গ্যাস বর্তমানে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একটি জাতীয় সমস্যা তার কারণ হলো, আমরা প্রচুর পরিমাণে ভেজাল খাদ্যে ভরপুর রয়েছে এবং এই ভেজাল খাদ্য খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শরীরে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হচ্ছে যার ফলে গ্যাস হচ্ছে। গ্যাসের সমস্যা সমাধানে আমাদের কিছু সৎ উদ্দেশ্য এবং সৎ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে যার ফলে আমরা এই সমস্যা থেকে পুরোপুরি সুস্থ হতে পারি।
তবে আমরা সেগুলো না করে শুধুমাত্র গ্যাসের ওষুধ নিয়মিত খেয়ে গ্যাস থেকে মুক্তি পাওয়ার চেষ্টা করে যার কারণে বাংলাদেশের বর্তমানে সব থেকে বেশি ব্যবহৃত ওষুধ হিসেবে গ্যাসের ওষুধ পরিচিত। ভালো যদি গ্যাসের ওষুধের টাকাটা গুছিয়ে রাখতাম তাহলে অবশ্যই আর্থিকভাবে সচ্ছল হতে পারতাম বলে আমি মনে করি তাই সবসময় চেষ্টা করব ওষুধ ব্যতীত চেষ্টাগুলো করতে যাতে আপনি আর্থিকভাবে লাভবান। পেটে গ্যাস হলে আপনি কি করবেন সেই সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব।
প্রাকৃতিক উপায়ে গ্যাস্ট্রিক কিভাবে সারবে
কিভাবে প্রাকৃতিক উপায়ে গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তি পাওয়া যায় সে সম্পর্কে আজকে জানার চেষ্টা করব। অবশ্যই গ্যাস্ট্রিক সাংঘাতিক একটি বিরক্তি কর অভিজ্ঞতা এবং এই গ্যাস্ট্রিকের ফলে আপনি বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত হতে পারে। এছাড়াও গ্যাসের ওষুধ নিয়মিত খেলেও এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে তাই সবসময় চেষ্টা করা উচিত প্রাকৃতিক উপায় কিভাবে গ্যাস থেকে মুক্ত থাকা যায় সে সম্পর্কে। চলুন আমরা সে সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি এবং নিজে এগুলো অভ্যাস করার চেষ্টা করি।
ব্যায়াম করার মাধ্যমে প্রাকৃতিকভাবে আমরা গ্যাস থেকে নিজের শরীরকে মুক্ত রাখতে পারি। আমরা ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি যে শারীরিক পরিশ্রম বা শারীরিক ব্যায়াম আমাদের শরীরে সুস্থতা বয়ে নিয়ে আসে এবং এটা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাড়ন্ত বয়সে আমরা যখন শারীরিক পরিশ্রম থেকে দূরে চলে যায় বা খেলাধুলা কমিয়ে দেয় তখন আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগের সৃষ্টি আমাদের শরীর ঠিক রাখতে একটু সময় বের করে নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিত। দড়ি লাফখেলা থেকে শুরু করে দৌড় ও হাঁটা গ্যাস্ট্রিক ব্যথা কমাতে আপনাকে অনেক বেশি সাহায্য করবে।
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য নিয়মিত পরিমাণ মত পানি পান করা অত্যন্ত জরুরি একটি ব্যাপার।একটি সুস্থ মানুষের পক্ষে দিনে অন্তত আড়াই লিটার থেকে ৩ লিটার পানি পান করা উচিত এবং সেটা যে কোন সময় খাওয়া উচিত। আপনি যদি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে মুক্ত হতে চান তাহলে নিয়মিত পানি পান করুন এবং পরিমাণ মতো পানি পান করুন।
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য আরেকটি ঘরোয়া পদ্ধতি হচ্ছে অ্যাপেল সিড ভিনেগার। যারা এই অ্যাপেল সিড ভিনেগার চিনেন তারা অবশ্যই এর উপকারিতা সম্পর্কে জানেন তবে তারা জানেন না তারা ঝটপট আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অ্যাপেল সিট ভিনেগার সম্পর্কে জানুন এবং নিয়মিত সেবন করে গ্যাসের ব্যাথা থেকে আরাম পান।
দারুচিনি অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপাদান গ্যাসের সমস্যার জন্য। শুধুমাত্র যে গ্যাসের সমস্যা এমন নয় পেটের নানা ধরনের ব্যথা দূর করতে দারুচিনি বানিয়ে ফুটিয়ে সেই পানি কুসুম গরম অবস্থায় খেতে পারেন নিয়মিত। এছাড়া অনেকে দুধ চায়ের সঙ্গে দারুচিনি মিশেও পান করে যেটা তার পেটের ব্যথা অথবা পেটের গ্যাস্ট্রিক হতে সাহায্য করবে।
লেবু অনেক ভালো একটি উপাদান যেটা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতে আপনাকে সাহায্য করবে। অনেকে সরাসরি লেবুর রস পান করে অথবা লেবু শরবত করে খায় এছাড়াও অনেকে রয়েছে যারা লেবু চা পান করে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা ভালো হওয়ার জন্য। এছাড়াও লেবুর সঙ্গে সমপরিমাণ জিরা গুড়া ও লবণ মিশিয়ে আপনি পান করতে পারেন যেটা আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার সমাধানে সাহায্য করবে।
পুদিনা পাতা অত্যন্ত ঠান্ডা একটু উপাদান যেটা নিয়মিত সেবনের মাধ্যমে আপনার পেটের পরিবেশ অত্যন্ত ঠান্ডা থাকবে এবং সকল ধরনের গ্যাসের জ্বালাপোড়া থেকে আপনি মুক্ত হতে পারবেন। তাই নিয়মিত পুদিনা পাতা সেবন করার অভ্যাস করুন।
Leave a Reply