রজব মাসের ফজিলত ও আমল

রজব মাসের ফজিলত ও আমল

আপনি যদি রজব মাসের ফজিলত এবং আমল সম্পর্কে জানার জন্য আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে থাকেন তাহলে বলব যে এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদেরকে সকল তথ্য জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। আরবি বছরগুলোর ভেতরে প্রত্যেকটি মাসেই বিভিন্ন ধরনের ফজিলতপূর্ণ ইবাদত রয়েছে এবং এই ক্ষেত্রে আপনারা হয়তো বিভিন্ন ধরনের তথ্য দেখে থাকবেন। তাই আপনারা যারা মাহে রমজান পালন করার জন্য মানসিকভাবে এবং অন্যান্য দিক থেকে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে চাচ্ছেন তারা অবশ্যই আমাদেরকে ওয়েবসাইটের দেখানো পোষ্টের নিয়ম অনুসরণ করে রজব কোন কুল আমল করলে ভালো হবে তা জেনে নিবেন।

এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা তা বুঝে নিতে পারবেন এবং এই মাসটি সম্পর্কে আপনারা সঠিক ধারণা অর্জন করতে পারবেন। আপনি আরবি সপ্তম মাস হিসেবে রজব মাসের প্রত্যেকটি ইবাদত সঠিকভাবে করার চেষ্টা করবেন তখন এটা সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো জেনে নেওয়ার চেষ্টা করবেন।

ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা যদি রজব শব্দটির অর্থ জানতে চাই তাহলে জানব যে এটার অর্থ হল মহান অথবা সম্ভ্রান্ত। হারাম এবং যুদ্ধবিগ্রহ থেকে নিষিদ্ধ থাকার জন্য এই মাসটি আমাদের অনেক কিছু শিক্ষা প্রদান করে থাকে। চারটি মাসকে হারাম মাস হিসেবে ধরা হয় এবং এর মধ্যে রজব মাস একটি। যেহেতু রজব মাসের পরে অন্যান্য মাস আসে এবং এটার পরে নিয়ম অনুসরণ করে রমজান মাস এসেছে সেহেতু আমরা যদি ঠিকঠাকভাবে রজব মাসের এবাদতগুলো করতে পারে তাহলে শারীরিকভাবে এবং মানসিকভাবে রমজান মাস পালন করার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারব। কারণ রমজান মাসে ইবাদতের ধারা পরিবর্তন হয় এবং এই ধারা যাতে শরীরের সঙ্গে এবং মানসিকভাবে আমাদের সঙ্গে খাপ খাইয়ে যায় তার জন্য এখন থেকে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।

যাইহোক রজব মাস একটি সম্মানিত মাস হিসেবে এবং ইবাদত রয়েছে বলে আমরা এই নফল ইবাদতগুলো করার চেষ্টা করব। নফল ইবাদতের মধ্যে আপনারা যত বেশি বেশি পারেন রোজা রাখবেন এবং এই রোজা রাখার ক্ষেত্রে প্রত্যেক সপ্তাহের সোমবার বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার রোজা রাখতে পারলে সবচাইতে ভালো হয়। যদি রজব মাসের তারিখ অনুযায়ী রোজা রাখতে চান তাহলে এক তারিখ ১০ তারিখ রোজা রাখার পাশাপাশি ১৩-১৪ তারিখে রোজা রাখতে পারেন। আপনারা যদি মনে করেন ১৫ তারিখ, ২০ তারিখ, ২৯ তারিখ এবং ৩০ তারিখের রোজা রাখবেন তাহলে সেই অনুযায়ী রোজা রেখে আপনার নফল ইবাদত সম্পন্ন করতে পারেন।

এই সকল ইবাদত করার পাশাপাশি বেশি বেশি করে তাহাজ্জুদ পড়া অথবা ইশরাক করার জন্য বলা হয়েছে। তাছাড়া এই মাসে আপনারা নিজেদের আমলনামা কে বৃদ্ধি করার জন্য বেশি করে কোরআন তেলাওয়াত করবেন এবং কোরআন তেলাওয়াত করার ক্ষেত্রে অবশ্যই সহিহ ও শুদ্ধভাবে তিলাওয়াত করতে হবে এবং অর্থ সহকারে যদি করতে পারেন তাহলে সবচাইতে ভালো হবে। হযরত সালমান ফারসি (রা) এ বিষয়ে বলেছেন যে রজব মাসের প্রথম তারিখে আমাদেরকে অবশ্যই মজা আদায় করতে হবে। এছাড়া রজব মাসের এই সকল ইবাদতের ভেতর দিয়ে আমরা চাইলে যাবতীয় দিক থেকে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারি এবং রমজান মাসের প্রত্যেকটি ইবাদত সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে পারি।

এই মাসের এ সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করার একটা বিষয় হলো আপনি যেমন শারীরিক এবং মানসিকভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারছেন তেমনি ভাবে আর্থিকভাবে এবং সামগ্রিক দিক থেকে নিজেকে প্রস্তুত রাখতে পারছেন। রমজান মাসে নিজের সকল কাজ সম্পন্ন করার পাশাপাশি সকলের মাঝে ইফতার বিতরণ অথবা বিভিন্ন দিক থেকে সাহায্য সহযোগিতা করার জন্য আপনাকে এই মাস আপনার নফল ইবাদতের মাধ্যমে অনেক সাহায্য করবে।

তাই প্রত্যেকটি ইবাদত সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার পাশাপাশি আপনারা যদি রজব মাসের ইবাদত গুলো গুরুত্ব সহকারে করেন এবং নিজের জীবনের উন্নতি চান তাহলে এটা করা উচিত হবে। এই রজব মাসের ইবাদতের মাধ্যমে আপনারা নিজেদেরকে মহামুক্তি করতে পারবেন এবং বিভিন্ন পাপ কাজ থেকে বিরত রাখতে পারবেন।

About শাহরিয়ার হোসেন 4780 Articles
Shahriar1.com ওয়েবসাইটে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই পাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*