ভাবসম্প্রসারণ: নাম মানুষকে বড় করে না, মানুষই নামকে বড় করে তোলে Nam Manuske Boro Kore Na Manushi Nam Ki Jagaiya Tole

ভাবসম্প্রসারণ: নাম মানুষকে বড় করে না, মানুষই নামকে বড় করে তোলে

আপনারা যারা আমাদের এই ওয়েবসাইট ভিজিট করছেন তাদেরকে স্বাগত জানায়। আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে শিক্ষামূলক বিভিন্ন তথ্য প্রচার করে আসছি। যেসব শিক্ষার্থী ও অভিভাবক যারা শিক্ষা বিষয়ের ওপর সমসাময়িক তথ্য পেতে আগ্রহী তারা দেরি না করে এখনি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।

আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত শিক্ষামূলক বিষয়ক ছাড়াও অন্যান্য বিভিন্ন তথ্যের ওপর আলোচনা করে থাকি। তবে বর্তমানে শিক্ষার ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় আমাদের এই ওয়েবসাইটে। এখানে শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন টপিক নিয়ে আলোচনা করা। তেমনই এক বিষয় হচ্ছে বাংলা দ্বিতীয় পত্র। আমরা বাংলা দ্বিতীয় পত্রের ব্যাকরণ অংশের ভাব-সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা করব আজকে।

এখানে শিক্ষার্থী বৃন্দ এবং অভিভাবক ছাড়া ভাব-সম্প্রসারণ বিষয়ের উপর বিভিন্ন তথ্য খোঁজাখুঁজি করছেন তারা অবশ্যই আমাদের এই ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। আপনারা এখানে বিভিন্ন ধরনের ভাব সম্প্রসারণ পেয়ে যাবেন যা আপনাদের শ্রেণীর শিক্ষার পাশাপাশি অনলাইনের মাধ্যমে অনেক সহযোগিতা আসবে।

আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের উপযোগী বিভিন্ন ভাব-সম্প্রসারণ আলোচনা করে আসছি। আজো আমরা একটি ভাব সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা করব। আজ যে ভাব সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা করব সেটি নিম্নে তুলে ধরা হলো:

নাম মানুষকে বড় করে না, মানুষই নামকে জাগাইয়া তোলে

মূলভাব: নাম মানুষের সনাক্তকরণ বা পরিচয়ের জন্য অপরিহার্য। কিন্তু নাম বড় জিনিস নয়। কর্মই নামকে মহিমান্বিত করে। মানুষ যে বংশে জন্মগ্রহণ করুক না কেন সে জন্য বড় হয়ে উঠে না। সেদিনের পরদিন চেষ্টার ফলে প্রতিষ্ঠা লাভ করে নিজেকে জাগিয়ে তোলে।

সম্প্রসারিত ভাব: মানুষ পৃথিবীতে আসে। আবার নির্দিষ্ট একটা সময়কাল এখানে অবস্থান করে চলে যায় অনন্ত সময়ের গর্ভে অনিবার্য শক্তির টানে। এখানে কেউ হয় বড়, কেউ হয় অখ্যাত। নাম নিয়ে গৌরব করার কিছু নেই। প্রতিটি মানুষ পৃথিবীতে কি করছে তার উপরই মানুষের মূল্যায়ন করা হয়। এক্ষেত্রে নাম অর্থহীন। মানুষ যদি সমাজের জন্য মহৎ কিছু করে যেতে পারে তাতেই তার কৃতিত্ব ও গৌরব। তখন তার এই কৃতিত্বের জন্য তার নামটিও সবার হৃদয়ে স্বর্ণাক্ষরে লেখা হয়ে যায়।

বিচিত্র পৃথিবীতে মানুষের বিচিত্র সব নাম। সবাইকেই একদিন এই মায়াময় পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে হবে। তখন তার অস্তিত্ব বলে কিছু থাকবে না। মৃত্যুর সাথে সাথে নামটিও বিলীন হয়ে যাবে। শুধু থেকে যাবে তার কর্মফল। সে যদি ভাল কর্ম ফল রেখে যায় তবেই সে গরীয়ান ও মহিমান্বিত হয়ে উঠবে। এক্ষেত্রে তার নামটি কর্মফলের কারণেই চির অম্লান হয়ে থাকবে।

জগতে যেসব মনীষী চিরস্মরণীয় হয়ে রয়েছেন তাদের জীবন বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়-নামে নয় বরং কর্ম মহৎ কার্যাবলীর জন্যই তারা বিখ্যাত হয়েছেন। বাবা মা সন্তানের একটি ভালো নাম রেখে সব সময় ইচ্ছে পোষণ করেন যেন তাদের সন্তান তাদের রাখা নামটি সার্থক করে তুলতে পারে। কিন্তু তাদের আশা সবসময়ই পূর্ণতা পায় না। তারা যদি ভালো নাম নাও রাখেন তবুও গুণাবলী দ্বারা মানুষ ওই নামেই মর্যাদাশীল করে তুলতে পারে।

নাম সেতো আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু বান্ধবের কাছে ব্যক্তিগত পরিচয় একটি চিহ্নস্বরূপ। তার সঙ্গে যখন মহান কীর্তিকলাপ যোগ হয় তখনই নাম হয়ে ওঠে ধন্য। শেক্সপিয়ার বলেছেন, “গোলাপকে যে নামেই অভিহিত করা হোক না কেন, তা ঠিক একই রূপ সুগন্ধি ও গুণ বিতরণ করবে”। সুতরাং নামে কী বা আসে যায়। কর্মফলই নামকে ছোট বড় করে থাকে।

একজন মানুষ বেঁচে থাকে তার কর্মে, মানবতায়, ব্যবহারে। তাই নিজ গুণেই মানুষকে যোগ্য করে নিতে হয়। তখন নামের বিস্তার এমনিতেই ঘটবে। নাম কিংবা বংশ এখানে নিতান্তই গৌণ।

মন্তব্য: নামের জন্য মানুষের চেষ্টায় রত না থেকে সঠিকভাবে ত্যাগ ও সাহস প্রকাশ হলেই মানুষ সমাজে সুপ্রতিষ্ঠিত হবে। মানবজীবনে নামের কোনো ভূমিকা নেই, মানুষ তার কর্মের দ্বারা নামকে বড় করে তোলে।

About শাহরিয়ার হোসেন 4780 Articles
Shahriar1.com ওয়েবসাইটে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই পাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*