যারা নারী নির্যাতন মামলা সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানতে চান তারা আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে এ সংক্রান্ত তথ্য জেনে নিন এবং এক্ষেত্রে আপনি যদি নারী নির্যাতনের মামলা করে অপরাধের শাস্তির ব্যবস্থা করতে চান তাহলে যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করলেই হবে। আমাদের সমাজে অনেক পুরুষ আছেন যারা নারীদের এই প্রতিপন্ন করেন এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে তারা নারীদেরকে নির্যাতন করতে থাকেন।
বর্তমান সময়ে নারীদের নির্যাতন করার ক্ষেত্রে যৌথ সংক্রান্ত বিষয়গুলো উঠে এসেছে এবং পুরুষেরা মাদকদ্রব্যের সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে সংসারে এসে নারীদের প্রতি নির্যাতন করতে থাকেন। আবার অনেকে দেখা যায় প্রেমের বশবর্তী হয়ে নারীদের থেকে যদি তার সদুত্তর না পান তাহলে তাদের প্রতি এসিড নিক্ষেপ থেকে শুরু করে রাস্তায় ইভটিজিং অথবা বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন করে থাকেন। তাছাড়া হুমকি প্রদান অথবা ধর্ষণ সহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধ এই সমাজে ঘটে চলেছে।
তাই বেশ কিছু ধারা রয়েছে যার মাধ্যমে একজন নারীকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নির্যাতন করা হয় এবং এই ধারাগুলোর ভেতরে যদি আপনার সেই অপরাধ গণ্য হয় তাহলে আপনারা থানায় মামলা দায়ের করতে পারবেন এবং এক্ষেত্রে প্রতিকার পেতে পারবেন। তাই আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে জানিয়ে দেবো যে নারী নির্যাতনের মামলা কোথায় করতে হবে এবং কোথায় কিভাবে করলে আপনারা এক্ষেত্রে সুফল পাবেন।
প্রথমত আপনি যে এলাকায় বসবাস করেন সেই এলাকার মডেল থানাতে গিয়ে অফিসার ইনচার্জ বরাবর আপনাদের এ বিষয়টি আপনারা সাক্ষী সহ বুঝিয়ে বলবেন। তারাই বিষয়টি গ্রহণ করবে এবং খুব তাড়াতাড়ি আপনাদের এই অপরাধের অর্থাৎ এই বিবরণ শুনে আপনাদের এলাকায় গিয়ে অথবা লোকমধ্যমে এই অপরাধ সংগঠিত হয়েছে কিনা এবং আপনি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন কিনা তা যাচাই করে দেখবেন।
এর প্রধান কারণ হলো যে অনেকেই এখন এই সুবিধা গ্রহণ করার জন্য মিথ্যা নারী নির্যাতনের মামলা করে থাকে যাতে একজন পুরুষকে খুব তাড়াতাড়ি বাজেয়াপ্ত করা যায়। তাই আপনার এই দায়ের করা অভিযোগ সঠিক কিনা তা যাচাই করে দেখবে এবং যাচাই করে দেখার পর নিজেই বিস্তারিত বিবরণ গ্রহণ করে সেটি কোর্টে প্রেরণ করবে এবং সেটি ম্যাজিস্ট্রেট যাচাই করে দেখবেন।
তিনি যাচাই করার পর এই বিষয়টি নারী ও শিশু বিষয়ক ট্রাইব্যুনালের কাছে হস্তান্তর করলে তারা এ বিষয়টি যখন সাবমিট করবেন এবং গ্রহণ করবেন তখন যে থানা থেকে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে সেখানে চার্জশিট তৈরি করে সেই ব্যক্তির গ্রেপ্তার বিষয়ক যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করার জন্য দিকনির্দেশনা প্রদান করবেন।
এরপরে সেই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে অথবা সেই গ্রেপ্তার হওয়ার পরে যথাযথ বিচার কার্যের মাধ্যমে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান করা হবে। এক্ষেত্রে সাক্ষী এবং প্রমাণের ভিত্তিতে সকল কিছু প্রমাণ হলে চরম শাস্তি পেতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় যে স্থানীয় থানা পর্যায়ের লোকেরা এ ধরনের মামলা গ্রহণ করেনা এবং তারা হয়তো আসামির পক্ষের লোককে প্রাধান্য প্রদান করে অথবা ক্ষমতার জোরে তারা এ ধরনের অপরাধ করে থাকে বলে তাদের মামলা গ্রহণ করা হয় না।
থানা পর্যায়ে যদি মামলা গ্রহণ না করা হয় তাহলে আপনারা আদালতে একজন উকিলের মাধ্যমে মামলা করতে পারবেন। তাহলে একই ধারা অনুসরণ করে সেটি নারী ও শিশু বিষয়ক ট্রাইব্যুনালে চলে যাবে এবং সেখান থেকে স্থানীয় থানা পর্যায়ে সেই কেস হস্তান্তর করা হলে তারা আসামিকে গ্রেফতার করে নারী ও শিশু বিষয়ক ট্রাইব্যুনালের অধীনে যথার্থ শাস্তির বিধান করা হবে।
Leave a Reply