
মাথাব্যথা চলতে জীবনে অনেক বড় একটি সমস্যা এবং সাংঘাতিক ব্যাপার। সাধন তো আমাদের পুরো শরীর মস্তিষ্ক দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা হয় এবং আল্লাহ তা’আলা আমাদের এই ভাবেই তৈরি করেছেন। আমাদের ব্রেন যা করতে বলবে আমাদের পুরো শরীর সেটাই করবে এবং সেই ব্রেইনে যদি কোন ধরনের সমস্যা হয় বা ব্রেনের আশেপাশে কোন সমস্যা হলে আমরা তখন আর সেটা বুঝতে পারি।
বর্তমানে মাইগ্রেনের সমস্যা প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এই মাইগ্রেনের সমস্যার জন্য মাথাতে স্বাভাবিকভাবে ব্যথা হয় এছাড়াও আরো অন্যান্য কারণে মাথাতে ব্যথা হতে পারে। আজকে আমরা জানার চেষ্টা করব মাথার কোন পাশের ব্যথা কি সমস্যার কারণ হিসেবে হতে পারে এবং এই ব্যথাগুলো থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় সম্পর্কে। আর মাথার ব্যথা দেখে আপনি কিভাবে বুঝবেন আপনার কি সমস্যা হয়েছে সেগুলো।
মাথার ব্যথা দেখে বুঝুন আপনার কি সমস্যা হয়েছে
যদি মাথা ব্যথা আপনার কোন এক পাশে হয় তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে এটা মাইগ্রেনের সমস্যা। সাধারণত এই ব্যথাটা মাথার বাম পাশে অথবা মাথার ডান পাশে বেশি হয় গোটা মাথা জুড়ে হয় না।। এই সময় আপনার মাথাতে এক ধরনের স্পন্দনের সৃষ্টি হয় যেটা আপনি বুঝতে পারবেন এবং এটা মাইগ্রেনের লক্ষণ। যে সকল রোগীর এই ধরনের সমস্যা হয় তাদের অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত তবে মাইগ্রেনের সমস্যা পুরোপুরি ঠিক হয় না কিছু নিয়ম মেনে চললে আস্তে আস্তে এটা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
মাথার চারদিক জুড়ে যে ব্যথা হয় সেটা হচ্ছে টেনশনের হেডেক এর সমস্যা অর্থাৎ আপনি অতিরিক্ত টেনশন করছেন এবং এই অতিরিক্ত টেনশন থেকে এই সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। মানসিক সমস্যার কারণে এবং দুশ্চিন্তার কারণে এই মাথার সৃষ্টি হয় যে মাথা চারিদিকে ব্যথা করে এবং সেই ব্যথা সমাধান করতে হলে আপনাকে অবশ্যই টেনশন মুক্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে। মুখমণ্ডলের আশেপাশে ব্যথা অর্থাৎ মাথার ব্যথা সাধারণত মুখের কাছাকাছি হচ্ছে সেই ব্যথা থেকে আপনি বুঝবেন যে এটা হচ্ছে সাইনাস হেডেক। তবে এই সাইনাস হেডেক অনেক বিরল একটি রোগ এবং এই রোগ সচরাচর সকলের হয় না তবে অবশ্যই আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে মুখমন্ডলের ব্যথাগুলো থেকে।
হঠাৎ যে কোন অংশে ব্যথা হলে সেটাকে বলা হয় ঠান্ডার ক্যাপ হেডেক। সাধারণত মাথার ভেতরে কেমন জানি না মনে হচ্ছে বজ্রপাতের মতন সমস্যা সৃষ্টি হয় এবং এই ব্যথা আস্তে আস্তে তীব্র থেকে তীব্র তর হয়। এবং হঠাৎ করে এই ব্যথা আপনার মাথাতে পাঁচ থেকে দশ মিনিট স্থায়ী হয়ে আবার কখন যেন চলে যায় আপনি নিজেও বুঝতে পারেন না। এ ধরনের ব্যথার জন্য অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আপনাকে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে হবে।
চোখের পেছনে যে ব্যথা হয় সেটাকে বলা হয় ক্লাসটার হেডেক। সাধারণত মাথায় ব্যথা হচ্ছে কিন্তু আপনি বুঝতে পারছেন না সেই ব্যথাটা কোথায় হচ্ছে এবং মাথার বিভিন্ন দিকে হাত দেওয়ার ফলে আপনি সেটা বুঝতে পারছেন না। কিন্তু বুঝতে পারছেন চোখের ভেতরে কেমন জানি একটা ব্যথা করছে সেটাকে বলা হচ্ছে প্লাস্টার হেডেক। এই হেডেকগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পুরুষের উপর বেশি প্রভাবিত হয় এবং এর কারণে চোখ লাল লাল ভাব এবং চোখে জ্বলা পড়া ও ক্রান্তি আসতে পারে।
মাথার উপরিভাগে বা মুখমন্ডলে উপরিভাগে যে ব্যাথা হয় সেটাকে বলা হয় অ্যালার্জি হেডেক। যে ধরনের এলার্জি হেডেক সাইনাসের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং ঋতু ভিত্তিক হয়ে থাকে সেই ধরনের হেডেকের কারণে সাধারণত এই ব্যথা হয়। হঠাৎ করে ঠান্ডা লাগলে এই ব্যথা অনেকেই অনুভব করে এবং এর সঙ্গে সর্দি বা হাসিও হতে পারে। কপালে বা মাথার এক পাশে ব্যথা হলে এয়ার প্লেন হেডেক বলা হয় এবং সেই ব্যাথার কারণে অনেকেই অনেক ধরনের সমস্যায় ভুগতে পারেন। তবে আকাশ পথে ভ্রমণে ক্ষেত্রে প্রতি ১২ জনের একজনের এই হেডেক হতে পারে বলে গবেষণায় পাওয়া গেছে।
Leave a Reply