
বর্তমান সময়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির কল্যাণে দেখা যায় যে বাংলাদেশে এক পক্ষ এবং বিদেশে আরেকপক্ষ উপস্থিত থেকে মোবাইলের মাধ্যমে বিবাহ সম্পন্ন হচ্ছে। তবে মোবাইলের মাধ্যমেই বিবাহ সম্পন্ন হওয়ার প্রেক্ষিতে সেই বিবাহ খুব সুন্দর ভাবে হচ্ছে কিনা এবং বিবাহের যাবতীয় শর্ত পূরণ হচ্ছে কিনা এবং সেই বিবাহ মোবাইলে হওয়ার কারণে বৈধ কিনা তা অনেকেই জানতে চান।
তাই আপনাদের মনের এই অনুসন্ধিত্সু প্রশ্নের সঠিক সমাধান আজকে আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে প্রদান করব এবং এই বিষয়ে আপনি আগ্রহী বলে শেষ পর্যন্ত এই পোস্ট করবেন। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যখন বিবাহ সম্পন্ন হচ্ছে তখন দেখা যাচ্ছে পাত্র অথবা পাত্রী বিদেশে অবস্থান করছে অথবা দেশের যেকোন প্রান্তে অবস্থান করার কারনে মোবাইলের মাধ্যমে কবুল বলে এই বিবাহ সম্পন্ন হচ্ছে। কিন্তু বিবাহ সম্পন্ন হওয়ার বেশ কিছু শর্ত রয়েছে এবং এর প্রথম শর্ত হলো উভয়পক্ষকে রাজী হতে হবে যাতে এই বিবাহ কার্যক্রমে উভয়পক্ষ উপস্থিত থাকতে পারে।
সেই ক্ষেত্রে বিবাহের সাক্ষী হবে কে সেই বিষয়গুলো দেখতে হবে এবং মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যখন পাত্রপক্ষ অথবা পাত্রীপক্ষ কবুল বলে সম্মতি জানাবে তখন অবশ্যই এটি সকলকে শুনতে হবে এবং ভালোমতো বুঝতে হবে যে তারা আসলে বিয়ের জন্য শরিয়াসম্মত মোতাবেক বিবাহের জন্য রাজি হয়েছেন। বিবাহের জন্য কাজী আসেন এবং ছেলে এবং মেয়ের তথ্য গ্রহণ করে তা সরকারি খাতায় লিপিবদ্ধ করেন।
বিয়ের জন্য তাড়া প্রত্যেকটি তথ্য সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ করার পর সেখানে ছেলে এবং মেয়ের স্বাক্ষর গ্রহণসহ সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করে থাকেন। কিন্তু যখন মোবাইলের মাধ্যমে সেই বিবাহ সম্পন্ন হচ্ছে তখন স্বাক্ষরের বিষয়গুলো একটু ঝামেলা পূর্ণ হয়ে যায় এবং স্বাক্ষরের জায়গায় হয়তো কোন এক পক্ষ স্বাক্ষর প্রদান করতে পারেন না। তবে নিয়ম অনুসরণ করে যদি মাওলানা করতে গিয়েই বিবাহ পড়ানো হয়ে থাকে তাহলে সর্বোচ্চ এক মাসের সময়ের ভেতরে আপনাদেরকে সরকারিভাবে বিয়ের জন্য নিবন্ধন করতে হবে কাজী অফিসে গিয়ে।
আপনারা যখন সরকারিভাবে এই তথ্য লিপিবদ্ধ করবেন এবং সেখানে সাক্ষীসহ পাত্র এবং পাত্রের স্বাক্ষর থাকবে তখন সেই বিবাহ সরকারি মোতাবেক হবে। আর যারা বৈধতার বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে চান তাদেরকে বলতে চাই যে যদি এখানে সকলেই সম্মতি থাকে এবং বিশেষ পরিস্থিতিতে মোবাইলের মাধ্যমে বিবাহ করতে সকলের রাজি থাকে বা পরিস্থিতি সেরকম ভাবে তৈরি হয়ে থাকে তাহলে সেক্ষেত্রে কোন সমস্যা হবে না।
তবে অনেকেই বলে থাকেন বিবাহ হল আন্তরিকতার বিষয় এবং এর মাধ্যমে পাত্র-পাত্রী যে আন্তরিকতার বিষয়টা থাকবে সেটা থাকতে হবে উভয় পরিবারের পক্ষ থেকে। কিন্তু যখন মোবাইলের মাধ্যমে সেই বিবাহ সম্পন্ন হবে তখন হয়তো আন্তরিকতা এবং সকলের মধ্যে সম্প্রতি গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে অনেকটাই বাধা সৃষ্টি হবে। এই সকলের উপস্থিতিতে ছোটখাটো অনুষ্ঠান করে অথবা আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী যদি তা না পারেন তাহলে সকলের উপস্থিতিতে শুধু মিষ্টিমুখ করিয়েছে বিবাহ সম্পন্ন করা যায়। এক্ষেত্রে মাওলানার মাধ্যমে বিবাহ পড়ানোর অনুষ্ঠান পরিচালনা যেমন হয়ে থাকবে তেমনি হবে কাজের মাধ্যমে দেনমোহর নির্ধারণ করতে হবে এবং অন্যান্য বিষয়গুলো নিশ্চিত করে বিবাহ সম্পন্ন করতে হবে।
Leave a Reply