
মুসলিমদের নিকট ইসলাম ইসলামের গুরুত্ব অনেক বেশি কারণ ইসলামিক নাম গুলো সব আরবি শব্দ দিয়ে হয়ে থাকে এবং আরবি ভাষা মুসলিমদের নিকট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ভাষা। আরবি ভাষা মুসলিমদের ধর্মীয় অনুভূতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত হওয়ার কারণে মুসলিম মানুষদের নামগুলো আরবি শব্দ দিয়ে হয়ে থাকে। আরবি ভাষায় রয়েছে অসংখ্য সুন্দর গুণবাচক ইসলামিক নাম যেগুলো থেকে মানুষ সচরাচর তাদের সন্তানদের নাম নির্বাচন করে থাকে।
শিশুর নাম রাখার ক্ষেত্রে গুণবাচক ইসলামিক নাম গুলো কে মুসলিম পরিবারের অভিভাবকেরা অনেক গুরুত্ব দিয়ে থাকে। তাছাড়া ইসলাম ধর্মে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে শিশুর নাম রাখার ক্ষেত্রে আসমাউল হুসনা বাংলা শব্দ হলো সুন্দর নামসমূহ সুন্দর নামসমূহ তে গুণবাচক ইসলামিক নাম শিশুর জন্য নির্বাচন করতে বলা হয়েছে। নাম এর প্রভাব মানুষের জীবনে অনেক বেশি এটি বিশ্বাস করা হয়ে থাকে।






ল দিয়ে মুসলিম মেয়েদের আধুনিক নাম
নামের অর্থ যদি সুন্দর হয় তাহলে একটি শিশু বড় হয়ে চেষ্টা করবে তার নামের মর্যাদা রাখতে তাই সে নিজের নামের সুন্দর গুণটিকে নিজের মধ্যে ধারণ করার চেষ্টা করবে। কিন্তু এটা বিশ্বাস করা হয়ে থাকে যে নামের অর্থ যদি ভালো না হয় তাহলে বড় হয়ে সেই নামের কুপ্রভাব একটি মানুষের চরিত্র ও মানসিক আচার-আচরণের পড়তে পারে। কি কারনে নাম রাখার ক্ষেত্রে মুসলিম অভিভাবকরা অত্যন্ত সর্তকতা অবলম্বন করে থাকেন এবং অবশ্যই নামের অর্থ ভালোভাবে দেখে নামকরণ করেন শিশুর।
শিশুরাই পৃথিবীতে নিষ্পাপ হয়ে জন্মগ্রহণ করে থাকে। জন্মের পরেই পরিবারের সদস্যরা শিশুর জন্য একটি সুন্দর নাম নির্বাচন করে থাকে যেই নাম নিয়ে সে সারাজীবন পৃথিবীতে চলতে থাকে এবং সকলের নিকট পরিচিত হয়। মানুষের জীবনের নাম এর গুরুত্ব অনেক বেশি কারণ ওর জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত এই নাম তার সঙ্গী হয়ে চলে। এমনকি মৃত্যুর পরেও এই নাম মানুষের কথা স্মরণ করিয়ে দেয় অন্য মানুষকে।
তাই নামকরণের কাছ থেকে মানুষ যতটা সহজ হিসেবে বিবেচনা করে এটি মোটেও ততটা সহজ নয়। এক্ষেত্রে অভিভাবকরা নানারকম বিষয় বিবেচনা করে তবেই সন্তানদের জন্য নির্ধারণ করে থাকে। মুসলিমরা এই বিষয়ে অত্যন্ত এগিয়ে তারা সুন্দর ও গুণবাচক নাম গুলো থেকে সন্তানদের জন্য নাম নির্বাচন করে সেগুলো সুন্দর অর্থের ধারক ও বাহক।
মুসলিম শিশুদের নাম রাখার ক্ষেত্রে বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গের নাম থেকে নাম না একটি জনপ্রিয় ট্রেন্ড বলা চলে। ইসলামিক আদর্শবান ব্যক্তিবর্গ যেমন নবী-রাসূলগণ ও বিখ্যাত সাহাবীগণের নাম থেকে নাম দেওয়া হয়ে থাকে প্রিয় সন্তানের নামকরণ এর জন্য। কন্যা সন্তানদের নামকরণের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে মুসলিমরা সাহাবা মহিলা দের নাম অনুসারে নামকরণ করে যারা নিজেদের জীবন ইসলামের জন্য উৎসর্গ করে গিয়েছেন।
পিতা-মাতা চায় সেইসব মহীয়সী নারীদের মতই সুন্দর গুণগুলো নিজেদের মধ্যে যেন তাদের কন্যা সন্তান ধারণ করতে পারে। এ কারণে তাদের নাম অনুসারে নাম রাখে এ মুসলিম অভিভাবকেরা। তবে এর বাইরেও অসংখ্য নাম রয়েছে এবং যারা আনকমন নাম রাখতে চান তারা বিভিন্ন রকম ইসলামিক নাম থেকে শিশুর জন্য নাম নির্বাচন করে।
আজকে আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি বাংলা ল অক্ষর দিয়ে মুসলিম মেয়েদের জন্য একগুচ্ছ নামের তালিকা আমাদের ওয়েবসাইটে। এসব নামগুলোর ইসলামিক নাম এবং নামের রয়েছে ইসলামিক সুন্দর গুণবাচক অর্থ সমূহ। তাছাড়া নামগুলো শ্রুতিমধুর ও সংক্ষিপ্ত যে নামগুলো সচরাচর মানুষ পছন্দ করে থাকে। এমনিতেই ইসলামিক মেয়েদের নাম গুলো অত্যন্ত সুন্দর হয় সেই সাথে সুন্দর অর্থের ধারক ও বাহক হয়।
বাংলা বর্ণমালা ল একটি জনপ্রিয় বর্ণমালা এবং এই অক্ষর দিয়ে অসংখ্য আরবি নাম রয়েছে যেগুলো মুসলিম মেয়েদের নাম রাখার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে উপযোগী। ল অক্ষর দিয়ে কয়েকটি ইসলামিক মেয়েদের নাম হলঃ লামিয়া, লাবণ্য, লায়লা, লুবনা, লিলি, লোটাস, লাকী, লাইলী, লিজা, লিমা, লাবিবা, লাভলী,লহরী, লিপি ইত্যাদি। এছাড়াও বাংলা বর্ণমালা ল অক্ষর দিয়ে মুসলিম মেয়েদের অসংখ্য নাম রয়েছে এবং সেসব নামের রয়েছে অসাধারণ সুন্দর সব গুণবাচক অর্থ।
দুই ও তিন অক্ষরের নাম
আপনারা যদি বাংলা বর্ণমালা ল অক্ষর দিয়ে একগুচ্ছ ইসলামিক নাম খুঁজে পেতে চান সেগুলো মুসলিম মেয়েদের নাম রাখার ক্ষেত্রে বিশেষ উপযোগী তাহলে আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে পারেন। শুধুমাত্র একটি বর্ণমালা দিয়ে আপনারা অসংখ্য নাম আমাদের ওয়েবসাইটে পেয়ে যাবেন এবং সেইসাথে নামের অর্থ গুলো আপনারা পেয়ে যাবেন এতে করে আপনাদের একটি মনের মতো নাম খুঁজে পেতে সুবিধা হবে। তাই যখনই প্রয়োজন হবে আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন আর বেছে নিন আপনাদের মনের মত একটি নাম।
Leave a Reply