মহররমের আমল সম্পর্কে যারা জানতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করেছেন তাদেরকে স্বাগতম জানানোর পাশাপাশি কিভাবে কোন আমল করতে হবে তা বিস্তারিতভাবে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। মহরম মাসের আমল সম্পর্কে জানতে পারলে আপনারা সেই অনুযায়ী আমল করতে পারবেন এবং কোন দিন আমল করতে হবে এটাও ভালোমতো বুঝে নিতে পারবেন। তবে মহরম মাসের সুন্নত আমল সম্পর্কে আমরা হাদিস সমূহের যে সকল বিষয় জানতে পেরেছি তার মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আমল হল আসরের রোজা পালন করতে হবে।
আমাদের রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দশ মহরমের এই আসরের রোজা পালন করেছেন। তাছাড়া এ রোজা পালন করার ক্ষেত্রে আমরা কোন কোন দিন এগুলো পালন করব এবং আর কি কি ধরনের ইবাদত রয়েছে তা জানতে আমাদের ওয়েবসাইটের এই পোস্ট শেষ পর্যন্ত পড়লে সকল তথ্য আহরণ করতে পারবেন।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে রমজান মাসের পর আমরা যদি সর্বোত্তম রোজা পালন করতে চাই তাহলে মহরম মাসের রোজা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রোজা। তাই আপনি যখন মহররম মাসের রোজা পালন করবেন তখন অবশ্যই আপনাকে আশুরার 9-10 এবং 11 তারিখ পালন করার পর তাগিদ প্রদান করা হলো। সাধারণত ইহুদী এবং নাসারারা ১০ মহররমের রোজা রাখতে বলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর বিরোধিতা করেন এবং ৯ থেকে ১১ মহরম পর্যন্ত রোজা রাখার জন্য বারবার করে বলেছেন। তাছাড়া অন্যান্য হাদিসে আশুরার দিন রোজা রাখার কথা বলার পাশাপাশি অন্যান্য দিনেও রোজা রাখার কথা বলেছেন এবং এই ক্ষেত্রে একদিন আগে ও একদিন পরে রোজা রাখলে সবচাইতে ভালো হয়।
তাই মহরম মাসের এই রোজা আপনারা যখন রাখবেন তখন অনেক সাওয়াব পেয়ে যাবেন এবং যে উদ্দেশ্যে রোজা রাখবেন সেই উদ্দেশ্য আপনাদের পূরণ হবে। তবে আপনারা যারা মহরম মাসের আমল সম্পর্কে জানতে চান তাদেরকে বলবো যে অত্যাচারী পাপিষ্ঠ ফেরাউন এবং তার সঙ্গীরা যখন আমাদের প্রিয় নবী মুসা আলাইহি সালামকে হত্যা ষড়যন্ত্র করে এবং একই দিনে যখন ফেরাউনের সাগরডুবি হয় এবং মুসা আলাইহিস সালাম বেঁচে যাই তখন এর মাধ্যমে তিনি মুক্তি লাভ করেন। তাই মুসা আলাইহিস সালাম এর মুক্তি লাভের জন্য শুকরিয়া হিসেবে এই দিনটিতে নফল রোজা রাখা যাবে। আর সেই দিনের ঘটনা স্মরণ করে অথবা শুকরিয়া আদায়ের উদ্দেশ্যে আমাদের নবীজি সাঃ নফল রোজা পালন করেছেন এবং তার উম্মতদের এই নফল রোজা পালন করার জন্য বলে গিয়েছেন।
যখন আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু এর বর্ণনা আমরা জানতে পারি তখন দেখা যে যে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম মদিনায় হিজরত করার পর ইহুদিদের এই দিনে ইহুদিদের রোজা রাখতে দেখে এর কারণ জানেন এবং তিনি বলেন যে মুসা আলাইহি সাল্লাম এর একমাত্র হকদার এবং দাবিদার তাঁরাই। সুতরাং তিনি মহরম মাসের ১০ তারিখ থেকে রোজা রাখার পাশাপাশি 9 তারিখ এবং ১১ তারিখ এই দুটি রোজা পালন করতে বলেছেন এবং এগুলো পালন করা সুন্নত। তাই রোজা রাখার পাশাপাশি আপনারা অন্যান্য এবাদত বন্দেগী করতে পারেন এবং এক্ষেত্রে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করাটা জরুরী।
রমজান মাসে নফল রোজা সুন্নত হিসেবে আপনি যখন রাখবেন তখন রোজা রাখা অবস্থায় মনের ইচ্ছাগুলো পূরণ করার উদ্দেশ্যে আপনারা বারবার মনে মনে দোয়া করতে পারেন। তা ছাড়া যে কোন ধরনের নফল ইবাদতের ক্ষেত্রে আপনারা যদি বেশি বেশি করে ইস্তেকফার পাঠ করেন তাহলে আপনার জানমালের যেমন বরকত বৃদ্ধি পাবে তেমনিভাবে আপনার দুনিয়ার জীবনের ভুল ভ্রান্তি গুলো ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে মহান আল্লাহ পাক দেখবেন। তাই আশুরার এই রোজাগুলো আপনারা পালন করবেন এবং এটি পালন করার মধ্য দিয়ে আপনারা খুব সহজেই মহান আল্লাহ পাকের সান্নিধ্য অর্জন করতে পারবেন। তাছাড়া নফল ইবাদতে যে সকল আমলগুলো করা হয় সেগুলো যদি করেন তাহলে সবচাইতে ভালো হবে।
Leave a Reply