শিক্ষার্থীবৃন্দ আপনারা যদি বাংলা ব্যাকরণ এর বিভিন্ন ধরনের ভাব সম্প্রসারণ ডাউনলোড করতে চান বা পড়তে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের জন্য দিয়ে দেওয়া হয়েছে। অনলাইনের মাধ্যমে আপনারা শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য খুঁজতেছেন তারা আমাদের এই ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। আপনারা আপনাদের কাংখিত তথ্য পেয়ে যাবেন। আমরা বাংলা ব্যাকরণ এর ভাব সম্প্রসারণ নিয়ে আজ আলোচনা করব। আজ যে ভাব সম্প্রসারণ টি নিয়ে আলোচনা করব বিশেষ করে একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য আজকের এই ভাব সম্প্রসারণ। ভাব সম্প্রসারণ টি হল; “প্রয়োজনে যে মরিতে প্রস্তুত, বাঁচিবার অধিকার তাহারই।”
বর্তমানে ডিজিটাল বিশ্বে শ্রেণীর শিক্ষার পাশাপাশি আমরা সবাই অনলাইনের মাধ্যমে ক্লাস করে থাকছি। অনলাইনের মাধ্যমে ক্লাস করায় শিক্ষাব্যবস্থা অনেকটাই উন্নতির দিকে ধাবিত হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় আমাদের এই ওয়েবসাইট কাজ করে যাচ্ছে। তো চলুন আজকের ভাব-সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা করা যাক।
প্রয়োজনে যে মরিতে প্রস্তুত, বাঁচিবার অধিকার তাহারই।
মূলভাব: মৃত্যুকে বরণ করে নেওয়ার চেতনা না থাকলে জীবনে বড় হওয়া যায় না। মরতে প্রস্তুত থাকলে মানুষের মত হয়ে বাঁচা যায়। মরণের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে যে মানুষ ভীত হয় না, তার জীবনই যথার্থ সার্থকতার দাবিদার। মানুষ আর মৃত্তিকার প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে যারা প্রয়োজনে হাসিমুখে প্রাণ উৎসর্গ করে, অমরত্ব একমাত্র তাদেরই প্রাপ্য।
সম্প্রসারিত ভাব: জন্মিলে মরিতে হবে এটা চিরসত্য। জীবনে মৃত্যু অনিবার্য, এর ভয়াল হাত থেকে কারো নিষ্কৃতি নেই। জীবনের প্রয়োজনে মানুষ বেঁচে থাকে। আর জীবনের প্রয়োজনে মৃত্যুকে হাসিমুখে বরণ করে নেয়। মরণজয়ী দুঃসাহসী মানুষেরাই মৃত্যুকে বুক পেতে নিয়ে গড়ে তুলছে মানব সভ্যতার মহিমাম্বিত ঐশ্বর্য। মৃত্যুকে বরণ করে মৃত্যুকে জয় করেছেন তারা।
জীবনকে সত্যিকারভাবে সফল ও উপভোগ্য করতে হলে মৃত্যুভয় পরিহার করতে হবে। মৃত্যুর ভয়ে হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকলে চলবে না। মানুষ এই পৃথিবীতে যদি যথাযোগ্য মর্যাদায় বাঁচার চেষ্টা করে তবেই জীবনের সার্থকতা ফুটে ওঠে। মর্যাদা সহকারে বাঁচার অর্থ জীবনকে আঁকড়ে পড়ে না থাকা এবং সর্ব প্রকার বিপদ আপদ ও সৎ সাহসের সাথে মোকাবেলা করা। সৎ সাহসের মধ্যেই জীবনের সাফল্য নির্ভর করে।
মৃত্যু মানুষের জীবনের অবশ্যম্ভাবী পরিণতি। একদিন মৃত্যুর হাতে নিজেকে সমর্পণ করতেই হবে। তাই বলে বিপদে মানুষ যদি ভীত হয়ে পড়ে তবে তাতে গৌরব যেমন প্রকাশ পায় না তেমনি বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায় না। বাঁচতে হবে সাহসের সাথে। এর জন্য জীবনে বিপদ কে তুচ্ছ ভাবতে হবে। যদি জীবনপণ করারও প্রয়োজন পড়ে তবে তাও করার সাহস থাকতে হবে। আত্মত্যাগের সাহস থাকলে জীবনের মূল্য বোঝা যায়। আর কোন কিছুর ভয়ে যদি হিমশিম খায় তবে তার বাঁচার কোন সার্থকতা নেই। সাহসের সাথে সকল বিপদ মোকাবেলা করলেই জীবনের অধিকার প্রমাণিত হবে।
মানুষকে তাই যথার্থ সাহসী হয়ে জীবনের পথে অগ্রসর হতে হবে। বেচে থাকা মানে কোনমতে গৃহকোণে আবদ্ধ থেকে ভীরু কাপুরুষের মত ধুঁকে ধুঁকে মরা নয়। সত্য, সুন্দর, কল্যাণের জন্য প্রয়োজনে জীবন দিতেও প্রস্তুত থাকতে পারলে বাঁচবার অধিকার জন্মে। ভীরু কাপুরুষের অর্থহীন জীবন বাঁচবার অধিকারকে খর্ব করে।
মন্তব্য: সাহস ও ত্যাগী মানব জীবনকে অর্থবহ করে তুলতে পারে। জীবনের প্রতি মায়া দেখালে মৃত্যুভয় এসে জীবনকে মর্যাদাহীন করে তোলে। জীবনের প্রয়োজনে মৃত্যুকে হাসিমুখে বরণ করে নেয়ার মধ্যেই জীবনের প্রকৃত সার্থকতা নিহিত।
প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ আমরা আজকে যে ভাব-সম্প্রসারণ টি নিয়ে আলোচনা করলাম সেটি অবশ্যই আপনাদের কাজে লাগবে আশা করি। আমরা আমাদের এই ওয়েবসাইটের চেষ্টা করি প্রতিটি ভাব সম্প্রসারণ সহজ, সুন্দর ও সরল ভাবে উপস্থাপনা করার। এতে করে আপনারা এক-দুইবার পড়াতেই যাতে মুখস্থ করে নিতে পারেন।
একটি ভাব সম্প্রসারণ লিখতে যতটুকু প্রয়োজন আমরা এই ওয়েবসাইটে ঠিক ততটুকুই ভাষা ব্যবহার করেছি। প্রতিটা ভাব-সম্প্রসারণ কে অর্থবহ করে তোলার চেষ্টা করেছি। আপনারা অন্যান্য যেসকল ওয়েবসাইট এপর্যন্ত ভিজিট করেছেন, আমরা আশা করবো ঠিক ততটুকুই আমাদের এই শিক্ষাবিষয়ক ওয়েবসাইট ভিজিট করবেন এবং আপনাদের প্রয়োজনীয় কাঙ্খিত শিক্ষা বিষয়ক তথ্য পেয়ে যাবেন।
Leave a Reply