
শারীরিকভাবে যারা অক্ষম তাদের জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার মাসিক ভাতা বা অনুদান প্রদানের প্রসঙ্গে অবশ্যই প্রতিবন্ধী তথ্য নিবন্ধন করার জন্য জানিয়েছেন। তাই আপনার আশেপাশের কেউ যদি প্রতিবন্ধী হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই অনলাইনের মাধ্যমে আপনাদেরকে এই আবেদন করতে হবে এবং আবেদনপত্রসহ নির্দিষ্ট দিনে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য উপস্থিত থাকতে হবে।
তাই আজকে আপনাদের উদ্দেশ্যে শারীরিক প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেট বাংলাদেশে কোন নিয়ম অনুসরণ করে পেতে হবে সে সম্পর্কে কিছু ধারনা প্রদান করব। সেই সাথে কোথায় গিয়ে প্রতিবন্ধী আবেদন করতে হবে সেই লিংক আপনাদের মাঝে শেয়ার করার পাশাপাশি সম্যক ধারণা প্রদান করার ভিত্তিতে এগুলো আপনাদেরকে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। নিচে আপনারা শারীরিক প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য কি কি করতে হবে তা জেনে নেওয়ার চেষ্টা করুন।
প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেট কিভাবে পাব
২০১৩ সালের প্রণীত নিয়ম অনুসরণ করে সারা দেশের যে সকল অক্ষম ব্যাক্তি লিঙ্গ বয়স এবং অন্যান্য বিষয়ের উপরে নির্ভর করে প্রতিবন্ধী হিসেবে প্রমাণিত হবে তারা এই প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেট পাবে এবং বিশেষ সুযোগ সুবিধা পাবেন। তবে সামান্য শারীরিক অসুবিধা অথবা সুযোগ সুবিধা পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট ব্যক্তি এই সুবিধা ভোগ করতে চাইলেও ডাক্তারি পরীক্ষায় যদি প্রতিবন্ধী হিসেবে প্রমাণিত না হয়ে থাকেন তাহলে সার্টিফিকেট পাবেন না এবং কোন ধরনের সুযোগ সুবিধা পাবেন না।
তাই প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেট পেতে হলে আপনাকে প্রতিবন্ধী হতে হবে এবং অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করে সমাজসেবা অধিদপ্তরে আপনার আবেদন পত্র জমা দিতে হবে। আজকে আমরা আপনাদের উদ্দেশ্যে প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেট কিভাবে পাবেন তা জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি।
প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেট অনলাইন নিবন্ধন
প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য অনলাইনে তথ্য নিবন্ধন করতে হবে। তবে এই তথ্য নিবন্ধন করার সময় আপনাদেরকে অবশ্যই বেশ কিছু তথ্য ইনপুট করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র স্ক্যান করে ওয়েবসাইটে সাবমিট করতে হবে। আপনি যখন প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেটের অনলাইন আবেদন করবেন তখন আপনাকে অবশ্যই গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আবেদন করার এই অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে হবে। অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ভিজিট করে আবেদন করার ক্ষেত্রে যে সকল তথ্য আপনাদেরকে প্রদান করতে হবে তা আপনারা দেখলে বুঝতে পারবেন।
প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেট ফর্ম
আপনারা যারা প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেট ফর্ম পেতে চাচ্ছেন তাদেরকে বলব যে বর্তমান সময়ের প্রত্যেকটি কাজ অনলাইনের মাধ্যমে পরিচালিত হওয়ার কারণে অফলাইনে এই ধরনের কোন সুযোগ নেই। তবে প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেট ফরম পাওয়ার জন্য আপনারা আপনাদেরকে কে কি ধরনের তথ্য প্রদান করা লাগতে পারে তা জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। নিচের দিকে কি আপনারা প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য যে সকল তথ্য দিয়ে আবেদন করতে হবে তা জেনে নেওয়ার চেষ্টা করেন।
প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেট আবেদন
প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেটের জন্য যখন আবেদন করবেন তখন আপনাকে অবশ্যই
https://www.dis.gov.bd/SurveyForm/OnlineApplication এই লিংক কপি করে নেওয়ার কথা বলব। এই লিংক ব্যবহার করে আপনারা যখন অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে পারবেন তখন আপনাকে প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেট পাওয়ার ক্ষেত্রে যে নিয়ম প্রমাণিত হয়েছে তা সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়া হবে। তারপরে আপনারা নিচের দিকে গেলে কোন কোন শর্তের ভিত্তিতে আবেদন করতে পারবেন এবং কি কি ধরনের তথ্য আপনাকে প্রদান করতে হবে তা বিষয়ে জানতে পারবেন।
প্রথমত প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেট পেতে হলে আপনাকে বাংলাদেশের একজন নাগরিক হতে হবে। তাছাড়া প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনার ভোটার আইডি কার্ড এবং জন্ম নিবন্ধন সনদ থাকতে হবে। এ সকল কাগজ ব্যতীত আপনারা কখনোই তা আবেদন করতে পারবেন না। তবে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অক্ষমতার কারণে এক্ষেত্রে তার অভিভাবক নমিনী হিসেবে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করার সুযোগ পাবেন।
তাছাড়া যখন প্রতিবন্ধী ব্যক্তির টিপসই অথবা স্বাক্ষর প্রদান করার কথা বলা হবে তখন এটা অবশ্যই স্ক্যানের মাধ্যমে ওয়েবসাইট আপলোড করতে হবে। যখন আপনি প্রথম পেজের যাবতীয় শর্ত মেনে রাজি হলাম অপশনটিতে ক্লিক করবেন তখন পরবর্তী পেজে আপনার থেকে তথ্য চাওয়া হবে।
এক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির প্রত্যেকটি তথ্য পরবর্তী পেজে গিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র এবং জন্ম নিবন্ধন সনদ অনুসরণ করে প্রদান করতে হবে। তারপরে তার পরিবারের অন্যান্য তথ্য এবং অভিভাবকের তথ্য প্রদান করে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদনপত্র সাবমিট করতে হবে। অনলাইন থেকে প্রাপ্ত এই আবেদন পত্র ডাউনলোড করতে হবে এবং আপনার উপজেলা অথবা জেলা শহরে যে সমাজসেবা অফিস রয়েছে সেখানে গিয়ে তা জমা দিতে হবে।
নির্দিষ্ট দিনে আপনাদেরকে এসএমএসের মাধ্যমে অথবা অন্য কোন তথ্যের ভিত্তিতে শারীরিক পরীক্ষা করার জন্য ডাকা হবে। শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারলে অথবা আপনি প্রতিবন্ধী হিসেবে প্রমাণিত হলে এই সার্টিফিকেট পাবেন এবং পরবর্তীতে সমাজসেবা অফিস থেকে প্রতিবন্ধী আইডি কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন। সবাইকে ধন্যবাদ।
Leave a Reply