রাজনীতির মঞ্চ অন্যতম শ্রেষ্ঠ দায়িত্বের জায়গা রাজনীতির মধ্য দিয়ে মানুষের কল্যাণ সাধন করা সম্ভব । পজিটিভ নীতি রাজনীতিতে সচেতনতার সতেজ বিশ্বাস যোগাতে সহায়তা করে । যে দেমের রাজনীতি যত নীতিবান, সে দেশ তত উন্নত হবে এটায় স্বাভাবিক। রাজনীতির দায়িত্ব পালন করার মতো মহান কাজ আর কি হতে পারে, যদি তা হয় স্বচ্ছ আর নীতিবান। নোংরা রাজনীতি কখনোই একটি রাষ্ট্রকে উন্নত করতে পারে না।
রাজনীতির জন্ম যেখানেই হোক না কেন, রাজনীতি স্বচ্ছ হওয়াটা প্রতিটি জাতির জন্য মঙ্গলের। কাজেই আপনি যদি রাজনীতির সাথে জড়িয়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই আপনি আপনার কাজ দাযিত্বের সাথে পালন করবেন এবং আপনার প্রিয় নেতার অনুসারী হবেন। বিভিন্ন সময় দেখা যায় যে অনেকেই প্রিয় নেতাকে নিয়ে বিবিন্ন লেখা খুঁজেন। আপনি কি এরকম প্রিয় নেতাকে নিয়ে বিভিন্ন কথার সন্ধান করছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসে পৌঁছেছেন। কেননা আজকের পোস্টটি সাজানো হয়েছে প্রিয় নেতার সম্পর্কে বিভিন্ন কথার মাধ্যমে। আশা করি আজকের পোস্টের মাধ্যমে আপনি উপকৃত হবেন।
সবার জীবনেই কিছু প্রিয় মানুষ থাকে। রাজনৈতিক জীবনেও একজন প্রিয় নেতা অবশ্যই থাকে৷ প্রিয় নেতার আদর্শ মনে ধারণ করেই রাজনৈতিক জীবনে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। প্রিয় নেতা যদি না থাকে তাহলে রাজনৈতিক জীবন অচিরেই বিনষ্ট হতে পারে। রাজনৈতিক নেতাকে সৎ পরামর্শ দিয়ে অথবা নেতার আদর্শে সৎ কাজে নিয়োজিত থেকে নেতার মন জয় করার দায়িত্ব কি কাউকে দেওয়া যায় বলুন? সুতরাং প্রিয় নেতাকে সন্তুষ্ট করার জন্য অবশ্যই তার গুণাবলি অনুসরন করতে হবে। এবং তার মতো ভালো ভালো কাজ করতে হবে।
নেতা তো অনেক থাকে। কিন্তু সবাই কি প্রিয় নেতা হতে পারে? প্রিয় নেতা হতে গেলে অবশ্যই মানবিক গুণাবলী বিদ্যমান থাকতে হবে। অসহায় গরীব- দুঃখী মানুষের সেবা করার মানসিকতা থাকতে হবে। লোভী হওয়া যাবে না। অপরের কল্যাণের জন্য নিজের স্বার্থ ত্যাগ করতে হবে। জনগণের ভালোর জন্য যেকোনো কাজ করতে দ্বিধাবোধ করা যাবে না। দুর্নীতি করা যাবে না। যেকোনো বিপদ আপদে জনগণের পাশে থাকতে হবে। জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে। তাদের ভালোবাসা অর্জন করতে হবে। এ সকল গুনাবলী যেসকল নেতার মধ্যে থাকে তারাই প্রিয় নেতা হিসেবে পরিগণিত হয়।
দুর্নীতিবাজ নেতারা কখনো কারো প্রিয় নেতা হতে পারে না। অবশ্য তারাও কারো কারো প্রিয় নেতা হয়। যেমন যারা নিজেরাও দুর্নীতি করে তাদের প্রিয় নেতা তো দুর্নীতিবাজ হবেই। তাই দুর্নীতিবাজ নেতাদের অনুসারীরাও দুর্নীতিবাজ এবং দেশের এবং জাতির মঙ্গলের বদলে তারা দেশের ক্ষতি করতে নিয়োজিত থাকে। তাই সবসময় তাদের অনুসারীদের এভোয়েড করতে হবে। এরকম দুর্নীতিবাজ নেতা নির্বাচন করা কখনো যাবে না। তাকে নির্বাচনের ফলে শুধুমাত্র নিজের ক্ষতি হবে তা না, দেশের এবং জাতির ক্ষতি হবে এবং পুরা দেশে একসময় ধ্বংস হতে পারে সেই দুর্নীতিবাজদের কারণে। তাই এই বিষয়ে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।
বিভিন্ন মহান রাজনীতিবিদরা অনেক ভালো ভালো কাজ করে পৃথিবীতে স্মরণীয় হয়ে আছেন। তাদের মত কাজ করতে হবে এবং তাদের কাজকে অনুসরণ করে যে সকল নেতারা দেশ পরিচালনা করে এবং জাতির মঙ্গলের জন্য নিবেদিত প্রাণ হিসেবে কাজ করে। তারাই সকলের প্রিয় নেতা হিসেবে আস্থা অর্জন করতে পারে। সেই প্রিয় নেতা সকলের ভালোবাসা, আস্থা, সবকিছুই পাই।
অনেকেই প্রিয় নেতার মতো করে জীবন পরিচালনা করার জন্য উদ্ভূত হয়। আর পরবর্তীতে তারাও প্রিয় বা সৎ মানুষ হিসেবে পরিগণিত হয়। তাই যে ব্যক্তি প্রিয় নেতা হবে তাকে অবশ্যই সৎ গুনাবলি চর্চা করতে হবে, আর ভালো মানুষ হতে হবে। জনগণের সেবা করার মতো মহৎ একটি জায়গায় কখনো দুর্নীতিবাজ হওয়া যাবে না। আর দুর্নীতিবাজদেরও প্রিয় নেতা বানানো যাবে না।
Leave a Reply