নবজাতকের পেটে গ্যাস হলে সবার প্রথমে বুঝতে হবে যে কি কারনে গ্যাস হচ্ছে। তার কারণ হলো স্বাভাবিকভাবেই সন্তান জন্ম নেওয়া থেকে শুরু করে ছয় মাস অব্দি তার মায়ের বুকের দুধ তার জন্য যথেষ্ট খাবার। কিন্তু যদি মায়ের বুকের দুধ পরিমাণমতো না পায় তাহলে বাড়তি খাবার তাকে দিতে হবে এবং সেই খাবার দিতে গেলেই তার পেটে গ্যাস তৈরি হতে পারে। আজকে আমরা সেই সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব।
আমরা যারা বড়রা আছি তাদের শরীরে যে কোন ধরনের সমস্যা হলে আমরা আপনজনদের কাছে কি সমস্যা হচ্ছে সেটা কথার মাধ্যমে ব্যক্ত করতে পারি। কিন্তু যারা নবজাতক রয়েছে তারা তখন কথা বলতে শিখে না যার কারণে তারা নিজের পেটের সমস্যা গুলো বাবা-মার কাছে বলতে পারেনা। তবে অবশ্যই তারা এমন কিছু লক্ষণ বাবা-মাদের বোঝানোর জন্য করে যার মাধ্যমে পেটের সমস্যা হচ্ছে সেটা বুঝতে পাওয়া যায়। আজকে আমরা সেই সমস্যা গুলো জানার চেষ্টা করবে এবং নবজাতকের পেটে গ্যাস হলে কি করনীয় সেটাও জানার চেষ্টা করব।
নবজাতকের পেটে গ্যাস কিভাবে বুঝবেন
সাধারণত নবজাতক মুখে কিছু বলতে পারেনা কিন্তু যদি তার পেটে গ্যাস হয় তাহলে সে অনেক বিরক্তি অনুভব করে। প্রাথমিক লক্ষণ গুলোর মধ্যে সবার প্রথমে যে লক্ষণটি আপনি ফলো করতে পারবেন সেটা হচ্ছে নবজাতকের পেট ফুলে উঠবে। স্বাভাবিক অবস্থার থেকে তাহার পেট একটু বেশি উঁচু মনে হবে এবং পেট শক্ত হয়ে যাবে। এই লক্ষণ থেকে আপনি বুঝতে পারেন যে নবজাতকের পেটে গ্যাস হয়েছে।
এছাড়া নবজাতককে অতিরিক্ত অস্থির মনে হবে এবং মনে হবে যে সে সব সময় অনেক বেশি কষ্ট পাচ্ছে। অস্বস্তি দায়ক অঙ্গভঙ্গি সে করতে পারে যেটা বাবা-মাকে খুব ভালোভাবে লক্ষ্য করতে হবে। অতিরিক্ত কান্নাকাটি পেটে গ্যাস হওয়ার অন্যতম একটি লক্ষণ। এছাড়া ঘুমে ব্যাঘাত ঘটলে অবশ্যই গ্যাসের লক্ষণ হিসেবে আপনি নবজাতককে গ্যাসের ট্রিটমেন্ট দিতে পারেন। এছাড়াও আরো অনেক লক্ষণ রয়েছে যে লক্ষণগুলোর মাধ্যমে নবজাতকের পেটের গ্যাস সম্পর্কে বোঝা যায়।
নবজাতকের পেটে গ্যাস হলে করণীয়
সাধারণত বাচ্চারা যখন অসুস্থ হয় তখন তারা মুখে বলতে না পারলেও তারা বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গিতে বোঝানোর চেষ্টা করে যে তারা কষ্টে আছে। বাবা মা সবসময় কাছে থাকে এবং এই অঙ্গভঙ্গি যখন বাবা-মা বুঝতে পারে তখন অবশ্যই দুশ্চিন্তায় পড়ে যে সন্তানের কি হলো। যদি লক্ষণ গুলো দেখে আপনি বুঝতে পারেন যে আপনার সন্তানের পেটে গ্যাস হয়েছে তাহলে এই ছোট্ট সোনামণির পেটে গ্যাস কমানোর জন্য আপনি কি করতে পারেন সেটা অবশ্যই জানতে হবে।
সাধারণত যদি আপনি বাড়তি খাবার সন্তানের খাবারের সঙ্গে যুক্ত করতে চান সেখানে গ্যাস হতে পারে। বিশেষ করে প্যাকেট জাতীয় খাবার যেগুলো আমরা সন্তানদের দিয়ে থাকি সেই সন্তানের প্যাকেট জাতীয় খাবার গ্যাস হওয়ার মূল কারণ তাই এগুলো বর্জন করে চলার চেষ্টা করতে হবে।
মায়ের বুকের দুধ অথবা প্যাকেট জাতীয় দুধ খাওয়ানোর সময় সঠিক পদ্ধতি মেনে আপনাকে দুধ খাওয়াতে হবে। দুধ খাওয়ার সময় সন্তানের মাথা যাতে উপর দিকে থাকে এবং পেট যাতে নিচের দিকে থাকে সেদিকে অবশ্যই আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে।কোনভাবেই সমান হবে শুয়ে সন্তানকে বুকের দুধ অথবা অন্য দুধ খাওয়ানো যাবে না। চেষ্টা করতে হবে নবজাতককে ছয় মাস পর্যন্ত শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে। এতে করে সন্তান বাইরের খাবার থেকে দূরে থাকবে এবং তার পেটে কোন ধরনের গ্যাস হবে না।
যদি আপনি মনে করেন যে শিশুর পেটে গ্যাস হয়েছে তাহলে বিভিন্ন ব্যায়ামের মাধ্যমে আপনি শিশুর পেটের গ্যাস কমাতে পারেন। শিশুর হাত-পা নাড়িয়ে দেওয়া এবং পেটে হালকা ম্যাসাজের মাধ্যমে আপনি তার পেটের গ্যাস বের করে দিতে পারেন। এছাড়া চেষ্টা করবেন হালকা গরম পানি শিশুকে খাওয়াতে এছাড়াও গরম পানি দিয়ে গোসল করাতে যার মাধ্যমে শিশুর পেটের গ্যাস একটু হলেও কমে যাবে।
Leave a Reply