রচনা: কর্মমুখী শিক্ষা বা বৃত্তিমূলক শিক্ষা বা মানবসম্পদ উন্নয়নে কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব

রচনা: কর্মমুখী শিক্ষা বা বৃত্তিমূলক শিক্ষা বা মানবসম্পদ উন্নয়নে কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব

বর্তমান যুগ হচ্ছে প্রতিযোগিতার যুগ। এই যুগের টিকে থাকতে হলে অবশ্যই নতুন নতুন তথ্য সম্পর্কে আপনাদেরকে অবগত হতে হবে। আমাদের এই ওয়েবসাইট সেই কার্যক্রমে করে আসছে আপনাদের জন্য। প্রতিযোগিতার যুগে এখানে শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হওয়ায় আমাদের এই ওয়েবসাইটের মূল কাজ। আমরা বাংলা ব্যাকরণ এর প্রবন্ধ রচনা নিয়ে বিভিন্ন সময় আলোচনা করে আসছি। আজকে আমরা যে রচনাটি নিয়ে আলোচনা করব সেটি আপনাদের বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অবশ্যই গুরুত্ব বহন করবে।

কর্মমুখী শিক্ষা
বা বৃত্তিমূলক শিক্ষা
বা মানবসম্পদ উন্নয়নে কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব

(সংকেত: ভূমিকা; কর্মমুখী শিক্ষা; কর্মমুখী শিক্ষার বৈশিষ্ট্য; কর্মমুখী শিক্ষার প্রকারভেদ; কর্মমুখী শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা; কর্মমুখী শিক্ষার প্রসার; বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা; প্রচলিত কর্মমুখী শিক্ষা ; বিশ্বের অন্যান্য দেশের শিক্ষাব্যবস্থা; কর্মমুখী শিক্ষার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি; কর্মমুখী শিক্ষার উপকারীতা; কর্মমুখী শিক্ষা বাস্তবায়নের সমস্যা; উপসংহার।)

ভূমিকা: মানুষের মৌলিক চাহিদার মধ্যে শিক্ষা একটি। আর এই শিক্ষা মানুষের জীবন ও জীবিকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কেননা শিক্ষাই মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেয়। বিজ্ঞানের নতুন নতুন আবিষ্কার এবং সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক উন্নতির ফলে কর্মসংস্থানের ধারণা ধীরে ধীরে পাল্টে যাচ্ছে। নতুন নতুন কাজের দ্বার উন্মোচিত হচ্ছে। যার সাথে বিশেষ শিক্ষা অপরিহার্য হয়ে পড়ছে। ফলে সাধারণ শিক্ষার চেয়ে কর্মমুখী শিক্ষাই অধিক গুরুত্ব পাচ্ছে।

কর্মমুখী শিক্ষা: কর্মমুখী শিক্ষা এমন এক ধরণের শিক্ষাব্যবস্থা, যা গ্রহণ করলে শিক্ষার্থীরা ঘরে-বাইরে, ক্ষেতে-খামারে, কলে-কারখানায় যেকোনো কাজে বা পেশায় অতি দক্ষতার সঙ্গে কাজ করার যোগ্যতা লাভ করে। কর্মমুখী শিক্ষার ধারণা মূলত পেশাগত কর্মের সাথে সম্পৃক্ত। এই শিক্ষা এক ধরণের বিশেষায়িত শিক্ষা, যা শিক্ষার্থীর কর্মদক্ষতা সৃষ্টি করে এবং শিক্ষার্থীকে সৃজনশীল ও উৎপাদনমুখী করে তোলে।

কর্মমুখী শিক্ষার বৈশিষ্ট্য: যে শিক্ষা ব্যবস্থায় মানুষ কোন একটি বিষয় হাতে-কলমে শিক্ষা লাভ করে জীবিকার্জনের যোগ্যতা অর্জন করে তাই কর্মমুখী শিক্ষা। অর্থাৎ বৃত্তিমূলক বা কর্মমুখী শিক্ষার অর্থ হচ্ছে একজন ব্যক্তিকে বিশেষ বৃত্তি বা কর্মের প্রশিক্ষিত করে তোলা। শিক্ষককে হতে হবে আত্মপ্রতিষ্ঠা সহায়ক। কর্মমুখী শিক্ষার উদ্দেশ্য হচ্ছে যাতে করে এই শিক্ষা হাতে কলমে শিখে পরবর্তীতে তারা নিজেরা অর্থ উপার্জন করতে পারে।

কর্মমুখী শিক্ষার প্রকারভেদ: কর্মমুখী শিক্ষা দ্বিবিধ। একটি হলো ডাক্তার, প্রকৌশলী এবং কৃষিবিদ যারা বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় হতে প্রশিক্ষণ নিয়ে উচ্চ ডিগ্রি লাভ করেন। তারা ইচ্ছামত স্বাধীন পেশায় নিয়োজিত হতে পারেন। অন্যটি হলো সাধারণ কর্মমুখী বা বৃত্তিমূলক শিক্ষা। এ শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ ডিগ্রির প্রয়োজন হয় না। এ শিক্ষার মধ্যে রয়েছে ধাত্রীবিদ্যা, সেলাই কাজ, কাঠ মিস্ত্রির কাজ, দর্জির কাজ, ছাপাখানার কাজ, বিদ্যুতের কাজ, টেলিভিশন- বেতার _মোটর মেরামতের কাজ, ওয়েল্ডিং এর কাজ, কারখানা শ্রমিকের কাজ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

কর্মমুখী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব: কর্মমুখী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা বহুবিধ। এ শিক্ষা গ্রহণের পর একজন শিক্ষার্থীকে চাকরির জন্য অপেক্ষা করতে হয় না। এ শিক্ষা বেকারত্বের অভিশাপ থেকে দেশকে মুক্ত করে দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও দারিদ্র মোচনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। কর্মমুখী শিক্ষা রুজি- রোজগারের পথ খুলে দেয় এবং নতুন নতুন কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা দেয়।

কর্মমুখী শিক্ষায় আমরা বিদেশে পাঠিয়ে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারি। তাই কর্মমুখী শিক্ষার আরো ব্যাপক প্রসার হওয়া প্রয়োজন। বাংলাদেশ জনবসতিপূর্ণ একটি দরিদ্র দেশ। দেশের উন্নয়নের স্বার্থে জনসংখ্যাকে কর্মমুখী শিক্ষা দিয়ে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরিত করতে হবে। তাই আমাদের সকলের উচিত শিক্ষার প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করা।

কর্মমুখী শিক্ষার প্রসার: দেশের ও জাতির সার্বিক উন্নয়নের জন্য কর্মমুখী শিক্ষার প্রসার ঘটানো প্রয়োজন। এ উদ্দেশ্যে সরকার ও জনগণের প্রচেষ্টায় অধিক পরিমাণ কর্মমুখী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা প্রয়োজন। স্বল্পমেয়াদী করছে উপযুক্ত ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করে আমাদের তরুণ বেকারদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। বিভিন্ন কুটির শিল্প, বয়ন শিল্প, ডেইরি শিল্পের ওপর প্রশিক্ষণ দেয়া প্রয়োজন। কর্মমুখী বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যুগোপযোগী নতুন নতুন বিষয় শিক্ষা প্রবর্তন করতে হবে।

বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা:

প্রচলিত কর্মমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা:

উপসংহার: বর্তমান যুগ বিজ্ঞানের যুগ। এযুগে কর্মমুখী শিক্ষার কোন বিকল্প নেই’। একমাত্র কর্মমুখী শিক্ষাই দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি বয়ে আনতে পারে।

আমরা উপরে যে প্রবন্ধ টি নিয়ে আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম সেটি একটি বর্তমান যুগের যুগোপযোগী রচনা। আমরা এখানে মূল বিষয়বস্তু গুলো তুলে ধরেছে এবং সেগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। বাকি যে দুই তিনটি বিষয় উল্লেখ করেছি সেগুলো আলোচনা করা হয় নাই সেগুলো আপনারা নিজেরাই পাঠ্যপুস্তক এর সাহায্যে আলোচনা করে নিবেন।

About শাহরিয়ার হোসেন 4780 Articles
Shahriar1.com ওয়েবসাইটে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই পাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*