আপনি কি অনলাইনে জমিজমাসংক্রান্ত কাজ করতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনার জন্য সুসংবাদ রয়েছে। আপনি এখন থেকে অনলাইনে জমি খারিজ করতে পারবেন। এবং জমির মালিকানা যাচাই ও খতিয়ান দেখার কাজটাও সেরে নিতে পারবেন ইন্টারনেটের মাধ্যমে। কিভাবে কি করতে হবে তার বিস্তারিত আলোচনা থাকছে আজকের পোস্টে। তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে চলুন মূল আলোচনা শুরু করা যাক।
অনলাইনে জমি খারিজ/নামজারি (Mutation) এর আবেদন
এমন কোন কাজ নেই যা বর্তমানে অনলাইনে সম্পন্ন করা যায় না। বাংলাদেশ সরকারের ডিজিটাল মাস্টারপ্ল্যানের আলোকে সকল অফিস এর কার্যাবলী অনলাইনে সম্পন্ন করা যাচ্ছে। জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে কাজগুলো অনলাইনে করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এতে দালালদের দৌরাত্ম্য কমেছে।
কিভাবে কি কাজ করা হয় তা জানার জন্য এই লেখাটির খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আশা করব প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পুরো আলোচনাটি পড়বেন।
জমি খারিজ করতে কত টাকা লাগে
জমি খারিজ করতে কত টাকা লাগে তার নির্দিষ্ট কোনো হিসাব নেই। বিভিন্ন অঞ্চল ভেদে আলাদা হয়ে থাকে। আপনার জমির অবস্থান এবং জমির পরিমান প্রধান দুটি নিয়ামক যা জমি খারিজের খরচ নির্ধারণ করে। সিটি কর্পোরেশন বা মেট্রোপলিটন এলাকার জমি খারিজ করতে বেশি টাকার প্রয়োজন হয়। অন্যদিকে গ্রামাঞ্চল মফস্বল এলাকার জমি খারিজ করতে অল্প টাকা লাগে।
তবে প্রতিটি ক্ষেত্রেই খরচ নির্ধারিত হয় সরকার প্রদত্ত নিয়ম অনুসারে। আর দালালদের মাধ্যমে জমি খারিজ করতে গেলে বেশি টাকা দেওয়া লাগবে। জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে সাধারণ মানুষ অবগত নয় বলেই দালালেরা সুযোগ গ্রহণ করে।
বর্তমানে সরকারের ডিজিটালাইজেশনের ফলে দালালদের দৌরাত্ম্য অনেকটা কমে গেছে। আপনি যদি নিজে সকল হিসেব বুঝেন তাহলে নিজে নিজে অনলাইনে জমি খারিজ করতে পারবেন। এবং সে ক্ষেত্রে অনেক টাকা সাশ্রয় হবে।
Leave a Reply