আল্লাহপাক আমাদেরকে এই পৃথিবীতে সৃষ্টি করে যেমন আমাদেরকে এই পৃথিবীর যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা উপভোগ করার সুযোগ দিয়েছেন তেমনিভাবে আল্লাহপাক রিজিকের ব্যবস্থা করেছেন। তাই আপনি যদি আপনার রিজিকের ব্যাপারে আল্লাহপাকের কাছে রাজি খুশি হওয়ার পাশাপাশি রিজিক বৃদ্ধির আমল করতে চান অথবা রিজিক বৃদ্ধি করে পরিবারের ভরণ পোষণ নিজ দায়িত্বে পরিচালনা করতে চান তাহলে অবশ্যই নির্দিষ্ট কিছু আমল করতে হবে।
রিজিক বৃদ্ধির আমল হিসেবে আজকের এই পোস্ট আমরা করেছি যাতে করে আল্লাহপাকের কাছে আপনারা নির্দিষ্ট কিছু আমল করার মধ্য দিয়ে আপনার রিজিক বৃদ্ধির জন্য দোয়া করতে পারেন এবং আল্লাহ আপনাদের এই আমল দেখে অবশ্যই আপনাদের দোয়া কবুল করে নিয়ে আপনাদের রিজিক বৃদ্ধি করে দেবেন। জীবনে চলার পথে যেহেতু টাকা-পয়সা অনেক প্রয়োজন রয়েছে এবং টাকা পয়সার মধ্য দিয়ে আমরা বিভিন্ন ধরনের সেবা গ্রহণ করার পাশাপাশি বিভিন্ন জনকে জানাইও সেবা দিতে পারে তার জন্য রিজিক বৃদ্ধি হওয়াটা জরুরী।
আমরা যদি বাস্তবিক দিকে আলোচনা করি তাহলে বলব যে বর্তমানে মানুষের বেতনের সঙ্গে অথবা কর্মের সঙ্গে দ্রব্যমূলের দামের কোন মিল নেই বলে অনেকেই জীবনকে পরিচালনা করতে হিমশিম খাচ্ছেন। যেহেতু আমরা মুসলিম এবং আমাদের মুসলিম হওয়ার কারণে অন্য কোথাও যায় আর জায়গা নেই সেহেতু আমরা আল্লাহ পাকের কাছে দুই হাত তুলে মোনাজাত করতে পারি যেন আমাদের নিজেকে বরকত আসে এবং আমরা নিজেদের জীবনকে খুব সুন্দরভাবে পরিচালনা করতে পারি। তবে আল্লাহপাক আপনার জন্য যে রিযিকের ব্যবস্থা করেছেন সেটার মধ্য দিয়েও আপনাকে পরীক্ষা করতে পারেন।
আপনি আপনার নির্ধারিত রিজিক দিয়ে নিজের জীবনকে কিভাবে পরিচালনা করছেন এবং এক্ষেত্রে কোন অসৎ পথ অবলম্বন করছেন কিনা এটাও একটা পরীক্ষার বিষয়। তাই আপনি যে পরিমাণ ইনকাম করছেন সেই ইনকামের সঙ্গে আপনার পরিবারের সামঞ্জস্যতা যদি না থেকে থাকে তাহলে আপনারা অসৎ পথে না গিয়ে আল্লাহ পাকের কাছে রিজিক বৃদ্ধির জন্য দোয়া করতে পারেন এবং এই ক্ষেত্রে যে আমলগুলো রয়েছে সেগুলো আপনার জানাটা জরুরী। এই কারণে সূরা নূহ এ আল্লাহ পাক তার অনুগত বান্দাদের রিজিক বরকত লাভের জন্য সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা প্রদান করেছেন। তিনি রিজিক বৃদ্ধির জন্য যে সকল কোরানি আমল করতে বলেছেন অথবা যে সকল কুরআনে আমল রয়েছে সেগুলো আমরা করার চেষ্টা করব।
আমরা যদি আমলের ভেতরে কয়েকটি ছোট ছোট ইস্তেগফার পাঠ করতে পারি এবং বেশি বেশি করে আস্তাগফিরুল্লাহ পাঠ করতে পারি তাহলে আমাদের অতীত জীবনের যাবতীয় ভুল ভ্রান্তি ক্ষমা করে দেওয়ার পাশাপাশি আল্লাহপাক অবশ্যই রিজিক বৃদ্ধি করে দেবেন। তাছাড়া “রাব্বিগফির ওয়ারহাম ওয়া আংতা খাইরুর রাহিমিন” পাঠ করলে আল্লাহপাক অবশ্যই রাজি খুশি হবেন এবং আপনার রিজিক বৃদ্ধির জন্য তিনি ব্যবস্থা করবেন। এদের মতো অনেকে আছেন যারা রিজিক বৃদ্ধি না হওয়ার কারণে বিয়ে করতে ভয় পাচ্ছেন এবং এই ক্ষেত্রে আল্লাহপাক সরাসরি আপনাদের নিজেকে বরকত প্রদান করবেন বলে বিয়ে আপনারা নিঃসন্দেহে করতে পারেন। যেহেতু রিজিক বৃদ্ধি হওয়া আপনাদের কাছে একটি মনোবাসনা এবং আপনাদের মনের একটি ইচ্ছা সেহেতু মনোবাসনা পূরণের আমল করার মধ্য দিয়েও রিজিক বৃদ্ধির জন্য আল্লাহপাককে জানাতে পারেন।
তাই মনোবাসনা পূরণের আমল হিসেবে আপনারা নিচের দেখানো দোয়াটি আমল করতে পারেন। সেই দোয়াটি হল-
ﺃَﺳْﺘَﻐْﻔِﺮُ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺍﻟْﻌَﻈﻴﻢَ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﻫُﻮَ ﺍﻟْﺤَﻲُّ ﺍﻟﻘَﻴّﻮُﻡُ ﻭَﺃَﺗُﻮﺏُ ﺇِﻟَﻴﻪِ –
উচ্চারণ : আসতাগফিরুল্লাহাল আজিম আল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল ক্বাইয়্যুম ওয়া আতুবু ইলাইহি।
এই দোয়াটি পাঠ করার মধ্য দিয়ে আপনারা অনেক ফজিলত অর্জন করতে পারবেন এবং আল্লাহ পাকের রিজিকের জন্য আপনারা দরখাস্ত করলে অবশ্যই রিজিক বৃদ্ধির জন্য আল্লাহপাক নির্দিষ্ট কোন একটা ব্যবস্থা করবেন। তাছাড়া অন্যান্য যে সকল ইবাদত রয়েছে সেগুলো করার চেষ্টা করবেন যেন আল্লাহ পাক আপনার প্রতি সবসময় রাজি খুশি থাকেন। বিশেষ করে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে আল্লাহ পাকের কাছে দুই হাত তুলে আপনার রিজিক বৃদ্ধি এবং অন্যান্য বিষয়ে যদি দোয়া করেন অথবা চেয়ে থাকেন তাহলে আল্লাহ পাক কোন বান্দাকে খালি হাতে ফিরিয়ে দেবেন না।
Leave a Reply