
সাধারণত দীর্ঘদিন ধরে যদি আপনি আপনার পেটে গ্যাস জমা রাখেন সেটা আপনার জন্য অনেক চিন্তার কারণ। বর্তমানে বেশিরভাগ রোগী গ্যাসের কারণে হচ্ছে তার কারণ হলো পেটে যদি অত্যাধিক দেশ থাকে তাহলে কোনভাবেই আপনি অন্যান্য ওষুধের কার্যকারিতা ঠিকভাবে পাবেন না। এছাড়াও গ্যাস একটি বিরক্তি কর অভিজ্ঞতা যেই অভিজ্ঞতা থেকে সকলেই রেহাই পেতে চাই কিন্তু অভ্যাস পরিবর্তন না করতে পারলে কোনভাবেই গ্যাস থেকে রেহাই পাবেন না।
আজকের আমাদের এই ছোট আর্টিকেল থেকে আমরা জানার চেষ্টা করব মূলত গ্যাসের সমস্যা কিভাবে বুঝবেন সেটা জানা সম্পর্কে। গ্যাসের সমস্যা বোঝা খুব সহজ কিন্তু সবার আগে আপনাকে এটা নিশ্চিত হতে হবে এই গ্যাসের সমস্যা কেন হচ্ছে। এবং যদি এই গ্যাসের সমস্যা থেকে আপনি পরিত্রাণ পেতে চান অবশ্যই নিজের খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে। চলুন এই আজকের আর্টিকেল থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো জানার চেষ্টা করি যেগুলো আমাদের যেকোনো সময় যে কোনদিন কাজে আসতে পারে।
পেটে গ্যাস হলে কি কি সমস্যা হয়
সাধারণত অসুখের লক্ষণ দেখে আমরা বুঝতে পারি সেটা কি অসুখ তাই গ্যাসের ক্ষেত্রেও একই ফর্মুলা আপনাকে এপ্লাই করতে হবে। যদি আপনি মনে করেন আপনার শরীরে গ্যাসের সমস্যা দেখা দিয়েছে তাহলে গ্যাস হলে কি কি সমস্যা হয় সেগুলো চিনে রাখতে পারলে আপনি নিশ্চিতভাবে বুঝতে পারবেন যে এই সমস্যাগুলো হচ্ছে গ্যাসের সমস্যা। তখন গ্যাসের চিকিৎসা গ্রহণ এবং অভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে আপনি পুরোপুরি সুস্থ হতে পারবেন তবে আপনি যদি জানেন না গ্যাস হলে কি কি সমস্যা হয় তাহলে আপনি কোনভাবে এটা বুঝতে পারবেন না।
সবার প্রথমে আপনাদের জানিয়ে রাখি গ্যাস হলে কি হয় সেই সম্পর্কে। আপনার শরীরে যদি গ্যাসের মাত্রা অত্যাধিক বেড়ে যায় তাহলে স্বাভাবিকভাবে আপনার পেটে জ্বালাপোড়ার সৃষ্টি হবে। অনেকে বলে থাকেন আমি গ্যাস জাতীয় কিছুই খায় না তারপরও পেটে গ্যাস হয় এটা মূলত আপনার পেটে আগে থেকে ও তাদের গ্যাস জমা হয়ে গেছে তার কারণে যেটা সহজেই শরীর থেকে বের হচ্ছে না এবং আপনাকে জ্বালাচ্ছে।
পেটের বদ হজম গ্যাসের অন্যতম একটি কারণ এবং আপনার যদি ঘন ঘন বদহজম হয় তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে যে এটা গ্যাসের কারণে হচ্ছে। যাদের পেটে অতিরিক্ত গ্যাস জমা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে এ বিষয়টি ঘন ঘন হয় এবং বদ হজমের কারণে অনেক সময় ডায়রিয়া এবং এই ধরনের রোগে অনেকে আক্রান্ত হয়।
এটা যদি গ্যাস হয় তাহলে আপনার পেটে ব্যথা হতে পারে এ ছাড়াও বুকের মাঝখানে প্রচন্ড ব্যথা হতে পারে। আপনি যখন কোন কিছু খেতে যাবেন বিশেষ করে তেল জাতীয় খাবার তাহলে তো অবশ্যই আপনার পেট জ্বলবে এবং বুকের দুই সাইডে ব্যথা করবে। এছাড়াও অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে বুকের বাম পাশে ব্যথা হওয়ার পাশাপাশি বমি বমি ভাব আসতে পারে।
শিশুদের গ্যাস হয়েছে কিনা কিভাবে বুঝবেন
একটি শিশু যখন জন্ম নেয় তখন তার বাকশক্তি থাকে না কিন্তু আস্তে আস্তে সে কথা বলতে শিখে। বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা যে খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলেছি তাতে একজন শিশুর গ্যাস হওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার। অত্যন্ত দুঃখের ব্যাপার এই যে আমরা নিজেকে যে খাবারের সাথে অভ্যস্ত করছি নিজের শিশুকেও সেই খাবারের সঙ্গে অভ্যস্ত করে ফেলছি। বাজারে থাকা বিভিন্ন প্যাকেটিং খাবার খাইয়ে খাইয়ে শিশুর পেটে অত্যাধিক গ্যাস জমা করছে।
কিন্তু আমরা যে আমাদের কষ্টের কথা মুখে বলতে পারি শিশুরা তো বলতে পারেনা তাহলে কিভাবে বুঝব একজন শিশু গ্যাসের জন্য যন্ত্রণা পাচ্ছে বা কষ্ট পাচ্ছে। সাধারণত এগুলো বোঝার আগে আপনাকে লক্ষণ ফলো করতে হবে এবং সেই লক্ষণগুলো হচ্ছে শিশুর পেটে যদি গ্যাস আটকে থাকে তাহলে বুঝতে হবে শিশুর ঢেকুর তুলছে। নিয়মিত শিশুর পেট ফুলে উঠবে এবং শিশু বায়ু ত্যাগ করবে এবং তলপেট শক্ত হয়ে উঠবে। অযথা অনুভব করবে এবং কান্নাকাটি করবে।
Leave a Reply