শিশুর নামকরণ করা সকলের নিকট একটি অত্যন্ত আনন্দদায়ক ও আকর্ষণীয় কাজ। একটি শিশুর জন্মের পরেই পরিবারের লোকজন শিশুর জন্য একটি সুন্দর নাম নির্বাচন করে যেই নাম দিয়েছে সকলের নিকট পরিচিতি লাভ করবে। একটি সুন্দর নাম একটি অমূল্য সম্পদ কেননা এই নাম একটি মানুষের সারা জীবনের সঙ্গী হয়ে থাকে এমনকি মৃত্যুর পরে মানুষ যখন কাউকে স্মরণ করে থাকে নাম দিয়ে স্মরণ করে।
একটি সুন্দর নাম যেমন একদিকে মূল্যবান সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হয় অন্যদিকে মানুষের আত্মবিশ্বাস মনোবল বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়। একটি মার্জিত রুচিশীল ও সুন্দর নাম মানুষের ব্যক্তিত্ব কে উন্নত করে। তাছাড়া যেসব ব্যক্তির নিজের নামের সুন্দর গুণাবলীগুলো নিজের চরিত্র স্বভাব এর মধ্যে ধারণ করতে পারে তারা জীবনে সফল হয়। এ কারণে শিশুর নাম নির্বাচনের ক্ষেত্রে এমন সব গুণাবলী দেখে নির্বাচন করা উচিত যেন একটি শিশু বড় হয়ে নিজের নামের মর্যাদা রক্ষা করার চেষ্টা করে এবং সেই অনুযায়ী জীবনে সফল হতে পারে।
স দিয়ে মুসলিম মেয়েদের আধুনিক নাম
পৃথিবীতে প্রতিটি মানুষের আলাদা আলাদা নাম থাকে এবং প্রতিটি ব্যক্তির উচিত নিজের নামের অর্থ জানা। সন্তানের নামের ক্ষেত্রেও অর্থ না জেনে সচেতন পিতা-মাতারা কখনোই নাম নির্ধারণ করে না। অনেক সময় নাম শ্রুতিমধুর হলেও অর্থ খারাপ হতে পারে সে কারণে সব দিক বিচার বিশ্লেষণ করে নাম নির্বাচন করা উচিত প্রতিটি অভিভাবকের। এ কারণে সচেতন পিতা মাতার নাম রাখার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সর্তকতা অবলম্বন করেন যেন নাম নিয়ে শিশুর পরবর্তীতে কোনো রকম বিড়ম্বনার সৃষ্টি না হয়।
বিভিন্ন ধর্মের নাম রাখার রীতিনীতি ও পদ্ধতি গুলো কিছুটা আলাদা হলেও কিছু কিছু বিষয়ে অত্যন্ত মিল রয়েছে। যেমন সব ধর্মেই নামকরণের অনুষ্ঠান করা হয়ে থাকে। মুসলিমরা আকিকা নামক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিশুর নাম দিয়ে থাকে। ইসলামিক নাম ছাড়া মুসলিমরা সচরাচর নাম রাখে না এ কারণে শুধুমাত্র নাম দেখেই নির্ধারণ করে দেওয়া যায় একটি ব্যক্তি ইসলাম ধর্মের অনুসারী। সুতরাং এটা বলা যায় যে নামের ওপর ধর্মীয় প্রভাব অত্যন্ত বেশি এ কারণে মুসলিমদের নাম গুলো সব ইসলামিক নাম হয়।
মুসলিম পরিবারের সন্তানদের নামগুলো অত্যন্ত সুন্দর গুণবাচক হয়ে থাকে কেননা ইসলামই সুন্দরভাবে বলা হয়েছে যে শিশুদের আসমাউল হুসনা যার অর্থ হলো সুন্দর নামসমূহ হতে নাম নির্বাচন করা এসব নামের রয়েছে সুন্দর গুণবাচক অর্থ। একটি সুন্দর নামের অর্থ মানুষের জীবনে যথেষ্ট প্রভাব রাখতে পারে আবার নামের অর্থ যদি ভালো না হয় সেই নামের কুপ্রভাব একটি মানুষের জীবনে আঘাত হানতে পারে তাই নাম রাখার ক্ষেত্রে ইসলামের সুন্দর গুণবাচক নামসমূহ রাখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মুসলিম মেয়েদের নামকরণের ক্ষেত্রে কয়েকটি নাম অত্যন্ত প্রচলিত ও জনপ্রিয়। খাদিজা, আয়েশা, মরিয়ম, রাবেয়া, হাফসা, ফাতিমা, আছিয়া, জয়নাব ইত্যাদি কয়েকটি নাম মুসলিম নারীদের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে দেখা যায় কারণ এই নারীরা মুসলিম জাতির নারীদের জন্য আদর্শ নারী।
এই নামগুলো হতে মুসলিমরা তাদের মেয়ে সন্তানের নাম রাখতে অনেক আগ্রহ থাকে কারণ তারা চায় এসব মহীয়সী নারীদের মতো তাদের কন্যা সন্তানও যেন জীবনে আদর্শবান নারী হতে পারে ও তাদের মত সৎ চরিত্র ও নিষ্ঠার সাথে জীবন পরিচালনা করতে পারে। তবে এই নামগুলো ছাড়াও মুসলিম মেয়েদের অসংখ্য নাম রয়েছে যেগুলো থেকে মানুষ নাম রাখতে চাই কেননা অনেকেই আনকমন নাম পছন্দ করে।
দুই ও তিন অক্ষরের নাম
আজকে আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি বাংলা বর্ণমালা স অক্ষর দিয়ে মুসলিম মেয়েদের জন্য ইসলামিক নামের এক গুচ্ছ তালিকা। বর্ণমালা এটি একটি কমন ও জনপ্রিয় অক্ষর হওয়ার কারণে এই বর্ণমালা টি দিয়ে অসংখ্য নাম পাওয়া যায় যেগুলো মুসলিম মেয়েদের নাম রাখার ক্ষেত্রে উপযোগী। বাংলা বর্ণমালা স অক্ষর দিয়ে কয়েকটি ইসলামিক নাম হলঃ সাবীহা, সীমা, সোহা, সাফা, সিনা, সবিতা,সুমি,সৌমি,সুহা, স্বর্ণা, সান্না, স্বপ্না, সাথী ইত্যাদি কয়েকটি ইসলামিক নাম যেগুলো মুসলিম মেয়েদের নাম রাখার উপযোগী।
এছাড়াও বাংলা বর্ণমালা স অক্ষর দিয়ে অসংখ্য ইসলামিক নাম রয়েছে এবং সেসব নামের রয়েছে দারুণ সব গুণবাচক নামসমূহ। আপনারা যদি মুসলিম মেয়েদের জন্য বাংলা বর্ণমালা স অক্ষর দিয়ে অসাধারণ কিছু নামের তালিকা অর্থসহ পেতে চান তাহলে ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইটে।
Leave a Reply