
বর্তমান সময়ে অনেকেই আছেন যারা পালিয়ে বিয়ে করেন। সাধারনত পরিবার সম্মতি প্রদান না করলে ছেলে এবং মেয়ে তাদের পছন্দ অনুযায়ী একে অপরকে বিয়ে করে এবং এতে করে তাদেরকে পরিবার এর অনুমতি ছাড়াই বিয়ে করতে হয়। বাংলাদেশের নিয়ম অনুযায়ী প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে এবং মেয়ে নিজেদের ইচ্ছায় বিবাহ করতে পারে। কিন্তু বিবাহ হল একটি সামাজিক অনুষ্ঠান এবং দুইটি পরিবারের মেলবন্ধন। কিন্তু কোন ভাবে আপনার পিতা কোন একটি মেয়ের সঙ্গে বিয়ে ঠিক করল এবং সেখানে যদি আপনার আপত্তি থাকে অথবা আপনার পিতার কোন একটি ছেলের সঙ্গে বিয়ে করল যাতে আপনার পছন্দ নয় এক্ষেত্রে হয়তো অনেক সময় আপনারা এই ভাবে বিয়েতে অসম্মতি জানান।
আবার আপনাদের যদি পছন্দের কেউ থেকে থাকে এবং তারা তাদের কাছে যদি আপনারা একেবারে চুক্তিবদ্ধ হয়ে যান তাহলে হয়তো আজীবনের সঙ্গী হিসেবে তাকে বিবাহ করতে আগ্রহী হয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে পরিবার যদি কোন একটি অসঙ্গতির কারণে বিয়ে দিতে রাজি না হয়ে থাকে তাহলে আপনারা হয়তো অনেক সময় বন্ধু-বান্ধবদের সহায়তা গ্রহণ করে পালিয়ে বিয়ে করে থাকেন। তাই কেউ যদি পালিয়ে বিয়ে করতে চাই তাহলে কোন নিয়মে বিয়ে করতে হবে এবং কোন নিয়মে বিয়ে করলে কোন ক্ষেত্রে ঝামেলা হবে না সে বিষয়গুলো আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারবেন।
তবে পালিয়ে বিয়ে করার আগে আপনাদের একটি কথাই বলবো যে পরিবারের মনে কষ্ট দিয়ে যখন আপনারা কোন একজনকে বিয়ে করবেন তখন ছেলেটি যেন ভালো হয় অথবা মেয়েটি যেন ভালো হয় এ বিষয়গুলো আগে যাচাই করে নিতে হবে। কারন আবেগের বশবর্তী হয়ে আপনি যখন ছলচাতুরির শিকার হবেন তখন দেখা যাবে যে আপনি না ফিরে যেতে পারবেন পরিবারের কাছে এবং না ফিরে যেতে পারবেন আপনার সেই মানুষটির কাছে। এই জীবন একটাই এবং এই জীবনকে খুব সুন্দর ভাবে গুছিয়ে নেওয়ার জন্য প্রয়োজন সঠিক সিদ্ধান্তের এবং সঠিক কর্ম পদ্ধতির।
তাই বারবার বলব যে পালিয়ে বিয়ে করার পুর্বে আপনার অবশ্যই তা ভেবে চিন্তা করবেন এবং এক্ষেত্রে যদি মনে করেন আপনার পিতা-মাতার মনে কষ্ট দিয়ে আপনি এই কাজটি করতে পারবেন না তাহলে কখনই তা করার দরকার নেই এবং যদি আপনার এটা নাগালের বাইরে চলে যায় তাহলে আপনারা হয়তো এই কাজটি করবেন। তাই পালিয়ে বিয়ে করতে হলে আপনাকে সরকারি কাজের কাছে অর্থাৎ যিনি রেজিস্টার করা একজন বিবাহ নিবন্ধক এর লোক তার কাছে গিয়ে এই বিয়ের কাজটি সম্পন্ন করতে পারেন।
পালিয়ে বিয়ে করার ক্ষেত্রে অবশ্যই পাত্র এবং পাত্রীর বয়স বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম অনুসরণ করে হতে হবে। বয়স যদি ঠিকঠাক থাকে তাহলে আপনাদের জাতীয় পরিচয় পত্র প্রদর্শন করার পাশাপাশি মাধ্যমিক পরীক্ষার সার্টিফিকেট এবং অন্যান্য ডকুমেন্ট প্রদর্শন করতে হবে। ছেলে এবং মেয়ের পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি করে ছবি নিয়ে যেতে হবে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে খরচ নিয়ে যেতে হবে। আপনাদের সেখানে কাবিননামা নির্ধারণ করতে হবে এবং সেই কাবিননামা অনুসরণ করে সরকারি কাজের একটি নির্ধারিত রেজিস্টার কি প্রদান করতে হবে।
তাছাড়া এই বিয়ের জন্য দুইজন সাক্ষী লাগবে এবং দুইজন সাক্ষীকে ছেলে হতে হবে। যদি ছেলে সাক্ষী না পেয়ে থাকেন তাহলে একজন ছেলের সাথে এবং দুইজন মেয়ে সাক্ষী হলেও হবে। পরবর্তীতে পালিয়ে বিয়ে করার জন্য মেয়ে পক্ষের দিক থেকে অনেক সময় মামলা করা হয়ে থাকে এবং এক্ষেত্রে মেয়ে যদি শক্ত হয় এবং তিনি যদি স্বীকার করেন যে তিনি নিজে স্বেচ্ছায় এই বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন তাহলে কোন ধরনের সমস্যা হবে না। তাই বিয়ে করার পূর্বে অবশ্যই ভেবে চিন্তে করুন যাতে পরবর্তীতে কোন ধরনের সমস্যা না হয়।
Leave a Reply