প্রত্যেকটি মুসলমানের জন্য রমজান মাস হল একটি মহিমান্বিত মাস এবং এই মাসে যে সকল ইবাদত বন্দেগী আমরা করতে পারি তার জন্য আমাদের দৈনন্দিন জীবনের যে সকল ভুল ভ্রান্তি হয়ে থাকে সেগুলো হয়তো মুছে যেতে পারে। যেহেতু রমজান মাসের মধ্য দিয়ে আমরা একটি মাস পুরোপুরি ভাবে নিজেদেরকে মহান আল্লাহপাকের উদ্দেশ্যে নিবেদিত করতে পারি এবং সিয়াম সাধনা করার মাধ্যমে যাবতীয় বিষয় যেমন বুঝতে পারে তেমনিভাবে আমাদের ইবাদতের ভেতরে খাঁটি বিষয়গুলো চলে আসে তখন আমরা অবশ্যই রমজান মাসকে মেনে চলবো। রমজান মাসের যে সকল আমল রয়েছে সেগুলো যদি আমরা করতে পারি তাহলে অবশ্যই মহান আল্লাহ পাক আমাদের প্রতি খুশি হবেন এবং এই আমল গুলো করার মধ্য দিয়ে এবং দোয়া করার মধ্য দিয়ে আমাদের মনের আশা গুলো একটা সময় পূরণ হয়ে যাবে।
রমজান মাসে যে সকল আমলগুলো রয়েছে সেগুলো যদি আমরা পালন করতে চাই তাহলে এই পোষ্টের মাধ্যমে সেগুলো জেনে নেওয়ার চেষ্টা করব এবং প্রত্যেকটি আমল যদি আমরা মন দিয়ে করতে পারি তাহলে অবশ্যই আল্লাহ পাকের নিকট হাসিল করতে পারব। রমজান মাসে যে সকল ফরজ অথবা বিশেষ আমল রয়েছে সেগুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করা হলো এবং এই পোস্ট পড়ার মাধ্যমে আপনারা সেই বিষয়গুলো সঠিকভাবে জেনে নিতে পারবেন।
রমজান মাসের যে সকল কেউ আমল বা ইবাদত রয়েছে সেগুলো যদি আমরা করতে চাই তাহলে অবশ্যই আমরা রমজানের চাঁদ দেখবো রমজানের চাঁদ দেখার জন্য আগের দিন সন্ধ্যাবেলা থেকে অপেক্ষা করবো। যদি চাঁদ দেখা যায় তাহলে অবশ্যই তারাবি নামাজ আদায় করার মধ্য দিয়ে পরের দিন রোজা রাখব এবং অন্যান্য যে সকল ইবাদত রয়েছে সেগুলো অবশ্যই পালন করব।
এই রমজান মাসে আপনারা যখন চাঁদ দেখতে পারবেন তখন পরের দিন থেকে অবশ্যই আপনাদের রোজা রাখতে হবে এবং একজন সুস্থ এবং সামর্থ্যবান শরীরের অধিকারী হয়ে থাকলে অবশ্যই এই রোজা পালন করতে হবে। কারণ রোজা আমাদেরকে এই কারণে রাখতে হবে যে এটা হল ইসলামের তৃতীয় নম্বর স্তম্ভ এবং এটা প্রত্যেকটি মুসলমানের জন্য ফরজ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা যদি হাদিসের কথা তুলতে চাই তাহলে অনেকগুলো হাদিস চলে আসবে এবং আমরা এটা সবাই জানি বলে এ বিষয়ে অস্বীকার করার কিছুই নেই। তাই মাহে রমজান মাসে অবশ্যই আমাদেরকে রোজা রাখতে হবে এবং রোজা রাখার পাশাপাশি অন্যান্য যে সকল আমল রয়েছে সেগুলো পালন করতে হবে।
রমজান মাসে তারাবির নামাজ আদায় করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় এবং এটি নবীর সুন্নত বলে আমরা এশার সালাতের পর অবশ্যই তারাবির নামাজ আদায় করব। রোজার মাসে আমরা যেহেতু সারাদিন রোজা থাকি সেহেতু অবশ্যই ইফতার করতে হবে এবং এই ক্ষেত্রে আমরা যদি মনে করি ইফতার পরে করলেও হবে তাহলে হবে না। প্রত্যেকটি কাজের নিয়ম অথবা তরিকা রয়েছে বলে আমরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ইফতার করব এবং ইফতারের করার পূর্বে আমরা মহান আল্লাহ পাকের কাছে আমাদের সামনে যে সকল নেয়ামত দেয়া হয়েছে সেগুলোর জন্য দোয়া করব।
অনেকেই আছেন যারা সেহরি করা ছাড়াই রোজা রেখে থাকেন এবং এক্ষেত্রে বলব যে সেহেরি করা একটি সুন্নত অথবা একটি আমল বলে অবশ্যই আপনার একটা পালন করবেন এবং সেহরি খেয়ে রোজা থাকবেন। তাছাড়া আপনাদের নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী যদি অন্য ব্যক্তিকে ইফতার করাতে পারেন তাহলে এটা অত্যন্ত সওয়াব পূর্ণ কাজ এবং অত্যন্ত ভালো কাজ হিসেবে পরিগণিত হবে। যেহেতু রমজান মাসে দান খয়রাতের বিষয়ে বারবার জোর প্রদান করা হয়েছে সেহেতু আপনারা অবশ্যই অধিক পরিমাণ দান সদকা করবেন এবং যদি সম্ভব হয় তাহলে ওমরা হজ পালন করতে পারেন।
তাছাড়া রমজান মাসের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত হলো ইতেকাফ করা এবং রমজান মাসের শেষ দশ দিন আপনার যদি ইতিকাফ করতে পারেন এবং শবে কদরের রাতগুলো জাগতে পারেন তাহলে অবশ্যই সেটা আপনার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত পূর্ণ আমল হবে।
Leave a Reply