প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ আপনারা সবাই অবগত আছেন বর্তমান বিশ্ব একটি মহামারী মধ্য দিয়ে পার করতেছে। সেটি হল করোনা। এই করোনা মহামারীর কারণে শিক্ষাব্যবস্থা আজ অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছে। শিক্ষাব্যবস্থার যাতে ক্ষতি না হয় সেজন্য সরকার বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো অনলাইন ক্লাস, এ্যাসাইনমেন্ট সহ বিভিন্ন পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে।
আমাদের ওয়েবসাইট সেরকমই একটা ওয়েবসাইট যেখানে অনলাইনের মাধ্যমে আপনারা বাসায় বসে শিক্ষার উপর বিভিন্ন তথ্য পেয়ে যাবেন যেটি আপনাদের একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি দৈনন্দিন অন্যান্য বিষয়ের উপর তথ্য প্রদান করে থাকে। আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের ওয়েবসাইটে শিক্ষার ওপর বিভিন্ন তথ্য গুলো পরিবেশন করে থাকি।
শুধুমাত্র যে শিক্ষার উপরে আমাদের ওয়েবসাইট তথ্য প্রদান করে থাকে তা নয় এখানে আপনাদের দৈনন্দিন কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং সমাধানও আমাদের ওয়েবসাইটে করা হয়ে থাকে। আজ আমরা বাংলা ব্যাকরণ এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় ভাব-সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা করব। আজ আমরা যে ভাব-সম্প্রসারণ তিনি আলোচনা করব সেটি মূলত অষ্টম, নবম, দশম, একাদশ এবং এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের উপযোগী একটি ভাব সম্প্রসারণ। আজকে যে ভাব সম্প্রসারণ টি নিয়ে আলোচনা করব সেটি নিচে তুলে ধরা হলো:
ভাব সম্প্রসারণ:
পরের অনিষ্ট চিন্তা করে যেই জন,
নিজের অনিষ্ট বীজ করে সে বপন’
মূলভাব: যে অপরের ক্ষতি সাধনের চেষ্টা করে পরিণামে তাকেই ক্ষতির মুখোমুখি হতে হয় প্রকৃতি সর্বদা সমতা নিয়ন্ত্রণ করে বলেই মানুষ এ বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হয়। পরের অনিষ্ট সাধন এর পরিণাম ভাল হয় না এতে মূলত নিজের ক্ষতি করা হয়।
সম্প্রসারিত ভাব: জগতের অন্যান্য প্রাণী থেকে মানুষের পার্থক্য এখানেই যে, সে শুধু নিজের কথা চিন্তা করে পৃথিবীতে বেঁচে থাকে না তাকে তার চারপাশের জগৎ নিয়েও ভাবতে হয়। প্রকৃতপক্ষে মানুষের নৈতিক গুণাবলীর অন্যতম হলো পরোপকার। অপরের মঙ্গল সাধনের মধ্য দিয়ে মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জিত হয়। অপরদিকে, চিত্রশুদ্ধির অভাবে একশ্রেণীর ব্যক্তি অকারণে পরের অনিষ্ট চিন্তা করে।
সংকীর্ণ স্বার্থবোধ তাদের অন্ধ করে দেয়। ‘সত্যম- শিবম- সুন্দরম’ এর আদর্শ তাদের স্পর্শ করে না। বরং কুপ্রবৃত্তির অবিরত চর্চা দ্বারা পশুত্বের চূড়ান্ত পর্যায়ে তারা নিজেদের নামিয়ে আনে। এ শ্রেণীর লোক সর্বতোভাবে সমাজচ্যুত হয়ে পড়ে। কেউ তাদের শ্রদ্ধা করে না।
মানুষ সামাজিক জীব। সমাজকে কল্যাণকামী ও সর্বাঙ্গ সুন্দর করার জন্য প্রত্যেকটি মানুষের উচিত অন্যের মঙ্গল কামনা করা। অন্যের ক্ষতি করার প্রবণতা থাকা উচিত নয়। অন্যের অনিষ্ট সাধন শুধু সমাজগর্হিত কাজই নয় ধর্মীয় ও নৈতিক বিচারেও বড় অন্যায়। মানুষ হিসেবে পরের জন্য নিজ স্বার্থকে জলাঞ্জলি দেওয়াও মূল আদর্শ হওয়া উচিত। যে অন্যের অনিষ্ট চিন্তা করে সে নিজের অজ্ঞাতেই আপন অনিষ্টেরই বীজ বপন করে। কারণ অশুভ চিন্তার পরিনাম অশুভ হয়ে থাকে।
আর কেউ যদি অন্যের ক্ষতি করে তাহলে সে নিজের শত্রু ও প্রতিপক্ষ তৈরি করে। আপন কর্মের প্রতিদান স্বরূপ একদিন তাকে মারাত্মক পরিণামের মুখোমুখি হতে হয়। অন্যায় আর অকল্যাণ দুর্ভোগেরই জন্ম দেয়। ব্যক্তিগত সততা আর কল্যাণ চিন্তা মানুষের জন্য বয়ে আনে নিরাপত্তা ও স্বস্তি। এটা সামাজিক অগ্রগতি ও শান্তির পূর্বশর্ত।
মন্তব্য: পরের অনিষ্ট সাধন থেকে বিরত থাকা সবারই কর্তব্য। পরের অনিষ্ট চিন্তা থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে হলে নিজের অনিষ্টও হবে না। সর্বদা অন্যের উপকারের কথা ভাবা উচিত। এতেই মানব জীবনের প্রকৃত সার্থকতা নিহিত। কারণ অন্যের ভালো চিন্তা করলে মানুষের মনও ভালো থাকে।
উপরের যে ভাব সম্প্রসারণ টি নিয়ে আলোচনা করা হল শিক্ষার্থীদের অবশ্যই সেটি পরীক্ষার কাজে লাগবে। গোটা বিশ্ব আজ ডিজিটাল যুগে পরিণত হয়েছে তারই ধারাবাহিকতায় আমাদের এই ওয়েবসাইটে শিক্ষা বিষয়ক ছাড়াও অন্যান্য বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান প্রদান করে থাকে। আপনারা ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং বাইরে বেরোনোর সময় অবশ্যই মাক্স পরিধান করবেন করণা থেকে নিরাপদ থাকবেন। আগামী দিন অন্য কোন একটি বিষয় নিয়ে আবার আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে হাজির হবো সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
Leave a Reply