
মেয়েরা হচ্ছে মায়ের জাত। মেয়েদের নিয়ে কিছু বলতে গেলে প্রথমে মনে আসে মায়ের কথা, বোনের কথা। কারন এই মেয়েরা এক সময় মা হবে। আর প্রত্যেকটা মায়ের গুরুত্ব একটি পরিবারে অপরিসীম। অনেকে দেখা যায় যে মেয়েদের নিয়ে বিভিন্ন কথা বিভিন্ন সময় সার্চ করে থাকেন। তাদের কথা মাথায় রেখে আজকে মেয়েদের সম্পর্কে বিভিন্ন কথার মাধ্যমে আজকের পোস্টটি বিশেষভাবে সাজানো হয়েছে। এখান থেকে আপনি খুব সহজেই মেয়েদের সম্পর্কে বিভিন্ন কথা জানতে পারবেন এবং আশা করি এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনি মেয়েদের বিষয়ে বিভিন্ন কথা জেনে উপকৃত হবেন।
অনেকে বলে মেয়েদের মন সবচেয়ে স্পর্শকাতর জায়গা। আবার অনেক সময় দেখা যায় যে অনেকেই বলে মেয়েরা হচ্ছে ফুলের মত নরম-কোমল। তবে এই নরম- কোমল মেয়েদের অনেকেই দাস রূপে ভাবতে পছন্দ করে। কিন্তু আসলে মেয়েরা কোন দাসীর জাত নয়। মেয়েরা হল মায়ের জাত। মেয়েরা হল নরম- কমল ফুলের মতই পবিত্র। তাই মেয়েদেরকে দাসী করে রাখার চিন্তা না করে সবসময় চিন্তা করতে হবে নিজের সমান্তরাল হিসাবে। কারণ বর্তমান সময়ে মেয়েরা কোন কিছুতেই পিছিয়ে নেই। বরং ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা অনেক এগিয়ে আছে। তাই এই বিষয়টি বিবেচনা করে ছেলে এবং মেয়ে সমান চোখে দেখতে হবে।
বর্তমান সময়ে দেখা যায় যে মেয়েরা আগের সময়ের মতো নিজেদেরকে পিছিয়ে রাখছে না। তারা ছেলেদের সাথে তাল মিলিয়ে সমান তালে এগিয়ে চলছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরাও বরং এগিয়ে আছে। মেয়েদের উপর অনেক কিছুই নির্ভর করছে। শুধুমাত্র মেয়েদের বাদ দিয়ে ছেলেদের দ্বারা এই সুন্দর পৃথিবী আরো সুন্দর করে তোলা সম্ভব নয়। এই পৃথিবীর উন্নতির জন্য যেমন ছেলেদের প্রয়োজন, তেমনিভাবে মেয়েদেরও প্রয়োজন সমান ভাবে। তাই কাউকে হেই- প্রতিপন্ন করা যাবে না। মেয়ে বলে অবহেলা করা যাবে না এই বিষয়টি সবসময় মাথায় রাখতে হবে।
দেখা যায় যে একটি পরিবারের মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে সেই পরিবারের একটি মেয়ে সদস্য অর্থাৎ মা। কারণ মায়েরা যেভাবে সংসার কে আগলে রাখতে পারে, পরিবারের ভালো দিকটা বিবেচনা করতে পারে, অন্য কোন সদস্য সেই ভাবে পরিবারকে আগলে রাখতে পারে না। তাই পরিবারের অন্য সব সদস্যদের যেই ভাবে সম্মান করা হয়, মেয়ে সদস্যদেরও ঠিক সেইভাবে সম্মান করতে হবে।
অনেকের মেয়ে সদস্যদের কে বোঝা মনে করে। কিন্তু মেয়েরা আসলে বোঝা নয়, মূলত সকল চালিকা শক্তির পিছনে মেয়েদের অবদানে সবচেয়ে বেশি। বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম সবসময়ই সাম্যের গান গেয়েছেন, সমতার গান গেয়েছেন, নারী পুরুষের সমান অধিকারের গান গেয়েছেন। আবার তিনি তার কবিতায় উল্লেখ করেছেন বিশ্বের যা কিছু সৃষ্টি মহাকল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর। অর্থাৎ নারীদের বাদ দিয়ে কোনভাবেই পুরুষেরা জয়ী হতে পারে না। পুরুষের জয়ী তরবারির পিছনে থাকে নারীদের সাহস, তাদের অনুপ্রেরণা। তাই শুধুমাত্র পুরুষদের নয়, নারীদেরও সম্মান করতে হবে, সমান চোখে দেখতে হবে।
মেয়েদেরকে মেয়ে হিসেবে করুনা নয়, সম্মান করতে হবে। তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। তাদের যে সকল প্রতিভা থাকে, সেগুলো বিকশিত করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে সুযোগ দিতে হবে। তাহলে দেখা যাবে যে তারাও অনেকে এগিয়ে গিয়েছে এবং একটি পরিবারকে, একটি সমাজকে সর্বোপরি একটি দেশকে এগিয়ে নিতে তারাও কার্যকর ভূমিকা পালন করছে।
আর তাহলে দেখা যাবে পুরুষের পাশাপাশি মেয়েরা অনেক এগিয়ে গেছে এবং পুরুষদের সাথে তালে তাল মিলিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। তাই মেয়েদের অবহেলা নয়, সম্মান করতে হবে এবং ভালোবাসা দিয়ে আগলে রাখতে হবে। তাহলে যেমন মেয়ে সদস্যরা খুশি থাকবে, ঠিক তেমনি ভাবে একটি পরিবার, একটি সমাজ, একটি দেশ ভালো থাকবে। এজন্য প্রতিটি পরিবার, প্রতিটি সমাজ এবং প্রতিটি দেশি হোক নারীদের সম্মানের ক্ষেত্র, ভালোবাসার জায়গা।
Leave a Reply