আপনারা হয়তো আমাদের সব আর্টিকেলগুলো নিয়মিত পড়েন এবং অবশ্যই সেখানে পেটের ব্যথা হওয়ার কারণ সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি আর্টিকেল দেখেছেন। অনেকেই অনেক সময় অনেক ধরনের প্রশ্ন করেন তার মধ্যে একটি হচ্ছে পেটের ব্যাথা হওয়ার কারণগুলো কি হতে পারে। আমরা আজকে জানার চেষ্টা করব এই পেটের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য যে কাজগুলো আমরা করতে পারি এবং কি কাজগুলো করলে আমরা খুব তাড়াতাড়ি এই সকল পেটের ব্যথা থেকে মুক্ত হতে পারব।
আমরা আমাদের আশেপাশে হয়তো এমন রোগী অনেকে দেখেছি যারা পেটের অসহ্য যন্ত্রণাতে অনেক কাতরাচ্ছেন কিন্তু কিছুই করার থাকে না। এমন পরিস্থিতি যাতে আপনার না হয় সেজন্য আমাদের সব সময় সতর্ক থাকতে হবে এবং ছোটখাটো সমস্যার সমাধানে চেষ্টা করতে হবে। এই ধরনের ছোটখাট সমস্যায় আস্তে আস্তে বড় ধরনের সমস্যায় রূপ নেয় এটা আমাদের জন্য পরবর্তীতে প্রাণঘাতী হতে পারে। চলুন পেটের ব্যথা বা পেটের সমস্যা দূর করার উপায় গুলো জানি।
পেট ব্যথা কমানোর প্রাকৃতিক উপায় সমূহ
পেট ব্যথা কমানোর প্রাকৃতিক উপায় উপায় গুলোর মধ্যে আদা অত্যন্ত উপকারী একটি উপাদান। তবে এই আদার ব্যবহার আমরা বিভিন্নভাবে দেখেছি যেমন আমরা সরাসরি আদা চিবিয়ে খেতে পারে অথবা আদার রস করেও খেতে পারি। এছাড়াও এই আদাটা আমাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি জিনিস যেটা পেট ব্যথার ওষুধ হিসাবে আমরা নিয়মিত সেবন করতে পারি। আদাতে থাকা এন্টিইনফ্লেমেটরি ও প্রদাহ বিরোধী গুণ থাকা এটি ব্যাখ্যা কমাতে সাহায্য করে।
কলা ও আপেল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু উপাদান যেটা আমরা নিয়মিত সেবন করতে পারি পেট ব্যথা কমানোর ক্ষেত্রে। কলা এবং আপেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যে ফাইবারগুলো আমাদের পেট ব্যথা কমাতে আমাদের জন্য উপকারী হতে পারে এছাড়াও অ্যাপেল সিড ভিনেগারও আমরা খেতে পারি।
পুদিনা পাতা অত্যন্ত ঠান্ডা একটি জিনিস এবং পেটের জ্বালা যন্ত্রণা ও ব্যথা কমাতে এই পুদিনা পাতার জুড়ি নেই। তাই এই পুদিনা পাতা আপনি যদি খান তাহলে আপনার পেটের বিভিন্ন সমস্যা এবং বিভিন্ন ধরনের জ্বালাপোড়া থেকে নিয়মিত মুক্তি পেতে পারেন।
পেট ব্যথা দূর করার ঘরোয়া কিছু কৌশল
হঠাৎ করে পেটে অস্বাভাবিক ব্যথা এবং কামড় দেখা দিয়েছে কি করবেন কিছুই বুঝতে পারছেন না। আপনি চাইলে ঘরোয়া এই পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন যেটাতে আদা আপনি স্লাইস করে কেটে নেবেন এবং তার সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে নেবেন। এই মিশ্রণটি কিছু সময় রেখে দিবেন এবং এটা রোদে শুকিয়ে প্রতিবেলা খাবারের পরে খাবেন অবশ্যই আপনার পেটের ব্যথা থাকবে না।
যাদের ডায়রিয়া ও ডিসেন্সি জনিত ব্যথা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে এক কাপ পরিমাণ বেদানার রস প্রতিদিন দুইবার পান করতে হবে। ডায়রিয়া ও রিসেন্ট এর জনিত ব্যথা নিরাময়ের ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপকারী উপাদান হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। কোষ্ঠকাঠিন্যতার কারণে স্বাভাবিকভাবেই অনেকের অনেক ধরনের সমস্যা হয়। এটা আমরা সকলে জানি। স্বাভাবিকভাবে কোষ্ঠকাঠিন্যতার সমস্যায় পেটে অনেক ব্যথা হয় এবং এই ব্যথার জন্য আপনি চাইলে এক চা চামচ ত্রিফলা কুসুম গরম পানিতে মিলিয়ে প্রতিরাতে ঘুমানোর আগে পান করতে পারেন। এটা আশা করা যায় আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যতা দূর হবে এবং আরো অন্যান্য সমস্যা যেমন গ্যাস ধরনের সমস্যা থেকে আপনি দূরে থাকতে পারবেন।
এছাড়া অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে মেয়েদের মাসিক জনিত কারণে পেটের ব্যথা হয় এবং এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি রয়েছে। এখানে আপনি যদি এক মুঠো তুলসী পাতা রস বের করে নিতে পারেন এবং কুসুম গরম পানিতে দুই চামচ তুলসীপাতার রস এক কাপ কুসুম গরম পানি মিশিয়ে তিনবার পান করতে পারেন তাহলে অবশ্যই এই ব্যাথা থেকে আপনি একটু হলেও আরাম পাবেন।
Leave a Reply