ইসলাম ধর্ম হচ্ছে শান্তির ধর্ম। যে সকল মানুষ ইসলাম অনুসারে জীবন অতিবাহিত করে তারা ইসলামে শান্তির অধিকারী অর্থাৎ তাদের জন্য পরকালীন জীবনে রয়েছে চির শান্তির স্থান জান্নাত। আর যারা ইসলাম অনুসারে জীবন অতিবাহিত করে না বা ইসলাম ধর্ম পালন করে না তাদের জন্য রয়েছে চির শাস্তির স্থান জাহান্নাম। মূলত যারা ইসলাম ধর্ম পালন করে বা ইসলাম অনুসারে জীবন পরিচালনা করে তাদের ইসলাম বিশেষ মর্যাদা দান করে এবং অনেক বেশি সম্মান অর্জন করতে পারে তারা ব্যক্তিগত জীবনেও। তাই প্রত্যেকটা মুসলিমের উচিত ইসলাম অনুসারে জীবন পরিচালনা করা এবং ইসলামের অবমাননা যেন না হয় সেদিকে বিশেষভাবে নজর দেওয়া। তবে আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে মূলত আলোচনা করা হয়েছে সাহাবীদের অর্থসহ নাম। তবে এখানে বিশেষভাবে আলোচনা করা হয়েছে সাহাবীদের অর্থসহ নাম মেয়েদের ক্ষেত্রে।
অনেক সময় দেখা যায় যে যারা ইসলাম অনুসারে জীবন পরিচালনা করে, ইসলাম ধর্ম পালন করে, তারা জীবনের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে ইসলাম মেনে চলার চেষ্টা করে। তাই তাদের বাচ্চাদের নামও ইসলাম অনুসারে রাখার চেষ্টা করে। এজন্য অনেক সময় দেখা যায় যে অনেক মুসলিম ব্যক্তি বাচ্চাদের নাম রাখার জন্য ইসলামিক নাম খুঁজে অথবা সাহাবীদের নাম খুঁজে এবং সে সকল নামের অর্থ জেনে বাচ্চাদের নাম রাখতে চাই। তারা যেন খুব সহজেই এরকম সাহাবীদের অর্থসহ নাম পেয়ে যায়। এজন্য আমাদের আজকের আর্টিকেলটি সাজানো হয়েছে সাহাবীদের অর্থসহ নাম নিয়ে বিশেষ করে মেয়েদের অর্থসহ নামের মাধ্যমে। আপনি যদি এরকম মেয়ে শিশুর নাম রাখার জন্য সাহাবীদের অর্থ সহ নাম জানতে চান তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে পারেন। আশা করি এখান থেকে আপনি আপনার পছন্দমত নামটি খুব সহজে পেয়ে যাবেন। আর এই নামে বাচ্চার নামটি রেখে বাচ্চাকেও সেই রকম সম্মানিত ব্যক্তির মত করে গড়ে তুলতে পারবেন।
সাহাবীদের নাম অর্থসহ মেয়েদের
ইসলাম ধর্মে মেয়েদের অনেক বেশি মর্যাদার অধিকারী করা হয়েছে। তাদেরকে অনেক সম্মান দেওয়ার কথাও ইসলাম ধর্মে বলা হয়েছে। তাই মেয়েদের অনেক বেশি সম্মান করা হয়। এজন্য কোন পরিবারে যদি মেয়ে শিশু জন্মগ্রহণ করে তবে যারা ইসলাম সম্পর্কে জানে এবং মনেপ্রাণে পালন করে তারা অনেক বেশি খুশি হয়। আর মেয়ে শিশুটির নাম রাখার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ে। তবে আকিকার মাধ্যমে সাধারণত নাম রাখা হয় ইসলাম ধর্ম মতে। মেয়ে শিশুদের ইসলামিক নাম রাখাই উত্তম। কেননা ইসলামিক নামের মাধ্যমে মেয়ে বাচ্চাটির উপর আল্লাহর রহমত বর্ষিত হতে পারে এবং ইসলামিক নাম রাখার কারণে পিতা-মাতা ও অনেক বেশি নেকির অধিকারী হতে পারে। কেননা ইসলাম ধর্মে বলা হয়েছে ইসলামিক নাম রাখার মাধ্যমে যেমন পিতা-মাতাকে সম্মানিত করা হবে, তেমনিভাবে সন্তানের ইসলামিক নাম না রাখলেও সেজন্য পিতা-মাতাকে জবাবদিহিতা করতে হবে। তাই প্রত্যেকটা মুসলিম পিতা-মাতার উচিত তার সন্তানের নাম ইসলাম অনুসারে রাখা এবং ইসলামিক দৃষ্টিভঙ্গিতেই সেসব সন্তানদের বড় করা।
অর্থসহ কিছু মহিলা সাহাবীদের নাম নিচে উল্লেখ করা হলো। এই নাম গুলোর মধ্য থেকে আপনি আপনার পছন্দমত একটি নাম বেছে নিতে পারেন এবং আপনার প্রিয় বাচ্চাটির নাম এই নাম অনুসারে রাখতে পারেন। আশা করি এই নামগুলো আপনার পছন্দ হবে।
১. রূফাইদা অর্থ সামান্য দান।
২. আসমা অর্থ অতুলনীয়।
৩. নাফিজা অর্থ মূল্যবান।
৪. আতিকা অর্থ সুগন্ধিনী।
৫. হালিমা অর্থ ধৈর্যশীল।
৬. জামিলা অর্থ সুন্দর।
৭. সালমা অর্থ নিরাপদ।
৮. কারিমা অর্থ উচ্চ বংশী
৯. আমেনা অর্থ প্রশান্ত আত্মা।
১০. উমামা অর্থ তিনশত উট।
এখানে কিছু নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তবে ইসলামিক অনেক নাম রয়েছে যেগুলো বাচ্চাদের রাখার জন্য খুব সুন্দর। এখানে অল্প কিছু মেয়েদের ইসলামিক নাম বা সাহাবীদের নাম অনুসারে নাম দেওয়া হয়েছে। আপনি চাইলে আরো অনেক নাম সংগ্রহ করে নিতে পারবেন আমাদের ওয়েবসাইটের বিভিন্ন আর্টিকেল থেকে।
Leave a Reply