মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর সময় যে সকল মহিলা নবী করিমকে স্বচক্ষে দেখেছে এবং ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে তার দেখানো পথ অনুসরণ করে চলেছে, আর মনে-প্রাণে ইসলাম ধর্ম পালন করেছে, তাছাড়া মৃত্যু পর্যন্ত ইসলাম ধর্ম স্বীকার করে এবং পালন করার মাধ্যমে জীবন অতিবাহিত করেছে, তারা মূলত ইসলাম ধর্মে মহিলা সাহাবী নামে পরিচিত । ইসলাম ধর্মে মহিলা সাহাবীদেরও অনেক বেশি মর্যাদা দান করা হয়েছে। মূলত ইসলাম ধর্ম অনুসারে যারা জীবন অতিবাহিত করে এবং পরিচালনা করে তাদেরকে অনেক বেশি মর্যাদা দান করা হয়।
আমরা যদি বিভিন্ন ধরনের হাদিস পর্যালোচনা করে থাকি তাহলে দেখতে পায় যে, যে সকল পুরুষ অথবা মহিলা ইসলাম ধর্ম অনুসারে নিজেদের জীবন পরিচালনা করেছে, ইসলাম ধর্মকে সম্মান করেছে,স্বীকার করেছে, ইসলাম ধর্ম তাদের অনেক বেশি সম্মান দান করেছে। তাই প্রত্যেকটা মুসলমানের উচিত ইসলাম অনুসারে জীবন অতিবাহিত করা এবং সাহাবীরা যেভাবে তাদের জীবনকে ইসলামের জন্য উৎসর্গ করেছে সেই রকম ভাবে নিজেদেরকেও ইসলামের জন্য নিবেদিত প্রাণ হিসেবে তৈরি করা।
তবে আজকের এই আর্টিকেলটিতে আলোচনা করা হয়েছে মূলত জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত মহিলা সাহাবীদের সম্পর্কে এবং তাদের নাম এ আর্টিকেলটিতে বিশেষভাবে উল্লেখ করার চেষ্টা করা হয়েছে। আবার অনেককেই দেখা যায় যে জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত মহিলাদের নাম সম্পর্কে জানতে চান অথবা তাদের নামের মতো বা তাদের নামের সাথে মিল রেখে নিজেদের মেয়ে বাচ্চাটির নাম রাখতে চান। আর মেয়ে বাচ্চার নাম রাখার জন্য অনেকেই এই জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত সাহাবীদের নাম খোঁজ করেন। কেননা এই নাম অনুসারে তাদের নাম রাখার মাধ্যমে তাদেরকেও সম্মানিত করতে চান এবং নিজেদের বাচ্চাদের কেউ সেই ভাবে তৈরি করার চেষ্টা করেন। আর ইসলাম অনুসারে বাচ্চাদের নাম রাখলে সে বাচ্চার উপর আল্লাহর রহমত বর্ষিত হয় এবং সেই পিতা-মাতার উপরও আল্লাহ অনেক বেশি খুশি হয়।
বিভিন্ন হাদিসে বলা হয়েছে যে সকল পিতা-মাতা তাদের সন্তানদের ইসলাম অনুসারে নাম রাখেন, সে সকল পিতা-মাতাকে সম্মানিত করা হবে। আর ইসলাম অনুসারে যারা নাম রাখেন না, তাদের কেউ কেন ইসলাম অনুসারে নাম রাখেনি এজন্য জবাবদিহিতা করা হবে এবং শাস্তি দান করা হবে। তাই প্রত্যেকটা মুসলমান ব্যক্তির উচিত ছেলে সন্তান অথবা মেয়ে সন্তানের নাম ইসলাম অনুসারে ইসলামিক নাম রাখা। আর এজন্যই মূলত আজকের আর্টিকেলটিতে জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত মহিলাদের নামের তালিকার সন্নিবেশ ঘটানো হয়েছে। এখান থেকে আপনি খুব সহজেই আপনার পছন্দমত মেয়ে বাচ্চার জন্য নাম সিলেক্ট করে নিতে পারবেন। তাছাড়া জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত মহিলাদের নাম সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাই আর দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক। আর আপনি যদি এই বিষয়টি সুন্দরভাবে বা বিস্তারিতভাবে জানতে চান তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে পারেন। আশা করি এখান থেকে অনেক বেশি উপকৃত হবেন।
পৃথিবীতে কিছু কিছু মহিলা সাহাবী এত ভালো কাজ করেছে যে দুনিয়াতে তারা জান্নাতের সুসংবাদ লাভ করেছেন। অর্থাৎ তারা মৃত্যুর পরে জান্নাত লাভ করবেন এইরকমই সুসংবাদ তারা পেয়েছেন। তাদের মধ্যে কিছু জান্নাতি সুসংবাদপ্রাপ্ত মহিলাদের নামের তালিকা নিচে দেওয়া হলো:
১. হাফসা (রাঃ)
২. হামনা বিনতে জাহান (রাঃ)
৩. হাওয়া বিনতে ইয়াযীদ (রাঃ)
৪. আসমা (রাঃ)
৫. তামীমা বিনতে ওয়াহাব (রাঃ)
৬. উম্মে আয়মন (রাঃ)
৭. ফাতেমা বিনতে খাত্তাব (রাঃ)
৮. রুকাইয়া বিনতে রাসুলুল্লাহ (সাঃ)
এখানে মূলত কয়েকজন জান্নাতি সুসংবাদপ্রাপ্ত মহিলাদের নাম দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অনেক মহিলা রয়েছে যারা জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত। আমাদের বিভিন্ন আর্টিকেল এ বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। এ ধরনের বিভিন্ন বিষয় জানতে আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন। আশা করি আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনি উপকৃত হয়েছেন।
Leave a Reply