আমরা যখন আমাদের জীবনে বিভিন্ন ধরনের আশা পূরণ করতে চাই অথবা বিভিন্ন ধরনের আশা পূরণ করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা তদবির করতে চাই তখন অবশ্যই আমাদের সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া করতে হয়। আমাদের দোয়া কবুলের মাধ্যমে আমরা হয়তো সেই কাঙ্ক্ষিত বস্তু পেয়ে যাই। তাই আপনার হয়তো জীবনে একটি স্বপ্ন রয়েছে যে স্বপ্ন পূরণ করার জন্য আপনি অনেক সময় ধরে চেষ্টা করছেন এবং চেষ্টা করার পরেও হয়তো ফল পাচ্ছেন না।
যারা হয়তো কাজে বিশ্বাসী তারা মনে রাখবেন যে সৃষ্টিকর্তা আমাদের জীবনে এত এত সব নেয়ামত দিয়ে রেখেছেন যেগুলো আমরা আজীবন ভোগ করে আসছি এবং পরবর্তীতে উপভোগ করব। মন থেকে সৃষ্টিকর্তার কাছে কিছু চাইলে তিনি কখনোই আমাদেরকে খালি হাতে ফিরিয়ে দেন না এবং এটা যদি চাওয়ার মত চাওয়া হয় তাহলে অবশ্যই তিনি আমাদেরকে সকল ক্ষেত্রে সাহায্য করবেন।
তাই আপনার স্বপ্ন পূরণের উদ্দেশ্যে আপনি যখন মনের আশা পূরণ করার জন্য দোয়া অথবা আমল সম্পর্কে জানতে চাইবেন তখন অবশ্যই আপনার সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া করতে হবে। আমরা যদি আমাদের জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করতে পারি এবং লক্ষ্য পূরণের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে চাই তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো করতে হবে এবং প্রত্যেকটি কাজের পাশাপাশি নিজেদেরকে যদি নিজেরা সহযোগিতা না করে তাহলে সেই মনের আশা হয়তো পূরণ হবে না।মানসিক প্রশান্তি অর্জন করার জন্য এবং মানসিকভাবে শান্তিতে থেকে প্রত্যেকটি স্বপ্ন পূরণ করার জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে যদি আমরা সঠিকভাবে কোন জিনিস চেয়ে থাকি তাহলে তিনি আমাদের নিরাশ করবেন না।
অবশ্য আমরা এটা জেনে থাকি যে মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে আমাদেরকে কোন কিছু চাইতে হলে অথবা কোন কিছু আমল করার মাধ্যমে যদি আমরা চাই তাহলে আমাদের কাছে তা খুব ভালো লাগবে। তাই মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে আপনি যখন কোন দোয়ার মাধ্যমে কোন কিছু চাইবেন অথবা মনের আশা পূরণ করার জন্য আমল করবেন তখন সেটা অনেক কাজে দিবে। তাই নিজের জীবনের স্বপ্ন পূরণ করার উদ্দেশ্যে আপনারা যখন নিজেরাই চেষ্টা করবেন এবং সেই সাথে মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে ইবাদত করবেন তখন তিনি আপনাদের কখনোই খালি হাতে ফিরিয়ে দেবেন না এবং আপনাদের জীবনকে খুব সুন্দর ভাবে পরিচালনা করার জন্য অবশ্যই সাহায্য করবেন।
যে কোন মনের আশা পূরণ করার জন্য সর্বপ্রথমে যে কাজগুলো করতে হবে সেগুলো হলো ইসলামী বিধি নিষেধ অনুসরণ করে জীবনকে পরিচালনা করতে হবে। আপনি শুধু কাজ করে গেলেন এবং ইসলামের অন্যান্য যাবতীয় নিয়ম কানুন মানলেন না তাহলে আপনার হয়তো সেই স্বপ্ন মহান আল্লাহ পাক নাও পূরণ করতে পারেন। তাই আপনাকে এমন কাজ করতে হবে যেটার মাধ্যমে আপনাকে অবশ্যই মহান আল্লাহ পাকের নৈকট্য হাসিল করা যায় এবং তিনি আপনাদের প্রতি খুশি হন।তাই আপনারা যখন মনের আশা পূরণ করার জন্য কাজ করতে চাইবেন তখন অবশ্যই একটি হাদিসের কথা জেনে রাখবেন যে একবার হযরত আনাস (রা.) বসেছিলেন।
তারপরে তিনি দেখলেন যে এক ব্যক্তি হঠাৎ করে আসলেন এবং নামাজ আদায় করে নিচের দোয়াটি পাঠ করলেন। এই দোয়াটি আপনাদের কাছে বাংলাই তুলে ধরা হলো এবং এটার অনুবাদ সহকারে তুলে ধরা হলো:-
“আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা বিআন্না লাকাল হামদু, লা-ইলাহা ইল্লা আংতাল মান্নান, বাদিউস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ্, ইয়া জালজালালি ওয়াল ইকরাম, ইয়া হাইয়ু ইয়া ক্বাইয়্যুম।’
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে প্রার্থনা করি। তুমিই তো সব প্রশংসার মালিক, তুমি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। তুমি দয়াশীল। তুমিই আকাশসমূহ ও পৃথিবীর একমাত্র সৃষ্টিকর্তা! হে মহান সম্রাট ও সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী, হে চিরঞ্জীব, হে সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী।’
আপনারা যখন ওপরে উল্লিখিত দোয়াটির অনুবাদ সহকারে পড়লেন তখন বুঝতে পারবেন এটা কত তাৎপর্যপূর্ণ একটা দোয়া। ইসমে আজম এর মাধ্যমে আপনারা যখন এই দোয়া পাঠ করবেন তখন দেখা যাবে যে আপনাদের মনের আশা পূরণ হবে এবং এক্ষেত্রে আপনারা মহান সৃষ্টিকর্তার বিভিন্ন নামে যদি তাকে গুণান্বিত করতে পারেন এবং তার কাছে যদি আপনারা কোন কিছু মন প্রাণ থেকে চেয়ে থাকেন তাহলে তিনি অবশ্যই আপনাদের মনের আশা পূরণ করার জন্য দোয়া কবুল করবেন।
Leave a Reply