শেখ রাসেল ছিলেন বাংলাদেশের মহান নায়ক ও স্বাধীনতা আন্দোলনের একমাত্র নেতৃত্ব দানকারী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠতম পুত্র। পাঁচ ভাই বোনের মধ্যে সবচেয়ে ছোট ছিলেন শেখ রাসেল। তাই তার আদরটা ছিল সবচেয়ে বেশি। কিন্তু ছোট্ট এই রাসেল বেশিদিন এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে পারেনি। সপরিবার সহ তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তাই তাকে ঘিরে প্রতি বছর বিভিন্ন ধরনের কবিতা নাটক ছড়া ইত্যাদি প্রকাশিত করা হয়। তাই আপনার শেখ রাসেল কে নিয়ে কবিতা সম্পর্কে জেনে নিতে চান। আপনারা যারা এ বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে চান আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে এ বিষয়টি সম্পর্কে জানিয়ে দিব। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে থাকা আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ অব্দি সম্পূর্ণটি পড়ুন আর এই বিষয়টি জানার জন্য আপনারা যারা গুগলে সার্চ করছেন তারা আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে খুব সহজে এ বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন।
১৯৬৪ সালের ১৮ই অক্টোবর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবার আলো করে জন্মগ্রহণ করেন শেখ রাসেল। তিনি আজ বেঁচে থাকলে হয়তো এ দেশের গণমানুষের নেতা হতেন তার পিতার মতোই তিনি সাধারণ মানুষের দুঃখ কষ্ট ও নিজের স্নেহ মমতা দিয়ে বাংলার মানুষের মন জয় করে নিতেন। হয়তো রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব কাঁধে থাকত, কারণ, দেশ পরিচালনা ও রাজনীতির সৎ রক্ত যে তার শরীরে।শিশু রাসেলের বেশিরভাগ সময় কেটেছে বাবাকে ছাড়াই। কারণ তার বাবা রাজনৈতিক নেতা ছিলেন তাই বন্দি হয়ে কারাগারে কাটিয়েছেন জীবনের বেশিরভাগ সময়। তাই শেখ রাসেল তার মাকে বাবা বলে ডাকতেন। এই ছোট রাসেল তার ছোট্ট জীবনে তার বাবাকে নিজের মত কোন সময়ই কাছে পায়নি।
১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট সামরিক বাহিনীর কিছু দুশ্চরিত্র কারী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের উপর হামলা করেন। আর শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের অন্য সদস্যদের মতোই মাত্র ১১ বছর বয়সী শেখ রাসেলকে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়। ঘাতকদের হাত থেকে ছোট্ট এই কিশোর শেখ রাসেল রেহাই পাইনি। ছোট্ট এই রাসেল তার জীবনের কিছু বুঝে ওঠার আগে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে ঘাতকরা
ছোট্ট এই শিশু ঘাতকদের নির্মম আঘাত থেকে রেহাই পায়নি তা গোটা বিশ্বে এই নির্মম ঘটনা থেকে জেনে গিয়েছিলেন। শেখ রাসেলের এই অল্প বেঁচে থাকা তার জন্য ছিল অত্যন্ত কষ্টকর তবুও সে তার পিতার মতোই মানুষকে ভালবাসতেন।
প্রতিবছর নানা আয়োজনের মাধ্যমে শেখ রাসেলের জন্ম দিন ও নানান আয়োজনে পালিত করা হয়। আর তার এই জন্মদিনে নানান ধরনের কবিতা আবৃতি ছড়া ইত্যাদি নানা ধরনের অনুষ্ঠানের আয়ো জন করা হয়। আর তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু কবিতা হলো রাসেল তুমি এতই চতুর বলা বাহুল্য, অসাধারণ তুমি হয় না কারোর সাথে তুল্য। শেখ রাসেলের জন্মদিন অনুসারে প্রতিবছর ১৮ অক্টোবর শেখ রাসেল দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়ে থাকে। শেখ রাসেলের জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানা তে প্রতিবছর নতুন নতুন কবিতার সৃষ্টি হয়। ছোট্ট এই শেখ রাসেলের জীবন থেকে আমাদের অনেক কিছু শিক্ষা রয়েছে তার এই ছোট্ট জীবনে সে অনেক কিছু ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তার বাবাকে সে কখনো কাছে পাননি।
শেখ রাসেল কে নিয়ে কবিতা
বেহেস্তের ফুল
শরিফ আহমাদ
রাসেল তুমি স্বপ্নে বিভোর
বেহেস্তের এক ফুল
তোমার সাথে অন্য কারো
হয় না কোন তুল ।
তুমি ছিলে সোনার ছেলে
কলজে ছেঁড়া ধন
দেশ প্রকৃতির জন্য তোমার
পাগল ছিল মন ।
তোমার বুকে স্বপ্ন ছিল
করবে বিশ্ব জয়
স্বপ্ন তোমার সত্য হলো
একটু মিথ্যে নয় ।
দেশ মহাদেশ চিনে তোমায়
জানে তোমার নাম
তোমার নামে হাজার মানুষ
যায় করে সংগ্রাম।
শেখ রাসেল ছড়া
শেখ রাসেলের হাসি
শরিফ আহমাদ
শেখ রাসেলের হাসি–
মিষ্টি ছিল
দিষটি ছিল
লাল সবুজের দিগন্তে চারপাশ-ই
দারুণ ছিল হাসি ।
শেখ রাসেলের জন্য ফোটে
হাজারো ফুল গাছে
শেখ রাসেলের জন্য সবার
দরদ বুকে আছে ।
শেখ রাসেলের স্মৃতি-
ফিরে আসে
নীড়ে আসে
জন্ম দিবস উপলক্ষের কৃতি
দেখায় সবাই প্রীতি ।
উর্ধ্বে রাখা আসন
শরিফ আহমাদ
ওরা ছিল বড্ডো নিঠুর
ছিল জুলুমবাজ
ইতিহাসের পাতায় ওরা
খুব ঘৃণিত আজ ।
ওরা কারা ?শেখ পরিবার
যারা করে হত্যা
নেই মানবিক সত্তা ।
দেয়নি ছেড়ে ফুলের শিশু
শেখ রাসেলকে বাদ
আকাশ থেকে কেড়ে নিতে
কেউ পারে কি চাঁদ ?
শেখ পরিবার টিকে আছে
দেশ করে যায় শাসন
উর্ধ্বে রাখা আসন ।
একটি সোনার ছেলে
শরিফ আহমাদ
শেখ পরিবার আলোকিত করে
একটি ছেলের জন্ম হলো
মা ফজিলাতুন নেসার উদরে ।
নাম রাখা হয় প্রিয় ব্যক্তির নামে
শেখ রাসেল দুরন্ত কিশোর
বেড়ে ওঠে বাংলার শহর-গ্রামে ।
সবাই তাকে চিনে বাসে ভালো
সুনাম খ্যাতি যায় ছড়িয়ে
নিজে নিজে ছড়ায় জ্ঞানের আলো ।
হঠাৎ তাকে দুশমন নিলো কেড়ে
তার স্মরণে সবাই কাঁদে
ঐ খুনিদের কেউ দেবে কি ছেড়ে ?
শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে ছড়া কবিতা
বাংলাদেশের প্রাণ
শরিফ আহমাদ
সন্ত্রাসীরা হামলা করে
বাসায়
জাতির পিতার তাজা রক্ত
ভাসায়–
রক্তে ভেজে মাটি এবং ঘাস
পড়ে থাকে বাইরে ঘরে লাশ ।
ছোট্ট রাসেল মহা বিপদ
দেখে
নিজের মাকে উঠে তখন
ডেকে-
কিন্তু একি ভাগ্যের ঘটে হাল
মার সাথে তার রক্ত ঝরে লাল।
শেখ পরিবার শহীদ করে
ওরা
রাখতে চায়নি স্বচ্ছ ফুলের
তোড়া
ওরা জান্নাত থেকে ছড়ায় ঘ্রাণ
শেখ পরিবার বাংলাদেশের প্রাণ।
১৫ই আগস্ট নারকীয় হত্যাকান্ড গোটা বিশ্বকে জানিয়ে দেয় নির্মমতার ইতিহাস মাত্র দশ বছর বয়সী ছোট্ট একটি শিশু শেখ রাসেল ঘাতকদের হাত থেকে রেহাই পায়নি। শেখ রাসেলের মৃত্যুতে অসংখ্য স্বপ্ন মাটিতে মিশে গিয়েছিল। থমকে গিয়েছিল একটি চারা গাছের বেড়ে ওঠার গল্প। তাইতো প্রতি বছরে ১৮ অক্টোবর শেখ রাসেলের জন্মদিনে ও এই দিনটিকে স্মরণ করে রাখার জন্য নানান ধরনের কবিতা রচনা ,ছড়া নানাভাবে নানা আয়োজনে দিনটিকে পালন করা হয়। আর তার এই কবিতার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মধ্যে সে আজীবন বেঁচে থাকবেন। তার দেহের মৃত্যু হয়েছে ঠিকই কিন্তু মানুষের মনে সে চিরদিন বেঁচে থাকবেন।
আপনারা যারা শেখ রাসেলকে কে নিয়ে কবিতা বিষয়ের জেনে নিতে চান আমরা তা আমাদের আজকের আর্টিকেল টিতে জানিয়ে দিলাম। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে এই বিষয়টি সম্পর্কে আরও বিস্তারিতভাবে জেনে নিন।
Leave a Reply