প্রিয় শিক্ষক নিয়ে কিছু কথা

প্রিয় শিক্ষক নিয়ে কিছু কথা

পৃথিবীর সবচেয়ে মর্যাদার আর সম্মানের পেশা হচ্ছে শিক্ষকতা। শিক্ষকতা হচ্ছে একটি মহৎ পেশার নাম। সমাজে অনেক পেশাজীবি মানুষ বসবাস করে। কিন্তু শিক্ষকতার মত মর্যাদা পূর্ণ পেশা অন্য কোনোটি হতে পারে না। যে যত বড়ই পজিশনে যাক না কেন, যত ভালো চাকরি করুক না কেন, সে তার শিক্ষকের কাছ থেকে শিখেই সে জায়গায় পৌঁছেছেন। শিক্ষক হচ্ছে জাতির গড়ার কারিগর।

শিক্ষা ছাড়া কোন জাতি উন্নতি লাভ করতে পারে না। কেননা শিক্ষা হলো জাতির মেরুদন্ড। আর সেই শিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য অবশ্যই শিক্ষক দরকার। শিক্ষকতা পেশাকে কোন অবস্থাতে ছোট করে দেখলে হবে না। সেই পেশাকে সর্বোচ্চ মর্যাদার স্থানে বসাতে হবে এবং সেই অনুযায়ী শিক্ষকদের যথেষ্ট সম্মান করতে হবে।

অনেক সময় দেখা যায় যে অনেকেই প্রিয় শিক্ষক নিয়ে বিভিন্ন কথা সার্চ করে থাকেন। আপনি কি এরকম প্রিয় শিক্ষক নিয়ে বিভিন্ন কথা খুঁজছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসে পৌঁছেছেন। কেননা আজকের পোস্টটি সাজানো হয়েছে প্রিয় শিক্ষক নিয়ে বিভিন্ন কথার দ্বারা। এখান থেকে আপনি আপনার পছন্দমত প্রিয় শিক্ষক সম্পর্কে বিভিন্ন কথা পেয়ে যাবেন বলে আশা করছি। আর এই পোস্টের দ্বারা আপনি উপকৃত হবেন বলেও আশা করছি।

একজন মানুষের জীবনে অনেকগুলো শিক্ষকের প্রভাব পড়ে। সে ছেলেবেলা থেকে শিক্ষাজীবন পার করে আসতে অনেক শিক্ষকদের সংস্পর্শে আসে। কিন্তু সব শিক্ষক একজন ব্যক্তির প্রিয় শিক্ষক হয়ে উঠতে পারে না। গুটিকয়েক শিক্ষকই প্রিয় শিক্ষক হয়ে উঠতে পারে। আর প্রিয় শিক্ষকদের প্রিয় ছাত্র হবার জন্য অনেকে আপ্রাণ চেষ্টা করে। সবাই চায় প্রিয় শিক্ষকদের মন জয় করতে এবং তাদের মতো করে চলতে। স্কুল -কলেজ লাইফে অনেকে আবার প্রিয় শিক্ষকদের অনুসরণ করে এবং তাদের মতো করেই নিজেরাও চলতে চেষ্টা করে।

যে সকল শিক্ষক আদর্শবান এবং মানবিক গুণাবলী সম্পন্ন, সেই সকল শিক্ষকগুলো প্রায় সব শিক্ষার্থীদের প্রিয় শিক্ষক হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। শিক্ষক শুধু শিক্ষাদানই করবেন না, বিভিন্ন মানবিক গুণাবলিতে গুণান্বিত হয়ে ছাত্রদের মন আকর্ষণ করতে সক্ষম হবে। আবার শিক্ষার্থীদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করতে হবে। তাদেরকে বুঝতে হবে এবং বুঝাতে হবে।

যে সকল শিক্ষক তার শিক্ষার্থীদের সাথে ভালো ব্যবহার করে এবং বন্ধুর মত করে মিশতে পারে, তারাই শিক্ষার্থীদের প্রিয় শিক্ষক হিসেবে পরিচিতি লাভ করতে পারে। কারণ কর্কশ ব্যবহারের দ্বারা কখনোই কোন শিক্ষক শিক্ষার্থীর প্রিয় হয়ে উঠতে পারেনা। আর শিক্ষক যদি কর্কশ ব্যবহারকারী হয় তবে তার শিক্ষার্থীরাও তার থেকে সেই রকম ব্যবহারই শিখে পরবর্তীতে ঐরকম মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।

শিক্ষককে সবসময় নমনীয় স্বভাবের হতে হবে। তার বিভিন্ন গুণাবলী দেখে যেন শিক্ষার্থীরা মুগ্ধ হয় এবং সেই সকল গুণাবলী শিখে শিক্ষার্থীরা নিজের জীবনও সেই শিক্ষকের মতো করে পরিচালনা করতে পারে। সমাজে ভালো মানুষ তৈরি করতে হলে অবশ্যই ভালো শিক্ষকের প্রয়োজন। কেননা একজন ভালো শিক্ষকই পারে তার ছাত্রদের মন বুঝতে এবং সেই অনুযায়ী তাদের শিক্ষা দিতে। শিক্ষক যদি ভালো হয় তবে তার ছাত্ররাও তাকে অনুসরণ করার মাধ্যমে পরবর্তী জীবনে মানবিক গুণাবলী সম্পন্ন ভালো মানুষ হিসেবে তৈরি হতে পারবে। তাই প্রিয় শিক্ষক হতে হলে অবশ্যই শিক্ষার্থীবান্ধব হতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রদানের যোগ্য হতে হবে।

অনেকেই তার প্রিয় শিক্ষকদের অনেক কথা বলতে চায়। কিন্তু অনেক সময় বলা হয়ে উঠে না। সে যে তার প্রিয় শিক্ষককে কতটা ভালোবাসা, সম্মান করে তাও অনেক সময় তার প্রিয় শিক্ষককে বুঝাতে পারে না৷ শিক্ষককে অবশ্যই সবসময় সম্মান করতে হবে। তাকে কোন সময়ই কোন কারণে অবহেলা করা যাবে না। তাকে মন থেকে ভালোবাসতে হবে, সম্মান করতে হবে৷ একজন শিক্ষকের জীবনে সবচেয়ে বড় পাওয়া তার শিক্ষার্থীদের ভালোবাসা -সম্মান। প্রত্যেকটা ছাত্র- শিক্ষকের পবিত্র সম্পর্ক আরো সুন্দর ভাবে বিকোশিত হোক।

About শাহরিয়ার হোসেন 4780 Articles
Shahriar1.com ওয়েবসাইটে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই পাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*