শিশুর নামকরণ করা অভিভাবকদের নিকট একটি অত্যন্ত আনন্দদায়ক ও আকর্ষণীয় কাজ। যেহেতু নতুন সদস্য কে বরণ করে নিতে পরিবারের লোক জনদের আগ্রহের সীমা থাকে না সেক্ষেত্রে তারা অত্যন্ত আনন্দের সাথে তাদের পরিবারে নতুন সদস্যের জন্য একটি অসাধারন সুন্দর নাম খুঁজে বের করেন। একটি মনের মত সুন্দর নাম খুজে পেতে যেন পরিবারের লোকজনদের আগ্রহ ও চেষ্টার কমতি থাকে না।
সবথেকে সুন্দর ও সেরা নাম তারা তাদের পরিবারের নতুন সদস্য টির জন্য খুঁজে পেতে চায় যেন সেই নামটি আর দশজন শিশুর নামের থেকে আলাদা ও ইউনিক হয়। শিশুর নামকরণ পরিবারের সদস্যদের কাছে আনন্দের হলেও মোটেও এটি সহজ কাজ নয়। যেহেতু নিজের সন্তানের নাম রাখতে গেলে মানুষ নানান রকম বিষয় বিবেচনা করে থাকে সেক্ষেত্রে নির্বাচন করাটা অত সহজ হয় না।
য দিয়ে মেয়েদের আধুনিক নাম
যদিও এ পৃথিবীতে অসংখ্য নাম রয়েছে তবুও মনের মত নাম খুঁজে পেতে যথেষ্ট শ্রম ব্যয় করতে হয়। সোনামণিকে মনের মতো একটি নাম দিতে পিতা-মাতা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা হন্যে হয়ে একটি নাম খুঁজে এবং বিভিন্ন রকম আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিশুর নামকরণ করে থাকে।
সবমিলিয়ে শিশুর নামকরণ এর কাজটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। একটি নাম একটি শিশুর সারা জীবন সঙ্গী হয়ে থাকে এবং সকলের নিকট সে নাম দিয়ে পরিচিত হয়ে ওঠে। এমনকি মানুষের মৃত্যুর পরে নাম দিয়ে মানুষকে স্মরণ করে থাকে তাই মানব জীবনে নামের গুরুত্ব অপরিসীম।
নাম রাখার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধর্মের নানা রকম রীতিনীতি পালন করা হলেও মূল বিষয়গুলো কিন্তু একই রকম। সব ধর্মেই সুন্দর সুন্দর নাম রাখার ক্ষেত্রে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া পজেটিভ শব্দ সম্বলিত নাম রাখতে বলা হয়েছে শিশুদের যেন সেই নামের সুন্দর গুণাবলী ভবিষ্যতে একটি শিশু বড় হয়ে নিজের মধ্যে ধারণ করতে পারে এবং জীবনে সফল হতে পারে। আবার নামের অর্থ যদি ভালো না হয় সেই নামের খারাপ প্রভাব একটি শিশুর চরিত্র ও মানসিক বিকাশে আঘাত হানতে পারে যা তার জীবনে সফলতার অন্তরায় হতে পারে।
ইসলাম ধর্মে খুব সুন্দর ভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে শিশুর নামকরণ এর ক্ষেত্রে অবশ্যই সুন্দর সুন্দর গুণবাচক নাম থেকে নির্বাচন করতে হবে। নামের ভালো বা খারাপ প্রভাব অবশ্যই একটি শিশুর মধ্যে পড়ে এ কারণে নাম রাখার ক্ষেত্রে নামের অর্থ অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতে হবে। কোন ব্যক্তির উচিত নয় নামের অর্থ না জেনেই শিশুর নামকরণ করা এবং প্রতিটি ব্যক্তির উচিত নিজের নামের অর্থ জানা।
আজকে আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি য অক্ষর মুসলিম মেয়েদের জন্য একগুচ্ছ নামের তালিকা। শুধু নাম নয় বরং আমরা নামের পাশাপাশি নামগুলোর সুন্দর অর্থসমূহ সংযোজন করেছি। যেহেতু অভিভাবকরা নামের অর্থ গুলো না জেনে নাম রাখতে চাই না সে ক্ষেত্রে নামের অর্থ জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপনাদের সুবিধা ও প্রয়োজনের কারণে আমরা নাম ও নামের অর্থ সংগ্রহ করেছি আমাদের ওয়েবসাইটে।
বাংলা বর্ণমালা য অক্ষর অসংখ্য ইসলামিক নাম রয়েছে যেগুলোর মুসলিম মেয়েদের নামের সাথে ব্যবহার করা যাবে। যেমন য অক্ষর দিয়ে একটি ইসলামিক নাম হলঃ যুবেদা, যয়তুন, যুবাইদা,রেবা,যারাহ, যামিরা, যুথিকা, যুই, যুথি,যাকিয়া, যায়েদা যমযম, যুলমা,যুলফো,যাকিয়া, রাইমা, যোহরা তেরি অসংখ্য নাম রয়েছে বাংলা বর্ণমালা য অক্ষর দিয়ে। এই সব নাম গুলো অসাধারণ সুন্দর সব অর্থ বহন করে যা মুসলিম মেয়েদের নাম রাখার ক্ষেত্রে সুন্দর হবে। আপনারা যদি শুধুমাত্র একটি অক্ষর দিয়ে এতগুলো নামের তালিকা অর্থসহ পেতে চান তাহলে যখন-তখন ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইটে।
দুই ও তিন অক্ষরের নাম
বাংলা বর্ণমালা য অক্ষর অসংখ্য ইসলামিক নাম রয়েছে। এসব নামগুলো থেকে আপনারা চাইলে আপনাদের পছন্দের একটি নাম বেছে নিতে পারেন। যেহেতু শুধুমাত্র একটি অক্ষর দিয়ে আমরা অনেকগুলো নাম সংগ্রহ করে দিয়েছিল তো আপনাদের মনের মত একটি নাম খুঁজে পেতে সুবিধা হবে। বেশিরভাগ অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের নাম নিজেদের নামের অক্ষর দিয়ে রাখতে চাই সে ক্ষেত্রে একটি অক্ষর দিয়ে একসাথে এতগুলো নাম খুঁজে পাওয়া যায় না।
আপনাদের সুবিধা বিবেচনা করে আমরা নাম গুলো সংগ্রহ করেছি আমাদের ওয়েবসাইটে যেন আপনারা কম সময়ে ও শ্রমের বিনিময়ে এত সুন্দর সব নাম গুলো পেয়ে যেতে পারেন। তাই যখনই আপনাদের প্রয়োজন হবে আপনার আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন এবং মুসলিম মেয়েদের জন্য বেছে নিন বাংলা বর্ণমালা য অক্ষর দিয়ে একটি সুন্দর নাম।
Leave a Reply