কোন ব্যক্তির দ্বারা অথবা কোন প্রতিষ্ঠানের দ্বারা আপনার যদি মান সম্মান ক্ষুণ্য হয়ে থাকে তাহলে আপনি হয়তো অনেক সময় আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকেন অথবা অনেক দিক থেকে আপনার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবেশের সৃষ্টি হয়ে যায়। বর্তমান সময়ে অফলাইন অথবা অনলাইনের মাধ্যমে কারো মানহানি করা হচ্ছে অথবা মানসম্মানের ক্ষতি করা হচ্ছে। তাই আপনি অথবা আপনার অধীনে যে সকল সদস্য অথবা পারিবারিক সদস্য রয়েছে তাদের অভিভাবক হিসেবে আপনারা মানহানির মামলা করতে পারেন।
আজকে এই পোষ্টের মাধ্যমে কিভাবে মানহানির মামলা করতে হয় তা আপনাদেরকে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। আপনি যদি এ বিষয়ে জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটের এই পোস্ট অনুসরণ করবেন এবং সঠিক পদ্ধতি জেনে নেওয়ার পাশাপাশি কিসের জন্য আপনারা এই মামলা করবেন অথবা এই মামলা করার ক্ষেত্রে কি কি পদ্ধতি কাজে লাগানো হয় তা জেনে নেওয়ার চেষ্টা করবেন।
আমাদের সমাজে যারা বসবাস করে তারা যে পেশাজীবী হয়ে থাকুক না কেন প্রত্যেকের মান সম্মান রয়েছে। আপনি আপনার ক্ষমতা এবং অর্থের প্রতিপত্তির কারণে কারো যে মান-সম্মান নষ্ট করবেন সেই ক্ষমতা আপনাকে দেওয়া হয়নি। আইনের দৃষ্টিতে সকলে সমান এবং সকলেরই স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে। আপনার সমপর্যায়ের কোন একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি হয়েছে এবং সেই প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা বন্ধ করার জন্য আপনি যদি তার প্রতিষ্ঠানের মান-সম্মান নষ্ট করেন অথবা তাদের গুড নষ্ট করার চেষ্টা করেন তাহলে দেখা যাবে যে তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাবে এবং বিভিন্ন দিক থেকে সমস্যার ভেতরে পতিত হবে।
তাই আপনি যখন ইচ্ছা প্রণোদিত হয়ে কারো মান-সম্মান নষ্ট করার চেষ্টা করবেন তখন সেটা মানহানির পর্যায়ে পড়ে যাবে। কোন পার্শ্ববর্তী প্রতিবেশী আপনার মান সম্মান ক্ষতি করার চেষ্টা করলে এবং তার জন্য আপনি যদি প্রমাণ রাখতে পারেন অথবা কেউ যদি আপনার পক্ষে সাক্ষ্য দিতে রাজি হয়ে থাকে তাহলে আপনারা থানায় গিয়ে মামলা করতে পারবেন। আবার অনলাইনের মাধ্যমে কেউ যদি আপনার মান-সম্মান নষ্ট করার জন্য বিভিন্ন ধরনের শব্দ অথবা ভাষা ব্যবহার করা থাকে অথবা কেউ যদি বিভিন্ন ধরনের প্রতীক ও চিহ্ন ব্যবহার করে থাকে তাহলে সেটাও মানহানির পর্যায়ে পড়ে যাবে। অর্থাৎ কোনভাবে আপনাকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করা হলে এবং সেটা তারা যদি আপনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকেন তাহলে যথাযথ প্রমাণ সংগ্রহ করবেন।
অনলাইনে যদি এটি করার চেষ্টা করে থাকে তাহলে সেটা প্রমাণপত্র হিসেবে স্ক্রিনশট দিয়ে রাখবেন এবং রেকর্ড এর মাধ্যমে তা যদি থানায় উপস্থাপন করতে পারেন তাহলে আপনি মানহানির মামলা করতে পারবেন। আর যদি এটা অফলাইনে হয়ে থাকে তাহলে ভিডিও ধারণ করার মাধ্যমে অথবা পরিচিত কোন সাক্ষী প্রদান করবে এমন ব্যক্তির মাধ্যমে থানায় গিয়ে মামলা করলে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। প্রধানত আপনারা যখন প্রমাণপত্র দাখিল করতে পারবেন তখন আপনাদের এটা কাজে আসবে এবং আপনি যার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করতে চান তাকে আদালতে সমন জারি করা হবে।
আদালতে সমন জারি করার মাধ্যমে সেই ব্যক্তি উপস্থিত হবেন এবং সেই প্রতিষ্ঠান উপস্থিত হওয়ার মাধ্যমে যাবতীয় তথ্য ও প্রমাণের সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অনলাইন অথবা অফলাইনে যে মাধ্যমে হয়ে থাকুক না কেন উভয়ের ক্ষেত্রে একজন ম্যাজিস্ট্রেট আত্মপক্ষ সমর্থন করবেন এবং বিষয়টি বিবেচনা করে মামলা খারিজ করে দেবেন অথবা সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে যথাযথ প্রমাণপত্র দাখিল করতে পারলে তাকে অর্থদণ্ড এবং সশ্রম কারো জন্য প্রদান করা হবে।
যদি কোন ভাবে সেই প্রতিষ্ঠান অথবা সেই ব্যক্তি উপস্থিত হতে না পারে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হবে এবং এরেস্ট করার মাধ্যমে পরবর্তীতে বিচার কার্য পরিচালনা করা হবে। আমরা মনে করি যে এই পোষ্টের মাধ্যমে মানহানির মামলা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য আপনারা বিস্তারিত জানতে পেরেছেন এবং সকলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
Leave a Reply