আপনি যদি আরএস খতিয়ান সম্পর্কে জানার জন্য আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে থাকেন তাহলে বলব যে আরএস খতিয়ান সম্পর্কে সম্মুখ ধারণা অর্জন করার জন্য এই পোস্ট পড়ে দেখবেন। আর এস খতিয়ান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় এবং জমি সংক্রান্ত কাজে বিভিন্ন ধরনের খতিয়ানের তথ্য যদি আমাদের জেনে নাও থাকে তাহলে সেই খতিয়ানের তথ্য দিয়ে আমরা যে কোন তথ্য বর্তমানে ইন্টারনেটের মাধ্যমে খুঁজে পেতে পারি।
ভূমি মন্ত্রণালয় অথবা ভূমি সেবা নামক যে অফিশিয়াল ওয়েবসাইট রয়েছে এই অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে কোন জমির তথ্য আমরা যদি খুঁজে বের করতে চাই তাহলে খতিয়ানের মাধ্যমে তথ্য খুঁজে বের করতে চাইলে সেখানে আমাদেরকে চার ধরনের অপশন প্রদান করা হয়। আর এই ক্ষেত্রে আমরা যে কোন একটি অপশন নির্বাচন করে সেখানে খতিয়ান নম্বর প্রদান করে জমি সার্চ করে তার মালিকানা এবং জমি ব্যবহারের প্রকৃতি সম্পর্কে তথ্য বের করে থাকি।
আর এস খতিয়ান সম্পর্কে জানার আগে আমাদেরকে সর্বপ্রথমে জানতে হবে খতিয়ান কি এবং এই সম্পর্কে ধারণা অর্জন করতে পারলে আর এস খতিয়ান সম্পর্কে তথ্য জানাটা কোন কঠিন বিষয় বলে মনে হবে না। ব্রিটিশ শাসনে বলে প্রত্যেকটি জমিকে আলাদা আলাদা ভাবে ভাগ করার জন্য মৌজা ভিত্তিক পরিমাপ করা হয়। এখানে যে সকল মানুষের জমির মালিকানা রয়েছে তাদেরকে সেই নামে মালিকানা বহাল করার পাশাপাশি জমির দাগ নম্বর প্রদান করা হয় এবং সেই দাগ নাম্বারে উল্লেখ থাকে জমি কতটুকু রয়েছে এবং এটি কি ধরনের জমি। তাছাড়া কি ধরনের খাজনা প্রদান করা হবে এ বিষয়গুলো সেখানে উল্লেখ করা হয়ে থাকে।
তাহলে একজন মানুষের জমির মালিকানা সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং জমির দাগ নম্বর সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যখন প্রকাশ পাবে তখন সেটা সিএস খতিয়ান নামে পরিচিত হবে। তবে সে সময় অনেক মানুষ তাদের অবহেলার কারণে সরে জমিনে গিয়ে জমির উপরে সে সকল তথ্য আপডেট করেনি বলে বর্তমান সময় পর্যন্ত আপডেট করা হচ্ছে। সমগ্র বাংলাদেশের অনেক জায়গায় এ তথ্যগুলো আপডেট করা হয়নি বলে বর্তমান সময় পর্যন্ত কাজ করা হচ্ছে এবং অনেক জায়গায় আপডেট করা হয়ে গিয়েছে। তাই জমির মালিকানা সম্পর্কিত সিএস খতিয়ানের উপরে ভিত্তি করে যে সকল তথ্যগুলো আপডেট করা হচ্ছে সেগুলোই আর এস খতিয়ান নামে পরিচিত। তবে কিছু কিছু এলাকায় অনেকে আর এস খতিয়ানকে বিএস খতিয়ান নামে চিনে থাকে।
Leave a Reply