
বিয়ের মাধ্যমে দুটি পরিবারের এবং দুটি মানুষের খুব সুন্দর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু বর্তমানে আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় এমন কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে যে বিয়ে হয়ে গেছে কঠিন এবং অন্যান্য পাপের কাজগুলো হয়ে গিয়েছে সহজ। বিভিন্ন মাওলানা বা মুফাসসিরে কুরআন বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলে বর এবং কোনে প্রাপ্তবয়স্ক হলে তাদের বিয়ের জন্য তাগাদা প্রদান করছে এবং এই বিষয়ে অভিভাবককে অনেকেই উৎসাহিত প্রদান করে।
কিন্তু আমাদের সমাজ ব্যবস্থা এমন যে লেখাপড়া শিখে উচ্চ শিক্ষিত হতে হবে এবং লেখাপড়া শেখার পরে চাকরি করে অথবা কোন কাজ করে টাকা আয় করার পরে যখন তার মনে হবে যে সে আসলে একটি সংসারের ভরণ পোষণ করতে পারে তখন তাকে বিয়ের জন্য রাজি করানো। কিন্তু এভাবে দেখা যায় যে একটা পুরুষের অথবা একটা নারীর একটা নির্দিষ্ট সময়ে যৌবনপ্রাপ্ত হলেও শেষ হলে সমাজের বিভিন্ন বাধার কারণে বিয়ের আসনে বসতে পারে না।
কিন্তু একজন মানুষের দৃষ্টি হেফাজত এবং জৈবিক চাহিদা পূরণের জন্য তার যৌবন প্রাপ্ত হওয়ার পর নির্দিষ্ট বয়সের পরে এবং সরকারের নিয়ম অনুসরণ করে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে দেওয়া যেতে পারে। এখন অনেকেই ভেবে থাকেন যে একটা সন্তানের বিয়ের জন্য অনেক টাকা খরচ হয় এবং এই বিয়ের টাকা খরচ করার সামর্থ্য যদি আপনার না থাকে তাহলে মসজিদে হয়তো বিয়ে দিয়ে আপনারা সেই বিবাহের কাজ সম্পন্ন করতে পারেন। আবার বিভিন্ন জায়গায় অথবা বিভিন্ন মাওলানাদের খুব সুন্দর বক্তব্য শুনে আমাদের মনে হয় যে মসজিদে বিয়ে করতে পারলে হয়তো সেখানে অনেক সওয়াব পাওয়া যাবে।
কিন্তু মসজিদে বিয়ে করলে আলাদাভাবে কোন সওয়াব পাওয়া যাবে না এবং এমনটাই জানা গিয়েছে বিভিন্ন আর্টিকেল পড়ে। তবে মসজিদে বিয়ে করলে সেখানে একজন মাওলানা উপস্থিত থাকবেন এবং তিনি এ বিবাহের কাজ খুব সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে পারবেন। এই বিবাহের অনুষ্ঠানে বর পক্ষের লোকজন এবং কনে পক্ষের লোকজন উপস্থিত থাকবে। সেখানে সকল পক্ষ উপস্থিত থাকার পর বিবাহের যে রীতিনীতি রয়েছে সেগুলো খুব সুন্দরভাবে পালন করা হবে এবং উভয় পক্ষের কবুল বলার মাধ্যমে বিবাহের কাজ সম্পন্ন করা হবে এবং দোয়া পড়ার মাধ্যমে তাদের জন্য দোয়া করা হবে।
তবে অনেকেই প্রশ্ন করেন মসজিদে আসলে কোন এ উপস্থিত থাকতে পারবেন কিনা। মসজিদে যদি পর্দার ব্যবস্থা থাকে এবং কোনে যদি পর্দার সহিত সেখানে উপস্থিত থাকতে চান তাহলে পর্দার আড়ালে তাকে থাকতে হবে এবং কবুল বলার এই অনুষ্ঠানে তাকে অংশগ্রহণ করতে হবে। তবে বিয়ের এই অনুষ্ঠানে নামে কেউ যদি বেপর্দা সঙ্গে মসজিদে আসে তাহলে খুবই গুনাহর কাজ হবে। মসজিদে বিয়ের ব্যাপারে সকলকে সর্তকতা অবলম্বন করে।
সেই সাথে যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে বিবাহের কাজ সম্পন্ন করতে হবে এবং কবুল বলার মাধ্যমে এবং দোয়া করার মাধ্যমে বিবাহ সম্পন্ন হলে অনেকে পাত্রের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে আপনার যদি খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করতে পারেন তাহলে সকলকে মিষ্টিমুখ করানোর উদ্দেশ্যে মিষ্টি অথবা খেজুর জাতীয় খাবার প্রদান করতে পারেন। তবে মাওলানা মাধ্যমে বিবাহ সম্পন্ন হলেও তাদেরকে সরকারি খাতায় রেজিস্ট্রি করতে হবে এবং বিবাহের নিবন্ধন করার মাধ্যমে পুরোপুরিভাবে বিবাহের এই কাজ সম্পন্ন করতে হবে।
Leave a Reply