প্রতি বছর মার্চ মাসের আট তারিখে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করা হয়। এই দিনটিতে পুরো বিশ্ব নারীদের সম্মান প্রদর্শনের লক্ষ্যে নারী দিবস পালন করে। এবং এই দিনটি সারা বিশ্ব সরকারি ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করেছে৷ নারীদের সম অধিকার নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন আন্দোলন -কর্মসূচি পালন করা হয়েছিল অনেক আগে থেকেই। আর সেই আন্দোলন কর্মসূচির ফল হিসেবে ৮ই মার্চকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে।
কেননা এই দিনটিতে নারীরা তাদের সম অধিকার আদায়ে সক্ষম হয়েছিল। তাই ৮ই মার্চকে নারী দিবস হিসেবে পালন করা হয় সারা বছরই। অনেক সময় দেখা যায় যে অনেকে নারী দিবসের অর্থাৎ ৮ই মার্চ নিয়ে অনেক কথা খুঁজে থাকেন। আপনি কি এই নারী দিবস নিয়ে বিভিন্ন কথা খুঁজছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসে পৌঁছেছেন। কেননা আজকের পোস্টটি নারী দিবস সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্যের মাধ্যমে সাজানো হয়েছে। এখান থেকে আপনি খুব সহজে আপনার পছন্দমত নারী দিবস সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য পেয়ে যাবেন বলে আশা করছি।
নারী দিবস টি মূলত নারীর প্রতি সম্মান শ্রদ্ধা ও জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে পালন করা হয়। কারণ আমাদের সমাজে এখনো দেখা যায় যে নারীদের পর্যাপ্ত পরিমাণে সম্মান ও শ্রদ্ধার চোখে দেখা হয় না। তাদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়। এজন্য নারীদের সম অধিকারের প্রতি জনসচেতনতা তৈরি করার লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে পুরা বিশ্বে ৮ই মার্চকে নারী দিবস হিসেবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালন করে। যাতে করে এর মাধ্যমে নারীদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ জাগ্রত হয় এবং তাদের সম অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব হয়।
১৯১৪ সালের ৮ই মার্চ থেকে বিশ্বব্যাপী নারী দিবস পালন করা হয়ে আসছে। এই দিনটি সারা বিশ্বের কাছে নারী দিবস কন্যা দিবস জন সচেতনতা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশ ১৯৭১ সালের দিকে প্রথম নারী দিবস পালন করে। তবে বেশ কয়েক বছর নারী দিবস পালিত হয়নি। বাংলাদেশে পরবর্তীতে ১৯৭৫ সালের ৮ই মার্চ থেকে নিয়মিতভাবে নারী দিবস পালন করা হয়। বাংলাদেশেও এই দিনটিতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে এবং উৎসব আয়োজন এর মাধ্যমে নারীদের প্রতি সম্মান-শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে নারী দিবস উদযাপন করে।
নারীদের যথাযথ সম্মান প্রদর্শনের জন্য নারী দিবস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কারন এই দিনটিতে নারীদের সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য প্রচার করা হয় এবং নারীদের সম্মান প্রদর্শনের জন্য জনসচেতনা তৈরি করা হয়। এই দিনটির মাধ্যমে অনেকে নারীদের সম্পর্কে ভালো ধারণা লাভ করে। এবং নারীদের সম অধিকার নিশ্চিত করার জন্য কাজ করে থাকে। আবার আমাদের সমাজে দেখা যায় যে অনেকে নারীদের সম অধিকার দান করার পক্ষে থাকে না। তারা ও এই দিনটির মাধ্যমে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করতে দেখে নারীদের সম অধিকার নিশ্চিত করার জন্য পদক্ষেপ নিতে পারে তাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে পারে।
সর্বোপরি ব্যক্তি জীবন সহ পরিবার, সমাজ এবং দেশের উন্নতির জন্য নারী পুরুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করা খুবই প্রয়োজন। কেননা নারীদের ছাড়া দেশ ও জাতির উন্নতি কোন ভাবেই পুরুষেরা একা করতে পারবে না। কোন কালেই পুরুষের তরবারি একা জয়ী হয়নি। তার পিছনে সাহস দিয়েছে, চেতনা জাগিয়েচে নারীরাই। এজন্য বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম সবসময় সাম্যের গান গেয়েছেন। সম-অধিকারের গান গেয়েছেন।
তাই সকলেই এক সাথে একমত হয়ে নারী পুরুষের সময় অধিকার নিশ্চিত করতে চেষ্টা করতে হবে। আর সমাজে যখনই নারী-পুরুষের অধিকার সমানভাবে নিশ্চিত করা সম্ভব হবে, তারা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে পারবে, তাদেরকে কোন ভাবে অসম্মান করা হবে না, তখনই একটি দেশ ও জাতি সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবে। এবং এর মাধ্যমে দেশের মঙ্গল সাধিত হবে।
Leave a Reply