অনেকে মনে করে যে বাবারা আসলে শুধু শাসনই করে। তারা স্বার্থপর। তারা মায়েদের মতো ভালোবাসে না। কিন্তু এটা ঠিক না। বাবারও সন্তানকে অনেক ভালোবাসে, অনেক আদর- যত্ন করে। কিন্তু অনেক সময় সন্তানেরা তা বুঝে উঠতে পারে না। ভাবে বাবা শুধু শাসনই করে। কিন্তু বাবারা আসলে সন্তানের ভালোর জন্যই এই শাসন টুকু করে। আর সন্তানকে বাবারাও প্রচুর ভালোবাসে। সন্তানের কিছু হলে সর্বপ্রথম যেই মানুষটা পাশে গিয়ে দাঁড়ায়, নিজের সর্বস্ব দিয়ে সন্তানের সাহায্য করার চেষ্টা করে, সেই মানুষটাই হলো বাবা। যে কোন বিপদ -আপদে সব সময় বাবারা ঢাল হিসাবে কাজ করে। বাবারা স্বার্থপর নয়। তারা নিঃস্বার্থবান। তারা সন্তানের কল্যাণের জন্য কোন স্বার্থ দেখেনা, নিঃস্বার্থভাবেই পরিবারের সবার মুখে হাসি ফুটানোর জন্য সকল কষ্ট সহ্য করে পরিশ্রম করে যায়।
কিন্তু অনেকেই বাবাদের আসল ভূমিকা বুঝতে পারে না। বাবারা যে কতটা স্বার্থ ত্যাগ করে তা অনেকেই বোঝার চেষ্টা করে না। কিন্তু বাবা নামক বটবৃক্ষটা যখন হারিয়ে যায়, সকলকে ছেড়ে চলে যায়, পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে, তখন আসলে বাবা নামক মানুষটা যে সন্তানের কাছে কেমন আশীর্বাদ ছিল তা বোঝা যায়। বাবা ছাড়া পৃথিবীতে টিকে থাকা যে কতটা কঠিন, তা যাদের বাবা নেই তারাই জানে। যেকোন বিপদে -আপদে যে মানুষটা সবসময় আগলে রাখতো পুরো পরিবারটিকে, সেই মানুষটির শূণ্য জায়গা কখনোই কোনভাবেই পূরণ করা সম্ভব নয়। বাবা ছাড়া একটি পরিবার যেন খাপ ছাড়া হয়ে পড়ে। ছন্ন ছাড়া হয়ে পড়ে। বাবাদের অবদান যে কতটা ছিল তা তখই বোঝা যায়।
বাবা বেঁচে থাকতে অনেকেই বাবার কথা ঠিকমতো শুনে না। বাবাকে গাহ্য করে না। আবার বাবার শাসনের ভয়ে সবসময় দুরে দুরে থাকে। কিন্তু বাবাকে যে সন্তান হিসেবে কতটা ভালোবাসে, সম্মান করে তা অনেকেই জানাতে পারে না। চাইলেই আর আনন্দের মুহূর্তগুলোতে বাবাকে জড়িয়ে ধরা সম্ভব হয় না। কিন্তু কি আর করার প্রকৃতির নিয়ম তো সবাইকেই মানতে হবে। আর মৃত বাবার পরকালীন শান্তির জন্য দোয়া করতে হবে। সন্তানের দোয়ার দ্বারা বাবা-মা পরকালীন শান্তি লাভ করতে পারে। তাই তাদের জন্য সবসময়ই দোয়া করতে হবে।
Leave a Reply