তোমরা যারা মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছ তাদের সকলের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা। আশা করি তোমাদের সকলের লক্ষ্য পূরণ হবে। মেডিকেল মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় একটি যুদ্ধের মতো। আমাদের অনেকেরই সেই ছোট্ট বেলা থেকে জীবনের একমাত্র লক্ষ্য থাকে ডাক্তার হওয়া। জীবনের সেই লক্ষ্য পূরণের উদ্দেশ্যে বারটি বছর অক্লান্ত পরিশ্রম করে আমরা সবাই পড়াশোনা করে। আর ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন পূরণের জন্য মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার কোনো বিকল্প নেই।
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার যোগ্যতা
সরকারি অথবা বেসরকারি যে মেডিকেল কলেজ হোক না কেন ভর্তি পরীক্ষায় পাশ করে যোগ্যতা অর্জন করেই ভর্তি হওয়া যাবে। তাই যাদের একমাত্র লক্ষ্য চিকিৎসক হওয়া, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা তাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পরীক্ষা। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষাকে একটি যুদ্ধের মতো বলার কারণ হলো এই পরীক্ষা অনেক প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়। সারা দেশের হাজার হাজার বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে থাকে, অথচ আসন সংখ্যা থেকে অত্যন্ত কম।
তাই যারা ডাক্তার হতে চাও তাদের অত্যন্ত পরিশ্রম করে পড়াশোনা করে আর সকলের চেয়ে এগিয়ে থাকতে হবে। আজ আমরা আমাদের লেখায় মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার জন্য কিভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে তা তুলে ধরবো। তোমরা যারা মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা সম্বন্ধে জানতে আগ্রহী তারা আমাদের এই লেখাটা পড়তে পারো।
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা প্রস্তুতি ২০২৪
প্রথমত মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য তোমাকে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী হতে হবে। এসএসসি ও এইচএসসির জিপিএ যোগ করে 9 হওয়া লাগবে ভর্তি পরীক্ষায় আবেদনের জন্য। এসএসসি এবং এইচএসসি তে জীববিজ্ঞান বিষয়ে অবশ্যই থাকতে হবে এবং জীববিজ্ঞান এর নূন্যতম জিপিএ 3.5 থাকা লাগবে। এ তো গেল ভর্তি হওয়ার যোগ্যতা ,এ বার আসি ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে।
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার সিলেবাস ২০২৪
পদার্থ রসায়ন জীববিজ্ঞান ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞান এই বিষয়গুলোর উপরেই মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন আসে জীববিজ্ঞান থেকে তারপর রসায়ন থেকে। ইংরেজি ও সাধারন জ্ঞান থেকে সবচেয়ে কম প্রশ্ন আসে। সুতরাং বুঝতেই পারছ যে মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো জীব বিজ্ঞান রসায়ন ও পদার্থ। তবে ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞান ও সমানভাবেই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিটি মার্কস-ই গুরুত্বপূর্ণ।
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা হয় 100 নম্বরের। এসএসসি ও এইচএসসির রেজাল্ট এর উপর থাকে 200 নম্বর। এসএসসি রেজাল্ট এর সাথে 15 গুণ করা হয় এবং এইচএসসি রেজাল্ট এর সাথে গুণ করা হয় 25। এই মোট 300 নম্বরের পরীক্ষা হয়। যারা এসএসসি ও এইচএসসি তে জিপিএ 5 পেয়ে থাকে তাদের তো আগে থেকেই 200 নম্বর কভার হয়ে থাকে, বাকি থাকে আর 100 নম্বর। তাই এসএসসি ও এইচএসসি তে জিপিএ 5 পাওয়া গুরুত্বপূর্ণ মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় এগিয়ে থাকার জন্য। তবে যারা এসএসসি ও এইচএসসি তে জিপিএ 5 পাওনি তাদের হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই। তবে ভর্তি পরীক্ষায় তোমাদের এগিয়ে থাকতে হবে, এসএসসি এইচএসসির রেজাল্টের ক্ষতিটা পুষিয়ে নেবার জন্য।
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার জন্য বই
তোমরা অনেকে প্রশ্ন করে থাকো ভাইয়া কত নম্বর পেলে আমি মেডিকেলে চান্স পাবো। আসলে এই প্রশ্নের কোন নির্দিষ্ট উত্তর নেই । মনে করো সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে 3000 সিট আছে, তাহলে সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় তোমায় প্রথম তিন হাজার জনের ভিতর থাকতে হবে। এখন মনে করো 290 স্কোর করেছে 3,000 জন, তাহলে সেই 3000 জন-ই সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবে। আশা করি তোমরা তোমাদের উত্তরটা পেয়ে গেছো।
বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য তোমাকে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় ন্যূনতম পাস করতে হবে। পাস মার্ক হল 40।
আমাদের আজকের এই লেখা টি ছিল মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা সম্বন্ধে যারা কিছুই জানোনা তাদের জন্য। অনেকেই মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা দিতে চায়, কিন্তু তারা এই ব্যাপারে তেমন কিছুই জানে না। তাদের অনেক কৌতুহল থাকে বিষয়গুলো জানার।
আমি আবারো বলছি মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য পরিশ্রমের কোন বিকল্প নেই। পরিশ্রমই তোমাকে অন্যদের থেকে এগিয়ে রাখবে। তাই দেরি না করে আজ থেকে শুরু করে দাও। আর এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে আমাদের সাথেই থাকো।
Leave a Reply