বর্তমান বিশ্ব আজ ডিজিটাল বিশ্ব। সবকিছুই আজ ডিজিটাল হয়ে গেছে। আমাদের দেশও এ থেকে পিছিয়ে নেই। ডিজিটাল এর মাধ্যমে বিশ্বের সব কিছুই আজ আমাদের হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। এখন বেশিরভাগ শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার কাজও চলছে অনলাইনের মাধ্যমে।
আমাদের এই ওয়েবসাইটে তেমনই একটি ওয়েবসাইট। এই ওয়েবসাইট মূলত বেশিরভাগ সময় শিক্ষার উপরে কাজ করে থাকে। শিক্ষামূলক বিভিন্ন বিষয়ের উপর তথ্য বহুল তথ্যগুলো এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়। শিক্ষার সর্বশেষ আপডেট খবর আপনারা আমাদের এই ওয়েবসাইটে পেয়ে যাবেন। আমরা চেষ্টা করি সবার আগে সর্ব প্রথমে আপনাদের কাছে শিক্ষার প্রতিটি খবর পৌঁছে দেয়ার।
আপনারা সবাই জানেন বিশ্ব আজ মহামারী করোনাই আবৃত হয়ে গেছে। করোনার কারণে অনেক স্বাভাবিক কাজ আজ ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হচ্ছে। বিশেষ করে শিক্ষা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে সশরীরে ক্লাস এর পরিবর্তে এখন বেশিরভাগই অনলাইন ভিত্তিক ক্লাস চালু হয়েছে।
এখন প্রতিটি বিষয়ে অনলাইন ভিত্তিক হয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থীরা তাদের কাঙ্ক্ষিত বিষয়ে অনলাইনের মাধ্যমে সহজেই পেয়ে থাকছে। আমরাও আমাদের ওয়েবসাইটে শিক্ষার যাবতীয় বিষয়গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আপনারা যারা বাংলা দ্বিতীয় পত্রের ব্যাকরণ অংশ নিয়ে এখানে ওখানে বিভিন্ন অনলাইনে তথ্য পেতে আগ্রহী অথবা পাচ্ছেন তাদের উদ্দেশ্যে আমরা বলছি অবশ্যই আপনারা আমাদের এই শিক্ষামূলক ওয়েবসাইট ভিজিট করবেন।
এখানে ব্যাকরণ এর বিভিন্ন অংশ খুব সুন্দর ভাবে আলোচনা করা হয়ে থাকে। বাংলা ব্যাকরণ এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হলো ভাব সম্প্রসারণ। শিক্ষার্থীর প্রয়োজনীয় চাহিদা মোতাবেক পরীক্ষায় আসার উপযোগী ভাব সম্প্রসারণ গুলো আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের এই ওয়েবসাইটে তুলে ধরেছি। আজকে আমরা একটি নতুন ভাব সম্প্রসারণ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আজকের ম্যাচে ভাব-সম্প্রসারণ কি নিয়ে আলোচনা করব সেটি এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের উপযোগী একটি ভাব সম্প্রসারণ। চলুন আজকে ভাব-সম্প্রসারণটি নিয়ে আলোচনা করা যাক।
ভাব সম্প্রসারণ:
পথের প্রান্তে আমার তীর্থ নয়
পথের দু ধারে আছে মোর দেবালয়।
মূলভাব: বৈরাগ্য মানুষের জীবনকে অর্থবহ করে না। মানব সমাজকে ছেড়ে বৈরাগ্য গ্ৰহণে পরমারাধ্য যে জন, তাকে পাওয়া যায় না। কারণ তিনিও থাকেন মানুষের মধ্যেই।
সম্প্রসারিত ভাব: মানুষ পরম প্রভুর সান্নিধ্য চায়। তাকে পেতে অনেকেই বেছে নেয় বৈরাগ্য। লোকালয় ছেড়ে বনে- প্রান্তরে নিঃসঙ্গ জীবন বেছে নেয় অনেকেই। বৈরাগ্য কিন্তু নৈরাশ্য ছাড়া আর কিছুই মানুষকে দিতে পারে না। অধরাই রয়ে যায় পরমারাধ্য প্রভু। কেননা পরম সৃষ্টিকর্তাই বৈরাগ্য চান না। তিনি মানবসমাজ সহ সমগ্র সৃষ্টি জগৎকে তার পরিজন হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। প্রকৃতির মধ্যে নিজের স্বরূপ সুষমা ছড়িয়ে দিয়েছেন।
মানুষের আত্মাকেই করে নিয়েছেন নিজের অদৃশ্য আসন। তাই যারা প্রকৃত জ্ঞানী তারা পরমেশ্বরকে খুঁজতে লোকালয় ছেড়ে বন- জঙ্গলে ঘুরে বেড়ান না। মানুষে মানুষে ভালোবাসা-বাসিতে খুঁজে নেন ঈশ্বরের সান্নিধ্য। পরম প্রভু নিজেই বাৎলে দিয়েছেন তাকে পাবার পথ, মুক্তির উপায়। সে কথা বুঝতে পেরেই প্রকৃত জ্ঞানীরা উচ্চারণ করেন–
“বৈরাগ্য সাধনে মুক্তি
সে আমার নয়”।
মানুষের কুঁড়েঘরই আসল দেবালয়, মানুষের হৃদয়লোকই আসল দেবাসন। অতএব আমরা যারা প্রকৃত মুক্তি চাই, আধ্যাত্মিক জগতের পূর্ণতা চাই তাদের জন্য জীবন চালানোর প্রবণতা পরিত্যাগ করতে হবে। জীবনে উপভোগ করে, মানুষের হৃদয়লোকের সন্ধান করে, পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির মধ্য দিয়েই পেতে হবে মুক্তির আস্বাদ।
মন্তব্য: জীবের সেবা করাই যে স্রষ্টাকে পাবার একমাত্র পথ সেটা আমাদের বুঝতে হবে।
উপরে আজকে যে ভাব-সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা করা হলো আশা করি পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই ভাব-সম্প্রসারণ টি কাজে লাগবে। আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে চেষ্টা করেছি সব সময় পরীক্ষায় উপযোগী বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করার। কারন আপনাদের যদি কাজেই না লাগে তাহলে আমাদের পরিশ্রম ব্যর্থ হবে তাই আমরা চেষ্টা করেছি এমন কিছু তুলে ধরার যাতে আপনাদের উপকারে আসে। আপনারা বেশি বেশি করে আমাদের এই ওয়েবসাইট ভিজিট করুন এবং আপনাদের গুরুত্বপূর্ণ মতামত অবশ্যই আমাদেরকে জানাবেন।
Leave a Reply