পায়খানার রাস্তার পাশে ফুলে যাওয়ার কারণ

আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে সেই সমস্যাগুলোর মধ্যে একটি সমস্যা হচ্ছে মলদ্বারে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা। স্বাভাবিকভাবেই এটা অনেক গোপন রোগ এবং এই রোগ নিয়ে আমরা সচরাচর উন্মুক্তভাবে কথা বলতে দেখি না। সবার প্রথমে চেষ্টা করি আমরা আমাদের আপন জনের কাছে এই রোগ সম্পর্কে শেয়ার করতে এবং তারপরে ডাক্তারের কাছে যায়।

আজকের এই ছোট আর্টিকেল থেকে পায়খানার রাস্তার আশেপাশে যে সমস্যাগুলো হয় সেগুলো সম্পর্কে আমরা জানার চেষ্টা করব এবং আরো জানার চেষ্টা করব এই সমস্যাগুলো বেরিয়ে আসার জন্য আমাদের কি করা উচিত। সাধারণত মানুষ যখন অসুস্থ হয় তখন দেখা যায় শরীর অসুস্থ হওয়ার পাশাপাশি সে সব দিক দিয়েই অসুস্থ হয়ে যায় তার কারণ হলো তার মন তখন ভালো থাকে না। সেই মনকে আরো বেশি ভালো করতে সবার প্রথমে আপনাকে সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।

মলদ্বারে যন্ত্রণা হওয়ার ও মলদার ফুলে ওঠার কয়েকটি কারণ

সাধারণত মলদ্বারের পাশে ফুলে ওঠা একটি রোগ এবং এই রোগের কারণে রোগীকে অনেক ধরনের কষ্ট সহ্য করতে হয়। সাধারণত এই রোগের নাম আমরা দিয়ে থাকি অর্শ রোগ বা পাইলস। যেটাকে ইংরেজিতে হেমরএড হিসেবে ডাকা হয়। সাধারণত এটা এমন একটি সমস্যা যেটা যে কোন বয়সেই দেখা দিতে পারে তবে এই সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের অনেক কষ্ট করতে হয় এবং অনেক সহ্য করতে হয়।

সাধারণত ফাইবারযুক্ত খাবারের অভাবে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যতাই দীর্ঘদিন ধরে যারা ভোগেন তাদের ক্ষেত্রে এবং দীর্ঘক্ষন দাঁড়িয়ে থাকা অথবা দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার কারণে এই সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। এই সমস্যা থেকে রোগীদের বিভিন্ন সময় মলদ্বার থেকে রক্ত পড়া ও মলদ্বারে ব্যথা যন্ত্রণা হতে পারে তাই অবশ্যই এটা অনেক কষ্টদায়ক একটি ব্যাপার। আমাদের এই ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে অবশ্যই খাবার বেশি করে খেতে হবে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সেটা দ্রুত সারিয়ে তোলার চেষ্টা করতে হবে।

এছাড়াও এই ধরনের সমস্যা সবার প্রথমে মাথা ছেড়ে উঠতে পারে শীতকালে তাই শীতকালকে একটু ভালোভাবে অতিবাহিত করার চেষ্টা করতে হবে। সাধারণত এটা এমন এক ধরনের সমস্যা যেটাকে আমরা শুরুর দিকে কোনভাবেই গুরুত্ব দেয় না কিন্তু যখন আমরা এই সমস্যায় পড়ি তখন বুঝতে পারি এটা আমাদের জন্য কতটা জটিল সমস্যা। বর্তমানে অত্যাধুনিক চিকিৎসা বের হয়েছে যেই চিকিৎসার মাধ্যমে আপনারা অনায়াসে সারা জীবনের জন্য এই রোগ থেকে মুক্ত হতে পারবেন তবে এটার জন্য আপনাকে সঠিক জায়গাতে যেতে হবে।

সাধারণত এই রোগের কারণ হিসেবে সবার থেকে প্রথমে চিহ্নিত করা হয় জন্মগত সমস্যা। কিন্তু আস্তে আস্তে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে অত্যধিক লোম ও লোমকূপে আটকে পড়ার লোম ও যা পরে পুজ এবং গর্তের সৃষ্টি করে। এখান থেকে মূলত পাইলসের সৃষ্টি হয় তাই অবশ্যই এটা আপনাকে আগে থেকেই বুঝতে হবে এবং এর জন্য চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।

পাইলসের চিকিৎসা

আমাদের শরীরে অতি যন্ত্রণাদায়ক যে রোগগুলো রয়েছে তার মধ্যে পাইলস অন্যতমতার কারণ হলো এটা রোগীদের অনেক বেশি কষ্ট দেয় এবং অনেক বেশি ভোগায়। তবে একেবারে পাইলস মুক্ত হতে হলে আপনাকে অবশ্যই অপারেশনে যেতে হবে। অত্যাধুনিক চিকিৎসা সেবার মাধ্যমেও অপারেশন করতে পারলে এবং সঠিকভাবে নিয়মিত ড্রেসিং করতে পারলে আপনি পায়েস থেকে একেবারেই মুক্ত পেতে পারেন।

তবে অবশ্যই আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে যে এটা যেন ভালো জায়গাতে অপারেশন করা হয় তার কারণ হলো আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাতে এমন অনেক মানুষকে দেখেছি যারা দুই থেকে তিনবার পাইলসের অপারেশন করার পরেও তাদের পাইলস পুরোপুরি ভালো হয়নি। তাই অবশ্যই অপারেশনের সময় সতর্ক থাকতে হবে এবং নিজেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে এবং পুষ্টিকর আঁশযুক্ত খাবার নিয়মিত খেতে হবে।