের আমল

কোরবানির দিনের আমল

আমরা যারা বিস্তারিত ইতিহাস জানে না তারা অন্তত এটা জেনে থাকে যে কোরবানির দিনে পশু কোরবানি করা হয় এবং মহান আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি অর্জন করা হয়। যখন হযরত ইসমাইল (আ) কে তার পিতা আল্লাহপাকের সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য মহান আল্লাহ পাকের উদ্দেশ্যে কোরবানি করতে যাচ্ছিলেন তখন তার পরিবর্তে একটি পশু চলে আসে এবং সেই সন্তান বেঁচে যায়। মূলত আমাদের যে সকল প্রাণীর প্রতি মায়া রয়েছে অথবা যে সকল প্রাণী আমাদের প্রিয় প্রাণী সে সকল প্রাণীকে আমাদের কোরবানি করতে হয়।

তবে কোরবানি করার বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের বিধি নিষেধ রয়েছে এবং বিভিন্ন ধরনের আমলের পাশাপাশি বিভিন্ন নিয়ম মেনে চলতে হয়। যেহেতু মুসলিম সুন্নাহর জন্য বছরের দুইটি শ্রেষ্ঠ দিন হল পবিত্র দুইটি ঈদ সেহেতু ঈদুল আযহা হল একটি অন্যতম দিন। হজ পালন করার পাশাপাশি জিলহজ মাসের ১০ তারিখে এই কোরবানি করার ভেতর দিয়ে আমরা আমাদের ভেতরের পশুত্বকে দূর করতে পারি তেমনি ভাবে মহান আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারি।

আল্লাহ পাক আমাদের জীবনকে সুন্দরভাবে পরিচালনা করার জন্য এবং আমাদের জীবনের ভেতরে যাতে শান্তির হিমেল হাওয়া বইতে পারে তার জন্য বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা করেছেন। আমাদের কাজে-কর্মে যাদের শক্তি ফিরে আসে তার জন্য বিভিন্ন ধরনের নিয়ম বলে দিয়েছেন অথবা হাদিসের মাধ্যমে আমরা এগুলো জানতে পেরেছি তেমনি ভাবে মানসিকভাবে শান্তিতে থাকার জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পবিত্র ঈদুল আযহা একটি অন্যতম খুশির দিন হওয়াতে মুসলমানেরা এই বিশেষ দিনে সমর্থ অনুযায়ী কোরবানি করে থাকেন এবং কোরবানি করার ভেতর দিয়ে আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি অর্জন করা সম্ভব হয়।

ত্যাগের এই মহিমার ভেতর দিয়ে আমরা মহান আল্লাহপাকের সন্তুষ্ট রাখতে পারি এবং আমরা যখন আমাদের জীবনের সৎপথে উপার্জনের টাকা দিয়ে কোরবানি করতে পারে তখন দেখা যায় যে কোরবানি কবুল হয়ে গেলে সেই পশুর গায়ে যতগুলো লোম রয়েছে তার সমপরিমাণ সওয়াব পেয়ে থাকি। পশু কোরবানির এই বিশেষ দিনে দুই রাকাত নামাজ রয়েছে এবং এই দুই রাকাত নামাজ আমরা ঈদুল আযহার নামাজ হিসেবে বিবেচনা করে থাকি। কোরবানি করার পাশাপাশি আপনারা যখন বিভিন্ন ধরনের আমল করতে চাইবেন এবং যে সকল আমল করলে নিজেদের এবং সকলের উপকার হয় সে সকল আমলগুলো আপনারা করতে পারেন।

আপনারা ঈদুল আযহা বা কোরবানির দিনের গুরুত্বপূর্ণ আমল গুলো জানার জন্য আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করেছেন বলে এখান থেকে তা জেনে নিতে পারবেন। ঈদুল আযাবা কোরবানির দিনের গুরুত্বপূর্ণ আমল হিসেবে আপনার অবশ্যই সেই বিশেষ দিনটিতে গোসল করবেন এবং সুগন্ধি ব্যবহার করার পাশাপাশি পরিষ্কার ধৌত জামাকাপড় ব্যবহার করবেন। এগুলো ব্যবহার করার সুন্নত। নিজেকে পাপ পবিত্র করার পর ঈদগাহের ময়দানে যেতে হবে এবং সেখানে দুই রাকাত ঈদের সালাত ওয়াজিব নামাজ হিসেবে আদায় করতে হবে। এক্ষেত্রে আমাদের সকলকে এমন উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে যাতে করে সকলেই খোলা ময়দানে ঈদের জামাত আদায় করতে পারে এবং এক্ষেত্রে মসজিদ কমিটি অথবা ঈদের নামাজ কমিটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা গুলো গ্রহণ করতে পারেন।

এদের এই বিশেষ আনন্দের দিনে আপনারা যখন নামাজ আদায় করতে যাবেন তখন এক রাস্তা দিয়ে যাবেন এবং ফেরত আসার সময় অন্য রাস্তা ব্যবহার করাটা সুন্নত হবে। রাস্তা দিয়ে যাওয়া এবং আসার সময় আপনারা যদি তাকবির পড়তে পারেন তাহলে সেটা খুব ভালো হবে। বছরের এই বিশেষ দিনটিতে আমরা দুই রাকাত যেহেতু ওয়াজিব নামাজ আদায় করতে পারব সেহেতু অবশ্যই এদের সালাত আদায় করার জন্য আমরা সেখানে গিয়ে অবশ্যই খুতবা শুনবো এবং এই খুতবা শোনাটা ওয়াজিব।

এরপরে যখন আপনারা হালাল পশুকে কোরবানি করবেন তখন অবশ্যই যাবতীয় নিয়ম মেনে সেই কুরবানী সম্পন্ন করতে হবে এবং এই ক্ষেত্রে যে সকল আমলগুলো রয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। তারপরে কোরবানির গোশত সকলের মাঝে নিয়ম অনুসরণ করে সমানভাবে ভাগ এবং বন্টন করতে হবে।

About শাহরিয়ার হোসেন 4780 Articles
Shahriar1.com ওয়েবসাইটে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই পাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*