বউ এর সাথে রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প

আপনি যখন আপনার মনের ইচ্ছায় কোন একজন মানুষকে ভালোবাসবেন তখন তার সঙ্গে প্রতিটি সময় কাটানোটা হবে আপনার জন্য রোমান্টিক মুহূর্ত। কিন্তু ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এই রোমান্টিক মুহূর্তগুলো কাটালেও আপনার বিভিন্ন ধরনের বাধা-বিপত্তি থাকবে। কিন্তু আপনি যখন বিয়ে করে বউয়ের সঙ্গে রোমান্টিক মুহূর্তগুলো কাটাবেন তখন সেটা আপনার কাছে যেমন সুন্দরভাবে তেমনিভাবে পরিবার এবং সমাজের স্বীকৃতির মধ্য দিয়ে এই সম্পর্কে কেউ বাধা হয়ে আসবে না। তাই বিয়ের পরে আপনারা যখন বউয়ের সাথে রোমান্টিক সম্পর্ক গড়ে তুলবেন অথবা স্বাভাবিকভাবে যে ধরনের সম্পর্ক গড়ে ওঠে সেই ধরনের সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের রোমান্টিক গল্প করতে পারেন। সাধারণত প্রতিটা পুরুষের সঙ্গে প্রতিটা নারীর সম্পর্ক হবে রোমান্টিক এবং এক্ষেত্রে যদি বিয়ে করা হয় তাহলে সে সম্পর্ক গুলো আপনা আপনি রোমান্টিক হয়ে যায়। তাই আজকের এই পোষ্টের মধ্য দিয়ে আপনারা বউয়ের সাথে রোমান্টিক ভালোবাসার গল্পগুলো পড়তে পারবেন।

বউ হল এমন একটি মানুষের নাম যেই মানুষকে আপনারা আজীবনের জন্য এবং আমৃত্যু পর্যন্ত পাশে পাবেন। স্বাভাবিকভাবে সেই মানুষটির সঙ্গে যে সম্পর্ক রাখা উচিত সেই সম্পর্কটি আপনারা রাখবেন। অন্যান্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের বাধা-বিপত্তি আসলেও অথবা সমাজ বাধা দিলেও আপনি যখন বউয়ের সঙ্গে রোমান্টিক সম্পর্ক করবেন তখন কেউ আপনাকে বাধা দেবে না এবং কেউ আপনাকে নিষেধ করবে না। তাই আমাদের সমাজে যে দুই ধরনের বিয়ে কার্যকর রয়েছে সেই দুই ধরনের বিয়ের ভেতরে আপনি যদি এরেঞ্জ ম্যারেজ করেন তাহলে দেখা যাবে যে অনেক সময় বউয়ের সঙ্গে আপনার মতের মিল পড়ছে না অথবা বউয়ের সঙ্গে আপনার রোমান্টিক মুহূর্তগুলো সেভাবে আসছে না।

বর্তমানে এই জটিলতার যুগে আপনার স্ত্রী যখন পূর্বের কোন সম্পর্ককে মনে রেখে আপনার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক করছে না তখন বুঝতে হবে এক্ষেত্রে আপনার বউকে একটু সময় দেওয়া দরকার। অতীতকে ভোলার জন্য তাকে যদি আপনি মানসিকভাবে সাপোর্ট প্রদান করেন তাহলে সেটা সবচাইতে ভালো হবে এবং তারপরও যদি আপনার স্ত্রী আপনার সাথে না থাকে তাহলে সেই ক্ষেত্রে আপনার স্ত্রীকে আলাদা হতে‌ দেওয়াটাই ভালো হবে। যদি আপনার স্ত্রী আপনার সঙ্গে বিয়ের পরেই কোন ধরনের ঝামেলা ছাড়াই রোমান্টিক সম্পর্কে অথবা স্বামী স্ত্রীর যে মধুর সম্পর্ক হয়ে থাকে সেই সম্পর্কে জড়াতে কোন আপত্তি না করে তাহলে বুঝবেন আপনার জীবন সুন্দর হয়ে উঠবে।

রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প

 
সকালে ভার্সিটি যাওয়ার জন্য রেডি
হচ্ছিলাম,
আম্মু রুমে এসে বলল,
— নিয়ান তুই কলেজ শেষে তাড়াতাড়ি
বাসায় ফিরিস ৷
— কেন আম্মু?(আমি)
— আমরা সবাই আজ আমাদের গ্রামের
বাড়ি যাচ্ছি?(আম্মু)
— আমরা সবাই মানে? আমি তো যেতে
পারব না? আমার exam এখনো শেষ হয়
নাই, কালকে আমার লাস্ট exam,
— তুই তো আমাকে বলেছিলি তর পরিক্ষা
আজকে শেষ হবে?
আম্মু কিছুক্ষন কি যেন একটা ভাবল,,
তারপর বলল,,
–আচ্ছা তুই কালকে পরিক্ষা দিয়ে পরের
দিন চলে যাস, আমরা আজকে যাই ৷
— আচ্ছা ৷
আমি আবার বললাম,,,
— আম্মু হঠাৎ তোমাদের গ্রামের বাড়ি
যাওয়ার কথা কেন মনে হল?
— আগামী শুক্রবারে দিয়ার বিয়ে ৷
— কি বল কি আম্মু এত পিচ্চি একটা
মাইয়ার কিভাবে বিয়ে হবে?
— পিচ্চি কোথায় দিয়া তো এবার ssc পাস
করেছে ৷
— ssc পাস করেছে বলে বিয়ের বয়স
হয়েগেছে? হায়রে গ্রামের মানুষ ৷
— তকে এসব নিয়ে ভাবতে হবে না, তুই শুধু
ঠিক সময়ে পৌছে যাস, যা এখন কলেজে যা
!
আমার পরিচয়টা দিয়ে দিই,,
আমি নিয়ান অনার্স লাস্ট ইয়ারের exam
দিচ্ছি ৷
দিয়া হল আমার চাচাত বোন,পিচ্চি একটা
মেয়ে ৷
জানিনা চাচা কেন এত তাড়াতাড়ি মেয়েটার
বিয়ে দিয়ে দিচ্ছেন ৷
পরের দিন পরিক্ষা দিয়ে,,,
বৃহস্পতিবার মানে দিয়ার গায়ে হলুদের দিন
আমি গ্রামের বাড়ি যাওয়ার জন্য ট্রেনের
টিকিট কাটলাম,,
সকাল 6.30মিনিটে ট্রেন, তাই আমি
ভোর 5টায় ঘুম থেকে উঠে রেডি হয়ে
স্টেশনে পৌছলাম,,,
এতদিন পরিক্ষা দিয়ে ইট পাথরের দুনিয়া
থেকে বেরিয়ে গ্রামের সবুজ পরিবেশে
যাচ্ছি, অনেক খুশি খুশি লাগছে,
আর অনেক দিন পর গ্রামের বাড়িতে একটা
বিয়ে খাচ্ছি, গ্রামের বিয়ের মজাই আলাদা,
যা শহরের বিয়েতে পাওয়া যায় না ৷
সকাল 7টা,,,
ট্রেন চলছে তার দূরন্ত গতিতে,,
আমার কানের ইয়ারফোন বাজছে
রোমান্টিক গান ৷
দুপুর 12.30মিনেটে এসে ***** স্টেশনে
পৌছলাম,
যেহেতু চাচাদের বাসা স্টেশন থেকে বেশি
দূরে না তাই ভাবলাম রিক্সা দিয়েই যাই,
রিক্সা দিয়ে গেলে গ্রামের সবুজ
পরিবেশটা ভাল করে দেখতে পারব,
রিক্সা চলচে আপন গতিতে, চারিদিকে
শুনশান বাতাস পাখির কিছিরমিছির সবুজে
গেরা মাঠ,
অনেক ভাল লাগছে,
কিছুক্ষণ পর রিক্সা এসে থামল চাচার
বাড়ির সামনে,
আসলে চাচা হলেন এই এলাকার
চেয়ারম্যান তাই রিক্সাওয়ালাকে চাচার
নাম বলাতেই একেবারে বাড়ির সামনে এনে
নামিয়ে দিল,
গেট খুলে বাড়িতে ডুকলাম ,বিসাল বাড়িটা
খুব সুন্দর করে সাজানো ৷
আমি গেটের ভিতরে ডুকা মাত্রই শিহাব
(দিয়ার ছোট ভাই) আমাকে দেখে
দৌরে ঘড়ের ভিতরে যেতে যেতে জুরে জুরে
বলতে লাগল,
শিহাব– নিয়ান ভাইয়া এসে গেছে,
আম্মু,আব্বু,আপু সবাই এসে দেখ নিয়ান
ভাইয়া চলে এসেছে,
শিহাবের ডাকে সবাই ঘড় থেকে বেড়িয়ে
আসল,
সারা বাড়ির সব আন্তীয় সজনও বেড়িয়ে
এসে আমাকে গিরে দাড়াল,,
সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে,
আমি বুঝলাম না সবাই আমাকে দেখে
এরকম রিয়েক্ট করছে কেন?
আর সবাই আমাকে এরকম ভাবে দেখছে
কেন?
দিয়াকে দেখলাম সবার পিছনে দাড়িয়ে
আছে,
আমার দিখে একবার তাকাচ্ছে , আর
একবার লজ্জা পেয়ে চোখ নিচে নামাচ্ছে,
আমি কিছুই বুঝতে পারছি না, কি হচ্ছে
এসব?
হঠাৎ চাচা বললেন,
— চল তোমরা সবাই জামাই বাবাজিকে
নিয়ে ঘড়ে চল ৷
‘জামাই বাবাজি’ মানে? চাচা জামাই বাবাজি
কাকে বলছে?
আমি আমার পেছেনে তাকালাম,
নাহ আমার পেছনে তো কেউ নাই,
তাহলে চাচা কাকে জামাই বাবাজি বলল?
আমি চিন্তায় পড়ে গেলাম,
আমাকে চিন্তিত দেখে আম্মু বলল,,
— এই নিয়ান কি ভাবছিস এত?
তকে কিছু ভাবতে হবে না চল ঘড়ে চল আমি
তকে সব বুঝিয়ে বলছি !
আম্মু আমাকে রুমে নিয়ে গেল,
আমি বললাম,,,
— আম্মু এসব কি হচ্ছে আমি কিছুই বুঝতে
পারছি না? আর চাচা আমাকে জামাই
বাবাজি বলছে কেন?
— নিজের মেয়ের হবু স্বামীকে জামাই
বাবাজি বলবে নাতো কি বলবে?
— মানে আমিইইই(অনেক অবাক হয়ে)
— হুম তুই ই দিয়ার হবু বর, আগামীকাল
তদের বিয়ে,,
— আম্মুওওওও,,,(আমার প্রায় কান্নাই
চলে এসেছে)
— কি??
— আমার পক্ষে এই পিচ্চিটাকে বিয়ে করা
সম্ভব না ৷
হঠাৎ আব্বু রুমে ডুকে বলল,,
— কি বললি তুই?(কিছুটা ধমক দিয়েই
কথাটা বললেন)
— হ্যা আব্বু আমি এই বিয়েটা করতে পারব
না ৷ আর তাছাড়া আমার কি বিয়ের বয়স
হয়েছে? আমার তো অনার্সই শেষ হয়
নাই ৷
আব্বু– শেষ হয় নাই তো কি হয়েছে?
বিয়ের পর অনার্স মাষ্টার্স সবই করবি ৷
— আব্বুওওও,,,
— আমি আর কোনো কথা শুনতে চাই না
এই বলে আব্বু আম্মু দুজনেই রুম থেকে
বেড়িয়ে গেলেন ৷
পরের দিন একরকম জুর করেই আমার
বিয়েটা হয়ে গেল ৷
|
রাতে আমি চাচাদের ছাদে এক কোণায়
দাড়িয়ে রইলাম,,,
আর মনে মনে ভাবতে সত্যিই কি আমার
বিয়ে হয়ে গেল??
তাও কিনা একটা পিচ্চি মাইয়ার সাথে??
আমি কি এই পিচ্চিটাকে বউ হিসেবে মেনে
নিতে পারব??
নাহ কোনো দিনও আমি অই পিচ্চিটাকে
বউ হিসেবে মানতে পারব না??
আমি অনেক্ষণ ছাদে দাড়িয়ে আছি,
ঘড়িতে দেখলাম রাত 12:35 বেজে গেছে,
পেছন থেকে হঠাৎ আদিবা(আমার ছোট
বোন) ডাক দিল,,
— ভাইয়া,,,তুমি এখানে, আর সবাই
তোমাকে সারা বাড়ি খুজছে,
— কেন খুজছে?
— সেকি?? তুমি জাননা তোমাকে কেন
খুজছে?
আজ না তোমার বাসর রাত? আর ভাবী
সেই কখণ থেকে তোমার জন্য অপেক্ষা
করছে?
আমি আদিবার সাথে নিচে নেমে আসলাম,
আব্বু আমাকে দেখে রাগে কটমট করে
এগিয়ে আসল আমার দিখে,
এসেই আমার গালে ঠাসসস করে একটা চর
মারলেন,
তারপর বললেন,,,
— মেয়েটা তর জন্য সেই কখণ থেকে
অপেক্ষা করে বসে আছে, আর তুই কিনা, যা
তাড়াতাড়ি ঘড়ে যা ৷
আমার মাথায় অনেক রাগ উঠে গেল, তবে
বাবার উপর না, অই পিচ্চিটার উপর, অই
পিচ্চিটার কারণেই বাবা আজ আমাকে
মারল,
আমি রাগে ফুসতে ফুসতেই রুমে ডুকলাম,
দরজার খুলার আওয়াজ পেয়ে মেয়ে টা
দৌরে বেলকুনি থেকে বেড়িয়ে আসল,
এসেই মাথায় ঘুমটা দিয়ে বিছানাতে বসে
পড়ল,
আমি বিছানার দিকে এগিয়ে গেলাম,
আমি বিছানার পাশে এসে দাড়াতেই মেয়েটা
বিছানা থেকে নেমে আমার পা ধরে সালাম
করতে লাগল,
পিচ্চিটা আমার পা ধরে সালাম করেই
যাচ্ছে উঠার কোনো নাম গন্ধ নাই,
আমি ধমক দিয়ে বললাম,
— এই পিচ্চি পা ধরে বসে আছিস কেন? উঠ
বলছি?
— তুমি উঠাবে না?
— আমি কেন উঠাব?(রেগে)
— আমি তো জানি বাসর রাতে বউ তার
স্বামীকে পা ধরে সালাম করলে,
স্বামী বউকে তুলে বুকে জড়িয়ে নেয়,,
কথাটা বলতে বলতেই মেয়েটা আমার পা
ছেড়ে উঠে আমার সামনা সামনি লজ্জায় লাল হয়ে দাড়াল,,

এক্ষেত্রে আপনার স্ত্রী যদি আপনার সঙ্গে অথবা আপনার কাছে আসতে লজ্জা অথবা ভয় পাই অথবা এক্ষেত্রে তার যদি মানসিকভাবে কোন সমস্যার সৃষ্টি হয় তাহলে আপনি স্বামী হিসেবে তাকে সর্বোচ্চ মানসিক সাপোর্ট প্রদান করবেন। এতে করে দেখবেন একটা সময় আপনার স্ত্রী আপনার কাছে আসতে শুরু করেছে এবং আপনাকে বন্ধু ভাবতে শুরু করার পাশাপাশি আপনাকে আপন মানুষ ভাবতে শুরু করেছে। তাই বিয়ের পরে অনেকের ক্ষেত্রে যে জটিলতার সৃষ্টি হয় সেই জটিলতা থেকে আস্তে আস্তে ভালোবাসার দিকে যখন ধাবিত হবে অথবা রোমান্টিকতার দিকে ধাবিত হবেন তখন সেই গল্পগুলো একজন না বিয়ে করার লোকের কাছে অথবা মেয়ের কাছে খুবই ভালো মনে হবে।

তাই আপনারা যখন স্বামী-স্ত্রীর বিয়ের পরে ভালবাসার রোমান্টিক গল্প গুলো কিভাবে শুরু হয় অথবা কিভাবে তাদের সম্পর্কটা মধুর হয় এ বিষয়গুলো জানতে চাইবেন তখন আপনাদেরকে রোমান্টিক গল্পগুলো পড়তে হবে। তাছাড়া এই গল্পগুলো আপনারা সংগ্রহ করে নিয়ে মনের মানুষকে পাঠাতে পারেন অথবা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে পর্ব আকারে আপলোড করলে অনেকেই এই রোমান্টিক গল্পগুলো পড়ার সুযোগ পাবে। তাই আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা বউ এর সাথে ভালোবাসার রোমান্টিক গল্পগুলো পড়বেন এবং তাদের সঙ্গে কিভাবে রোমান্টিক সম্পর্ক স্থাপন করা যায় সে বিষয়গুলো জেনে নিবেন। এতে করে কোন ভয়ভীতি ছাড়াই আপনি তার মনকে জয় করতে পারবেন এবং সেই মানুষকে আপনি নিজের মতো করে পেতে শুরু করবেন।

About শাহরিয়ার হোসেন 4780 Articles
Shahriar1.com ওয়েবসাইটে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই পাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*