পেটের জ্বালাপোড়া অত্যন্ত সাংঘাতিক একটি ব্যাপার এবং এই ব্যাপার নিয়ে আমরা প্রায়ই বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করে। এটা এমন একটি বিরক্তিকর অভিজ্ঞতা যেটা হলে আমাদের কোন কাজে মন বসে না এবং আমরা যেটাই করি না কেন সেটাতে আরাম পায় না। সাধারণত পেটের জ্বালাপোড়া কমানোর প্রথমে আপনাকে জানতে হবে আপনার পেটে যে জ্বালাপোড়া হচ্ছে সেটার কারণ কি।
আপনি যদি সঠিকভাবে আপনার সমস্যার কারণ খুঁজে বের করতে পারেন তাহলে অবশ্যই পেটের জ্বালাপোড়া আপনি কমাতে পারবেন। তবে এর পেছনে অবশেষ সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে আপনাকে কিছু পরিকল্পনা করতে হবে যেই পরিকল্পনামাফিক চললে অবশ্যই আপনি আপনার পেটের জ্বালাপোড়া থেকে একেবারেই মুক্ত হতে পারবেন। চলুন আজকে আমরা সবার প্রথমে জানার চেষ্টা করি পেটের জ্বালাপোড়া হওয়ার মূল কারণগুলো।
পেটে জ্বালাপোড়া কেন হয়
পেটের জ্বালাপোড়া সাধারণত সব বয়সের মানুষের মধ্যে রয়েছে তাই এখানে বয়স ভেদে পেটের জ্বালাপোড়া হওয়ার কারণ ও হতে পারে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে পেটে জ্বালাপোড়া হওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে পেটে কৃমি হওয়া। সাধারণত ছোট বাচ্চা সহজেই নিজের সমস্যাগুলো বলতে পারে না তাই আস্তে আস্তে যখন তার পেটে কৃমি হয় এবং এই কৃমির কারণে পেট জলে সে তখন কান্নাকাটি করে। এছাড়াও বাচ্চাদের ক্ষেত্রেও পেটে জ্বালাপোড়া হওয়ার আরেকটি কারণ হচ্ছে বদহজম।
বয়স্কদের ক্ষেত্রে সবথেকে কমন যে সমস্যার কারণে বর্তমানে পেটে জ্বালাপোড়া আমরা অনুভব করি সেটা হচ্ছে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা। সাধারণত আমরা যে ফাস্টফুড গুলো খেয়ে থাকি সেগুলোতে প্রচুর পরিমাণে গ্যাসের উপাদান রয়েছে যেই গ্যাসের উপাদান গুলো আমাদের পাকস্থলীতে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে একটি ক্রিয়ার সৃষ্টি করে এবং এখান থেকে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি হয়। এটা অত্যন্ত কমন এটি কারণ এবং যে কারণের জন্য প্রায় সকল বয়সের মানুষের পেটে জ্বালাপোড়া হতে পারে।
আলসার নামক এমন একটি রোগ রয়েছে যে রোগ সাধারণত পাকস্থলীর একটি সমস্যা এবং এই পাকস্থলের ইনফেকশনের কারণে এই আলসার হয়ে থাকে। পাকস্থলীর ভেতরের অংশে বিভিন্ন জায়গাতেই এই ইনফেকশন তৈরি হয় এবং এই ইনফেকশনের ফলে তখন যদি সেখানে খাবার প্রবেশ করে এবং অন্য কোন পদার্থ প্রবেশ করে জ্বালাপোড়ার সৃষ্টি হয়। আলসার একদিনে সৃষ্টি হয় না বহুদিন ধরে বিভিন্ন অবহেলার কারণে আলসারের সৃষ্টি হতে পারে তাই এটা মাথায় রাখতে হবে।
পেটে জ্বালাপোড়া হলে করণীয়
শিশুদের ক্ষেত্রে পেটে জ্বালাপোড়া হলে সরাসরি আপনাকে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যেতে হবে যিনি শিশুদের পেটে হাত দিয়ে বুঝতে পারবে সেই জ্বালাপোড়া হওয়ার কারণ। যদি বদহজমজনিত কারণে শিশুদের পেট ফুলে থাকে অথবা পায়খানা হয় তাহলে পেটে জ্বালাপোড়া কমানো খুব সহজ ব্যাপার এবং এর পাশাপাশি গ্যাস্ট্রিকের কারণে শিশুদের জ্বালাপোড়া হয় এখানে ডাক্তার অল্প কিছু ওষুধ দিলে সেটা ভালো হয়ে যাবে।
বড়দের ক্ষেত্রে গ্যাসজনিত কারণে যদি পেটের জ্বালাপোড়া হয় তাহলে সেটা থেকে মুক্তি পাওয়ার প্রধান উপায় হল সৎ উদ্দেশ্য। আমরা কোনভাবে নিজের মনকে মানাতে পারিনা ফাস্টফুড খাবার থেকে দূরে রাখতে। তাই আপনাকে মনে মনে দীর্ঘ প্রতিজ্ঞা করতে হবে এবং পাসপোর্ট জাতীয় খাবার এবং তৈলাক্ত খাবার একেবারেই বর্জন করতে হবে। এর পাশাপাশি নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে।
আলসার থেকে মুক্তি পেতে হলে অবশ্যই আলসার হওয়ার কারণগুলো আপনাকে লক্ষ্য করতে হবে। সাধারণত সবসময় পেট খালি রাখলে পেটে অত্যাধিক গ্যাস হয় এবং সেই গ্যাস থেকে আস্তে আস্তে এটা আলসারের রূপ নাই। এছাড়াও যারা দীর্ঘ সময় ধরে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খান এবং প্রতিনিয়তই এই ওষুধের ওপরেই চলেন তাদের অনেক সময় গ্যাসের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে এবং গ্যাস্ট্রিকের ওষুধের কেমিক্যালের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে পাকস্থলীতে ইনফেকশন হতে পারে যা আলসার হিসেবে ধরা দেয়।
সবমিলে সতর্কতা অবলম্বন করলে পেটের জ্বালাপোড়া থেকে মুক্ত থাকা যায় তবে এটা বর্তমানে আমরা করছি না এবং নিজের শরীরের যত্ন নেওয়া বাদে সবসময় ব্যস্ত থাকতে কিভাবে টাকা উপার্জন করতে হয় সেই চিন্তা নিয়ে।
Leave a Reply