আপনারা যারা বিভিন্ন ওয়েবসাইটে বাংলা রচনা খোঁজাখুঁজি করছেন তারা অবশ্যই আমাদের এই ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। আমাদের এই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন বিষয়ের ওপর রচনা লেখা হয়েছে। আমরা আশা করব অন্যান্য ওয়েবসাইট থেকে আমাদের এই ওয়েবসাইটে যে রচনাগুলো তুলে ধরা হয়েছে তা অবশ্যই অবশ্যই আপনাদের অনেক উপকারে আসবে এবং তথ্যমূলক বিষয়গুলোই আমরা এখানে উপস্থাপনা করেছি।
আমরা চেষ্টা করব পর্যায়ক্ষমে সমস্ত রচনাগুলো আপনাদের মাঝে পরিবেশন করার। আমরা রচনার মূল বিষয়বস্তু গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরব যেটি আপনারা ব্যবহার করে আরো বিস্তারিত ভাবে নিজেদের মনের মাধুরী মিশিয়ে লিখতে পারবেন। আজকে আমরা যে রচনা নিয়ে আলোচনা করব সেটি ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীদের জন্য উপযোগী একটি রচনা।
স্বদেশ প্রেম বা দেশ প্রেম
ভূমিকা: স্বদেশ প্রেম বলতে আমরা সকলেই বুঝতে পারি অর্থাৎ নিজের মাতৃভূমির প্রতি ভালোবাসা। প্রত্যেকটা মানুষের কাছে তার নিজের দেশ অর্থাৎ স্বদেশ পরম সাধনার ধন, পরম নিবাস। স্বদেশের মানুষ, স্বদেশের রূপ প্রকৃতি, তার পশুপাখি, এমনকি তার প্রতিটি ধূলিকণা ও মানুষের কাছে প্রিয় ও পবিত্র। শিশুকাল থেকেই স্বদেশের মাটির সাথে মানুষের হৃদয়ের যোগসুত্র রচিত হয়। তাই স্বদেশের প্রতি মানুষের স্বাভাবিক আকর্ষণ গড়ে ওঠে।
স্বদেশ প্রেম: যে ভৌগলিক ও সামাজিক পরিবেশের মধ্যে মানুষ জন্মগ্রহণ করে এবং বড় হয়ে ওঠে সে পরিবেশের প্রতি সেখানকার মানুষের প্রতি তার একটি স্বাভাবিক আকর্ষণ গড়ে ওঠে দেশের প্রতি দেশের মানুষের প্রতি এই আজন্ম আকর্ষণী স্বদেশপ্রেম স্বদেশপ্রেম সকলের অন্তরে থাকে।
স্বদেশপ্রেমের বহিঃপ্রকাশ ও উন্মেষ: প্রকৃতপক্ষে স্বদেশপ্রেমের উদ্ভব আত্মসম্মানবোধ থেকে। যে জাতির আত্মসম্মানবোধ যত প্রখর সে জাতির স্বদেশ প্রেম ততো প্রবল। স্বদেশ প্রেম এক প্রকার পরিশুদ্ধ ভাবাবেগ। নিঃস্বার্থ, হিংসা বিহীন দেশপ্রেমই প্রকৃত স্বদেশ প্রেম।
দেশপ্রেমিকের দেশ সেবার পথে বাধা অনেক, অত্যাচার সীমাহীন। কিন্তু পথের ঝড়, ঝঞ্জা, বজ্রপাত তাদের বলিষ্ঠ পদক্ষেপ এর নিকট মিথ্যে প্রমাণিত হয়। ইতিহাসের পানে তাকালে এর ভুরি ভুরি দৃষ্টান্ত মেলে। আমাদের বাংলাদেশের ইতিহাসও স্বদেশপ্রেমের গর্বে গর্বিত।১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং সর্বশেষে ১৯৯০ সালে স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান আমাদের স্বদেশপ্রেমের প্রমাণ দেয়।
স্বদেশ প্রেম ও বিশ্ব ভাবনা: স্বদেশ প্রেম ও বিশ্বপ্রেম পরস্পর গভীর সম্পর্কে আবদ্ধ। বলা যায় স্বদেশপ্রেম বিশ্বপ্রেমেরই একটি অংশ। স্বদেশপ্রেম যদি বিশ্ব মৈত্রী ও আন্তর্জাতিক সৌভ্রাতৃত্বের সহায়ক না হয়, তবে তা প্রকৃত দেশ প্রেম হতে পারে না। দেশবাসীকে ভালোবাসার মধ্য দিয়েই মানুষ বিশ্ববাসীকে ভালোবাসতে শেখে। তাই মহৎ ও জগদ্বিখ্যাত মনীষীরা কখনো মানুষে- মানুষে, কালো- সাদা ও রাষ্ট্রে রাষ্ট্রে বিভেদ সৃষ্টি করেন নি। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন–
” ও আমার দেশের মাটি তোমার পরে ঠেকাই মাথা
তোমাতে বিশ্বময়ীর তোমাতে বিশ্বমায়ের আঁচল পাতা।”
স্বদেশ প্রেম সম্পর্কে আমরা যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করলাম সেগুলোর পাশাপাশি নিম্নে এ সম্পর্কে আরও কিছু বিষয় আমরা তুলে ধরলাম যেটা শিক্ষার্থীরা আপনারা বিস্তারিত আলোচনা করে নিবেন নিজের মত করে।
স্বদেশ প্রেম ঈমানের অঙ্গ:
স্বদেশ প্রেম শিক্ষা:
স্বদেশ প্রেম ও ক্ষমতার মোহ:
স্বদেশ প্রেমহীনতার কুফল:
উপরের যে বিষয়গুলো আমরা পয়েন্ট আউট করে দিলাম এগুলো সম্পর্কে আপনারা আপনাদের মনের মাধুরী মিশিয়ে সুন্দরভাবে বিষয়গুলো লিখবেন।
উপসংহার: স্বদেশ প্রেম আমাদের মনের জলন্ত অগ্নি শিখা। সেই অনলে অন্তরের যত কিছু পাপ বোধ, যা কিছু ক্ষুদ্র, গ্লানিময় তার আহুতিদানেই আমাদের জীবন পরিশুদ্ধ হয়। কবি ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত বলেছেন, “মিছা মণি-মুক্তা- হেম স্বদেশের প্রিয় প্রেম/তার চেয়ে রত্ন নাই আর।” তাই দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে হবে। জাত- বর্ণ-ধর্ম নির্বিশেষে দেশের প্রতিটি মানুষকে দেশকে ভালবাসতে হবে। অর্জন করতে হবে মানব প্রীতির গুন। তাহলেই আমরা দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো।
Leave a Reply