একজন মুসলমান হিসেবে শারীরিকভাবে সুস্থ ব্যক্তিরা কোন কোন আমলগুলো করবেন তা আজকের এই পোস্ট থেকে জেনে নিলে আপনাদের অনেক উপকার হবে এবং সেই অনুযায়ী আপনারা রমজান মাসে সঠিক ভাবে রোজা আমল গুলো করতে পারবেন। তাই আপনাদের উদ্দেশ্যে আজকে আমাদের ওয়েবসাইট এ রমজান মাসের আমল সম্পর্কে আলোচনা করা হবে এবং যে সকল আমল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেগুলো যদি আপনারা পালন করেন তাহলে রমজান মাসের পুরোপুরি ফজিলত পেয়ে যাবেন।
যেহেতু মহান সৃষ্টিকর্তা তার ইবাদত করার জন্য আমাদেরকে এই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন সেহেতু রমজান মাসের মত একটি মহিমান্বিত মাসের ইবাদত যদি আমরা করতে পারি তাহলে এই পৃথিবীর বুকে যে সকল ভুল ভ্রান্তি করেছে সেগুলো যেমন আমাদের জীবন থেকে মুছে দেওয়া হবে তেমনি ভাবে আমরা পরবর্তীতে আখিরাতে গিয়ে ভালো এবং সুমহান স্থানে নিজেদেরকে বিচার দিনে প্রতিষ্ঠা করতে পারব। তাই আপনাদের জন্য নিচের দিকে রমজান মাসের আমল সম্পর্কে আলোচনা করা হলো এবং এই পোস্ট পড়ার মাধ্যমে আপনারা অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়ে যাবেন বলে মনে করি।
রমজান মাসের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতের মধ্যে রয়েছে সিয়াম সাধনা করা এবং এই ক্ষেত্রে আপনি প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে সেহরি খাওয়ার পরে সূর্যাস্তের সময় ইফতার করবেন এবং এটাই হলো নিয়ম। তাছাড়া আপনারা যখন সিয়াম সাধনা করবেন তখন অবশ্যই প্রত্যেকটি ইবাদত এ ক্লাসের সঙ্গে অথবা একনিষ্ঠতার সঙ্গে করতে হবে যাতে করে মহান আল্লাহ পাক আপনার ইবাদত দেখে খুশি হয়ে থাকেন এবং আপনার প্রতি রাজি খুশি হওয়ার কারণে আপনাকে সঠিক প্রতিদান প্রদান করেন।
রমজান মাসে সময় মত সালাত আদায় করতে হবে। অর্থাৎ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করার পাশাপাশি আপনারা যদি অতিরিক্ত কোন নামাজ আদায় করতে চান তা করতে পারেন এবং প্রত্যেক নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন। যেহেতু মহান আল্লাহ পাকের বাণী সম্বলিত কুরআন মাজীদ আমাদের উদ্দেশ্যে নাযিল করা হয়েছে সেহেতু আমরা এই গ্রন্থটি পাঠ করার মধ্য দিয়ে যেমন মহান আল্লাহ পাকের অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পারবো তেমনিভাবে এখানে আমরা সঠিক জীবন ব্যবস্থা পেয়ে যাব বলে অবশ্যই আমাদেরকে সহি ভাবে কোরআন শিখতে হবে এবং তেলাওয়াত করতে হবে। যদি কারো পক্ষে সম্ভব হয় তাহলে অবশ্যই কুরআন অন্যকে শেখানো জরুরী এবং এক্ষেত্রে আপনি যদি আপনার শিক্ষা অন্যের ভেতরে প্রদান করতে পারেন তাহলে আপনিও অনেক সওয়াবের অধিকারী হতে পারবেন।
রমজান মাসে আপনি যে রোজা রাখবেন সেই রোজা রাখার জন্য অবশ্যই আপনাকে সাহরি খেতে হবে এবং সাহারি খাওয়ার ক্ষেত্রে যে সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে তার মধ্যে তা সম্পন্ন করতে হবে। আপনি যে রোজা রাখবেন সেই রোজা রাখার জন্য অবশ্যই সালাতুল তারাবি নামাজ পড়তে হবে এবং আগের দিনের নামাজ অনুযায়ী আপনার পরবর্তীতে রোজা রাখতে হবে। সর্বোচ্চ ইবাদত করার মধ্য দিয়ে আপনারা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ যেমন পড়বেন তেমনি ভাবে অবসর সময়ে অবশ্যই বেশি বেশি করে কোরআন তেলাওয়াত করবেন। মহান আল্লাহ পাক আপনাকে এই পৃথিবীতে সৃষ্টি করেছেন এবং এই পৃথিবীর অশেষ নিয়ামত উপভোগ করার সুযোগ দিয়েছেন বলে আপনি অবশ্যই আল্লাহ পাকের কাছে তাঁর শুকরিয়া আদায় করবেন।
যদি সম্ভব হয় তাহলে অবশ্যই সালাতুল তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করবেন এবং আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী সর্বোচ্চ পরিমাণ দান করার চেষ্টা করবেন। আপনার এই দান অথবা আপনার মাধ্যমে কোন ব্যক্তি যদি ইফতার করার সুযোগ পায় তাহলে আপনি হয়তো সমপরিমাণ সব অর্জন করতে পারবেন। রমজান মাসে যেহেতু আত্মশুদ্ধি এবং পরিশুদ্ধির মাঝে সেহেতু আপনাদেরকে অবশ্য উত্তম চরিত্র গঠন করতে হবে এবং অতীতের যাবতীয় বদ অভ্যাস বাদ দিয়ে সঠিক পথে নিজের জীবনকে পরিচালনা করার জন্য প্রতিজ্ঞবদ্ধ হতে হবে। যদি পারেন তাহলে রমজান মাসের শেষ দশ দিনে ইতেকাফ করতে পারবেন এবং ইতেকাফ করার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনি সর্বোচ্চ পরিমাণ করার সুযোগ পাবেন।
এক্ষেত্রে আপনি রমজান মাসে আপনার দিনের কাজ করতে পারেন এবং সামর্থ্য থাকলে ওমরা পালন করার চেষ্টা করবেন। তাছাড়া রমজান মাসের আর একটু গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হচ্ছে লাইলাতুল কদর তালাশ করা এবং আপনি এই লাইলাতুল কদর তালা করার জন্য শেষ দশ দিন সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন। অতীত জীবনের ভুল ভ্রান্তি এর জন্য অবশ্যই ক্ষমা চাইবেন এবং আল্লাহ পাক যে সকল বিধি নিষেধ দিয়েছেন সেগুলো মেনে চলার পাশাপাশি সঠিক সময়ে রোজা রেখে সঠিক সময়ে ইফতার করবেন।
Leave a Reply