মেডিকেল ছুটির নিয়ম জেনে নিন বিস্তারিত

মেডিকেল ছুটির নিয়ম জেনে নিন বিস্তারিত

বাংলাদেশ সরকার শুধুমাত্র সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য বিভিন্ন ছুটির ব্যবস্থা করেছেন যাতে করে একজন চাকরিজীবী তার জরুরী মুহূর্তে ছুটি গ্রহণ করতে পারে। দৈনন্দিন জীবনে আমাদের বিভিন্ন কাজে রয়েছে এবং সেই কাজের জন্য যখন প্রতিষ্ঠান থেকে ছুটি নিব তখন সেই ছুটিগুলো কিভাবে নেব সে বিষয়ে জানাটা জরুরী। সাধারণ যে সকল ছুটি গ্রহণ করা হয় সেগুলোর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করার সুযোগ রয়েছে এবং এক্ষেত্রে আমরা আমাদের কাজগুলো নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করে আবার কর্মস্থলে যোগদান করতে পারি।

কিন্তু একজন সরকারি চাকরিজীবী যদি স্বাস্থ্যগত সমস্যা থেকে থাকে তাহলে তাকে মেডিকেল ছুটি গ্রহণ করতে হবে এবং মেডিকেল ছুটি গ্রহণ করার ক্ষেত্রে সেই ব্যক্তি জানেনা তার সুস্থতা আসতে কতদিন লাগতে পারে। তাই অসুস্থতার উপরে নির্ভর করে আপনি যখন মেডিকেল ছুটি গ্রহণ করবেন তখন কোন নিয়ম অনুসরণ করে গ্রহণ করবেন তা আজকের এই পোস্ট থেকে জেনে নিবেন।

একটা মানুষ স্বাভাবিকভাবে সুস্থতা অবলম্বন করছে এবং সরকারি চাকরিতে যোগদান করার পর সেখানে সার্ভিস প্রদান করছেন। কিন্তু মানুষের শরীর স্বাস্থ্যের কথা ঠিকভাবে বলা যায় না এবং বিভিন্ন কারণে একটা মানুষ যখন অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন তার পুরোপুরি বিশ্রামের প্রয়োজন হয় এবং চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। চাকরির পাশাপাশি চিকিৎসা গ্রহণ করতে হলে দেখা যাবে যে সেই ব্যক্তিটি খুব একটা ভালোমতো সুস্থ হচ্ছে না। সাধারণত যে ধরনের অসুখ হয় সেই অসুখগুলোর ক্ষেত্রে ছুটি গ্রহণ করাটা স্বাভাবিক এবং যদি কোন বড় ধরনের অসুখ হয় তাহলে সেই ছুটির জন্য একজন চাকরিজীবী মেডিকেল ছুটি গ্রহণ করবে এবং চিকিৎসার জন্য এই ছুটি গ্রহণ করে সুস্থতা আনয়ন করবে।

তাই আপনি যখন মেডিকেল ছুটির আবেদন সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তখন আমরা আপনাদেরকে বলব যে মেডিকেল ছুটির সর্বোচ্চ দুই বছর পর্যন্ত নেওয়া যাবে। আমরা যদি ছুটি বিদ্যামালা অনুযায়ী কিছু তথ্য প্রদান করতে চাই তাহলে আপনি সর্বোচ্চ এককালীন ৬ মাস ছুটি গ্রহণ করতে পারবেন এবং এর ওপরে যদি আপনার আরো ছুটির প্রয়োজন হয় তাহলে সেই ক্ষেত্রে আপনাকে অর্ধ গড় বেতনে এই ছুটি ভোগ করার সুযোগ প্রদান করা হবে। তাই কারো যদি মেডিকেল ছুটির প্রয়োজন হয় তাহলে সেই ক্ষেত্রে মৌখিক কোনো কাগজ দিয়ে কোন লাভ হবে না বরং তাকে মেডিকেল সার্টিফিকেট প্রদান করতে হবে।

যে মন্ত্রণালয়ের অধীনে অথবা যে ক্যাটাগরিতে চাকরি করছে তার হেড অফিসে এই ছুটির জন্য আবেদন করতে হবে এবং মেডিকেল সার্টিফিকেট দাখিল করে ছুটিটা গ্রহণ করতে হবে। যদি সেই ছুটির তিন মাসের অধিক পরিমাণ গ্রহণ করার প্রয়োজন হয় অথবা তিন মাসের ভেতরে সুস্থতা না আসে তাহলে মেডিকেল সার্টিফিকেটের পাশাপাশি মেডিকেল বোর্ডের সার্টিফিকেট প্রদান করতে হবে। এক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ যদি মেডিকেল বোর্ডের সার্টিফিকেট পেয়েও সন্তুষ্টি অবলম্বন করতে না পারে অথবা আপনার অসুস্থতা নিয়ে সংবিধান প্রকাশ করে অথবা ছুটি প্রদান করতে অপারগতা প্রকাশ করে তাহলে অবশ্যই দ্বিতীয়বার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে সেই স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাগজপত্র প্রেরণ করতে হবে।

শুধু যে ছুটি গ্রহণ করলেই হবে তা নয় বরং ছুটি গ্রহণ করার পরে আপনি সুস্থতা অর্জন করেছেন কিনা তা আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে।এক্ষেত্রে শারীরিক পরীক্ষা করে আপনার ফিটনেস যাচাই করা হবে এবং আপনি যখন ফিটনেস সার্টিফিকেট দাফিল করবেন তখন আপনাকে আবার যোগদান করার সুযোগ প্রদান করা হবে। তিন মাসের যদি অধিক ছুটি হয় তাহলে মহাপরিচালক অথবা অধিদপ্তরের প্রধান বরাবর আপনাদেরকে এই ছুটি গ্রহণ করতে হবে এবং মেডিকেল ছুটি ভোগকালে আপনারা অফিস চলাকালীন সময়ে যে ধরনের টিফিন অথবা যাতায়াত ভাতা পেতাম সে ধরনের সুযোগ সুবিধা গুলো পাবেন না। তাই ছুটি গ্রহণ করার ক্ষেত্রে আপনাদেরকে আবেদন পত্র এবং তার সঙ্গে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করে ছুটি উপভোগ করতে হবে এবং সুস্থতা অর্জনের জন্য এই আবেদন করলেই আপনারা মেডিকেল ছুটি পেয়ে যাবেন।

About শাহরিয়ার হোসেন 4780 Articles
Shahriar1.com ওয়েবসাইটে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই পাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*